B-45#বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ)

বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ)

বিয়ের ঠিক সাতদিন আগে, দিদির শ্বশুরমশায় কিছু বলা নেই কওয়া নেই স্বশরীরে এসে হাজির হলেন। বাবাও অবাক, মনে মনে ভাবলেন কি জানি কোনো দাবিদাওয়া আছে নাকি তাই হয়তো এসেছেন,একেবারেই না জানিয়ে । উনি এলেন গ্রামেরই এক সম্পর্কের আত্মীয়কে নিয়ে সোজা হাওড়া থেকে ট্যাক্সি করে।  গাড়ি থেকে যখনই নামলেন, পরনে হাঁটুর উপরে ধুতি, সাদা ফতুয়া, খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, এক ভদ্রলোক,পায়ে কোনোরকমের জুতো বা চটি  নেই। আমি উনাকে রাস্তার মোড় থেকে আনতে গেলাম, বাবা নিজেও করজোড়ে প্রণাম করলেন ও ঘরে ডেকে এনে বসালেন। বেশ অবাক দৃষ্টিতে উনি সমস্ত ঘর গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। একটা সময় বাবার পাশে গিয়ে বসলেন, আর বাবার হাত দুটো ধরে কেঁদেই ফেললেন, মুখে একটাই কথা “ বাবু গো পারবে কি? এতো শিক্ষিত, তাও আবার কলকাতার মেয়ে ,
আমাদের মত একেবারে আটপৌরে জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে, তা সম্ভব নয়। গ্রামের বৌ হয়ে থাকা? খোকাকে কত বললাম, ওসব আমাদের গ্রামের লোকেদের  মানায় না, গ্রামে কি মেয়ের অভাব ছিল, ঐ তো পইড়া বাবু, মাইতিবাবু তারা তো অস্থির মেয়ে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কে কার কথা শোনে “। বাবা তো  না পেরে বলেই বসলেন কাঁদবো তো আমি নিজেই, আমার মেয়েদের কে M. A পাশ করানোর  পরে ওরা যদি নিজের আগামী জীবন এ ভাবে ভেবে নেই, তাহলে তো সে দুঃখ আমার বা আফসোসও  আমার হবে, আপনি কেন কাঁদছেন। আর মাত্র গুনে গুনে কয়েকটা দিন বিয়ের সাতদিনও নেই, আমি হলাম মেয়ের বাবা সমস্ত বায়নানামা হয়ে গেছে, নেমন্তন্ন প্রায় শেষের পথে এখন এসব কথা কেন উঠছে।তবে হ্যাঁ একটা কথা বলি, আপনার ছেলেও ঘর জামাই হবে না, আর আমার মেয়েও সে তার স্বামীকে নিয়ে অন্যত্র আপনাদের ছেড়ে চলে যাবে না, সে শিক্ষা আমি দিই নি একথা বেশ জোরের সাথে বলতে পারি।এতক্ষনে বড়দি অন্দর মহল থেকে বেড়িয়ে এল এক ছোট্ট বধূর সাজে, একেবারে শাড়ী পরে, এসেই নিজের হবু শ্বশুর মশায়কে পা ধরে প্রণাম করলো, তখনই মনটা আমারও খারাপ হয়ে গিয়েছিলো,বুঝেছিলাম বড়দি আর তো থাকবে না আমাদের সাথে,এই তো আর কদিন তারপরেই ও চলে যাবে অনেক দূরে।
 শুনেছি এতো দূর সে দেশে ট্রেন চলে না, গাড়িঘোড়াও বড়ই অভাব, ইচ্ছে থাকলেও একা যাওয়া সম্ভব নয়, শুনেছি অনেক গুলো বাস বদল করেই পৌঁছতে হয় তার গ্রামের বাড়িতে। এমনকি বাস রাস্তা থেকেও অনেকটা হাঁটা পথ । অবশ্য গ্রামে পৌঁছনোর পর যদি ধান ক্ষেতের আল দিয়ে যাওয়া যায় শুনেছি তাড়াতাড়ি সম্ভব।
যাক সে সব কথা, দিদির শ্বশুর মশায় অল্প কিছু মিষ্টি খেয়ে দিদিকে আশীর্বাদ করে চলে গেলেন। শুধু যাওয়ার সময় একটু ইতস্তত হয়ে বললেন কিছু মনে করবেন না আমাদের আশি থেকে একশো জন লোক আসবে বরযাত্রী হিসেবে,সবই গ্রাম থেকে, ওরাই আমাদের সব, এক অর্থে বলতে পারেন আমাদের আত্মীয় জ্ঞাতি গুষ্টি । দিদির শ্বশুর মশাই চলে গেলেন, বাবাও দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বেরোলেন নেমন্তন্নে।
 খুব বেশি দিনের কথা নয়, বিশ পঁচিশ বছর আগেও একটা চল ছিল মেয়ের বিয়ে মানেই “কন্যা দায় গ্রস্ত “, অর্থাৎ মেয়ের বাবার পাশে এসে দাঁড়ানো। একথা কেন বলতেন, খুব একটা আজও জানা নেই, তবে যেটা হত সেটা বিয়ে মানেই মেয়ের বাবাকে, আত্মীয় স্বজনেরা স্বেচ্ছায় হয় আর্থিক সাহায্য করতেন বা কোনো একটা জিনিসের দেওয়ার দায়িত্ব নিতেন, যেমন ধরুন বিয়ের বেনারসী, কেউবা আলমারি, আবার. কেউ বা সামান্য কিঞ্চিৎ সোনা দানা যেমন ধরুন হাতের চুরি, কানের দুল, ইত্যাদি । একটা সৌহার্দ্য মূলক আদানপ্রদান হত, সেটা আজ অবশ্য কোনো খানেই পাওয়া যায় না। হ্যাঁ আরেকটা জিনিস যেটা হত বিয়ে মানেই চারদিন আগের থেকেই আত্মীয় আসা, আর যাওয়ার তোড়জোড় হতো মেয়ে দ্বিরাগমন থেকে ফেরৎ যাওয়ার পর, অর্থাৎ প্রায় এগারোদিন। মেয়ে বিয়ের পরদিন থেকেই শুরু হত ঘটাকরে বসে, সবাইকে উপহার দেখানো, কে কি উপহার দিলো, সেটা সবাই মিলে খুলে দেখতো একসাথে ।আর বড়রা সেখান থেকেই তুলে দিতেন কাপড় চোপড় আত্মীয় স্বজনকে।
আজকের দিনে বড্ডো হাসি পায় চিন্তা করলে সেটা হোলো সে সময়ে কোনের পাশে একজন বসতো লিখতে কে কি দিয়েছে, এমনকি অনেক বাড়িতে দেখা যেত নামও জিজ্ঞাসা করার একটা প্রচলন । আর যেটা হত সেটা ঝগড়া বা মনোমালিন্য। আসলে সে যুগে একটা ভালো জিনিস ছিল মানুষ কিন্তু ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বড়ই উদাসীন থাকতেন, তাই ছেলে মেয়েদের পড়ার চাপ থাকতো না, তাই ফিরে যাওয়ার সদিচ্ছা ও হয়তো থাকতো না নিজের জায়গায়। সে যায় হোক প্রসঙ্গ থেকে একটু আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু এর ও জানানোর প্রয়োজন আছে একটু ঝালিয়ে নেওয়ার অন্তত আজকের ছেলেমেয়েদের কাছে। কারণ এসব এরা ভাবতেও পারেনা।
 দেখতে দেখতে বিয়ের দিনও চলে এল, বাবা এতো খরচ করেছিলেন সে বিয়েতে, যতই হোক বড়মেয়ের বিয়ে বলে কথা। বাড়ির সদর দরজায় বসেছিল নহবত, খানাপিনার এলাহী আয়োজন, এমনকি বিয়ের দিন দশেক আগের থেকে পাড়ার লোকজন বা কাছাকাছি আত্মীয় স্বজন যখনই আসতেন তখন আসতো দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয়। বাবা  বড়ই সৌখিন ছিলেন, জীবনে নিজের ক্ষেত্রে যা যা অভাব ছিল, সেটা ছেলেমেয়েদের আবদারের সাথে সাথে মিটিয়ে দিয়েছিলেন।
 
ঠিক সন্ধ্যে হয় হয় অর্থাৎ প্রায় গোধূলি বেলা, বরের গাড়ি এসে পৌঁছলো একেবারে নহবত গেটের সামনে, দাদা গাড়ি থেকে নামলেন মাথায় টোপর, গলায় তুষের মালা, পায়ে আলতা আর হাতে দর্পন। বরযাত্রীরা একে একে বাস থেকে নামলেন, সেই বাসের গায়ে লেখা বড় বড় করে “মেচেদা দীঘা সুপারফাস্ট কোচ-ভায়া কাঁথি “।
প্রায় প্রত্যেকের হাতে  ছাতা। আতিথেয়তা স্বরূপ বসানো হোলো তাঁদের সামান্য মিষ্টি মুখ সঙ্গে নোনতা জাতীয় কিছু খাবার, কেউ খেলেন আবার কেউ খেলেন না। কেউ কেউ তো পুরোটাই নিলেন কিন্তু পরে দেখি সেগুলো চেয়ারের তলায় নির্দ্বিধায় রেখে দিলেন। বুঝেছিলাম সে খাবার তাঁদের পছন্দ নয়।আমাদের বাড়ির সামনে একটা ছোটো ডোবা ছিল, যেটা এখনো আছে, ঠান্ডা পানীয় বরপক্ষকে দেওয়াতে সেখানেও কেউ কেউ অল্পবিস্তর খেলেন, বাকিটা হাতে নিয়ে ভাবছেন কি করবো। একজনকে দেখে অবাক হয়েছিলাম  উনি সোজা উঠে কাঁচের বোতলটি সজোরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন সেই ডোবাতে, তাই দেখে বেশ কিছু বরযাত্রীও ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, যাক কোনো ভাবে আটকানো গেলো তাঁদের সে রাত্তিরে। বিয়ের পরের দিন একটাও বোতল খুঁজে পাওয়া যায়নি,প্রায় পুরোটাই ডোবায়। বাবা অনেক মেনু করেছিলেন তার মধ্যে তখনকার দিনে স্পেশাল ছিল ফিসফ্র্যাই , একেবারে ভেটকি মাছের, বেশ মনে আছে পাতিপুকুর বাজার থেকে এসেছিলো সেই ভেটকি । আর ছিল বিরিয়ানি। বরপক্ষ কোনোটায় খাননি ঐ ধরি মাছ না ছুঁই পানি। খাওয়ার প্রচুর নষ্ট হয়েছিল । 
পরের দিন বাসি বিয়ে ও দিদির বিদায়ের পালা, ছেলেপক্ষ খুব সকাল সকাল উঠে অনেকেই বাসের উপর আগেভাগে গিয়ে বসে আছে বাস ছাড়লে হয়। বাবার অনেক অনুরোধে তাঁরা রাজি হোন দুমুঠো খাওয়ার। এরই মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটান আমার জেঠতুতো দাদা, বরপক্ষের এক লোক বেশ অনেকক্ষন ধরে খাবার জায়গায় ঘুর ঘুর করছিলেন, দাদা কিছু না বুঝে উনাকে ডেকে জায়গাটা ভালো করে নিকিয়ে নেন, বহু পরে সেটা আমার মেজদিদি সবাইকে বলেন, যদিও ছেলের বাড়ির তরফ থেকে কোনোরকম কানা ঘুষো হয়নি এ ব্যাপারে।
দিদির বিদায় নেওয়ার পালা শুরু হোলো, বাড়িতে কান্নাকাটির একটা শোরগোল একজন কাঁদে তো তার দেখাদেখি শুরু করে, আমি তখন নিতান্তই ছোটো কাঁদিনি কারণ আমি তো দিদির সাথে যাচ্ছি। সেদিন সকাল থেকেই প্রকৃতি ছিল মেঘলা, দিদি বিদায়ের সাথে সাথে সারাটা রাস্তা জুড়ে শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি। আমি বাসের জানালায় বসে শুধু বরপক্ষের লোকজনকে দেখছি, ওদের কথাবার্তা শুনছি, কোনো কথা কানে আসছে, আবার অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না, গ্রামের ভাষা, শুধু একটাই ভাবছি কোথায় যাচ্ছি, কখন পৌঁছবো। বৃষ্টি একটু 
থামতেই বরযাত্রীর ছেলেরা বাস থেকে নেমে  বাস টাকে দাঁড় করালো, আমি তাড়াতাড়ি সুপারফাস্ট বাসের কাঠের জানালাটা বন্ধ করে দিলাম।
একজন এসে আমায় মুড়ি ও চারটে  বেগুনি দিয়ে গেলো, আর বললো বাবুমুনি একটু খেয়ে নাও,সেই তো কখন খেয়েছো, এখন বিকেল ছটা বাজে, পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় নটা তো বাজবেই, বাস আর দাঁড়াবে না। গ্রামের লোকেদের কাউকে সম্মোধনের একটা খুবই সহজাত কথা আছে সে বয়সে ছোটো হলে মনি বলে, আর সমবয়সী বা বড় হলে বাবু বলে, এই দুটো কথা বেশ মনে ধরেছিলো তখন থেকেই। 
বাস এসে পৌঁছলো গ্রামে প্রায় নটা ছুঁই ছুঁই। বাস থেকে নামতেই চারিদিকে কাদা আর কাদা, কিছুদূর হাঁটার পর পা দুটো প্রায় ভারী হয়ে গেলো কাদার ওজনে, দিদি আর আমি উঠে বসলাম তিনচাকার ভ্যান রিকশোই।ভ্যান টাও ছাড়ে না,
কারণ জানতে পারলাম বাসের মাথায় বিয়েতে পাওয়া যে সমস্ত জিনিস যেমন খাট, তোষক, আলমারি, কিছু বাসনপত্র, ড্রেসিং টেবিল, ওগুলো নামানো হবে, কারণ চারিদিকে অন্ধকার, ঐ হ্যাজাকের বাতিই সম্বল আলোর জন্য।
 দেখলাম গ্রামের ছেলেরাই সে কাজে হাত দিলো ভারী উৎসাহের সাথে আর মুহূর্তে নামিয়ে আল দিয়ে হেঁটে মাথায় নিয়ে রওনা হোলো। এর পর ভ্যান ছাড়লো, সঙ্গে হেঁটে চললো বরযাত্রীর লোকজনেরা, আর গ্রামের মহিলা সঙ্গে বেশ কিছু কচিকাঁচাদের একটা জনা বিশেক দল। আলো বলতে হ্যাজাকের বাতি, দুপাশে ধান খেত, বৃষ্টি আসাতে ধানক্ষেত থেকে উঠে আসা ব্যাঙের ডাক, আর সঙ্গে জোনাকি পোকা, আমার জামায়, দিদির শাড়িতে, মনে হোলো তারা ও স্বাগত জানাচ্ছে আমাদের আলো করে, পথ দেখিয়ে।
 কিছুদূর যেতে না যেতেই কানে ভেসে এল মাইকের আওয়াজ গান চলছে এখনো মনে আছে “ লাজে রাঙা হোলো কোণে বৌ গো “, একজন এসে বললেন চলে এসেছি, ঐ যে মাইক বাজছে ওটাই তোমার দিদির বাড়ি। যাক পৌঁছলাম, দেখলাম দোতলা মাটির বাড়ি, শাশুড়ি বেড়িয়ে এসে বৌমাকে বরণ করলেন আর আমি সরোজমিনে ঘুরে ঘুরে গোটা বাড়িটা দেখছিলাম। কিছুক্ষন পরে আমার আর দিদির স্থান হোলো দোতালার ঘরে।
আমি একটু জিরোচ্ছি দিদির পাশে শুয়ে, শাশুড়ি এসে বললেন, বৌমা এখনই কাপড় ছেড়ো না গ্রামের সবাই আসবে তোমায় বরণ করতে। বলতে বলতে দেখি একটা বড় বারকোষ রাখলেন খাটের সামনে মাটিতে। গ্রামের মহিলারা আসতে শুরু করলেন একে একে আলতা নিয়ে সঙ্গে কেউ কেউ কাঁচা টাকা, সবাই বৌ দেখার ভেট স্বরূপ ওগুলো বারকোসের উপর রাখলেন।
আলতার গায়ে লেখা  খুকুমনি, সোনামুনি, রাঙা বৌ, মিষ্টি খুকু,সোহাগ, লালঝুটি, মনেরেখো, ইত্যাদি।
দেখতে দেখতে চোখ ধাঁধিয়ে গেলো, আর ঘুম চলে এল। দিদি আমায় ডেকে তুললো রাতের খাওয়ার জন্য, কোনোরকমে চোখ মুছতে মুছতে খেতে গেলাম নিচে। দেখি নানান ধরণের  মাছ আর  ভাত, সঙ্গে দই মিষ্টি। মাছ দেখেই গা গুলিয়ে এল কোনো ভাবে কিছু না বলে মুখবুজে খেয়ে ফেললাম আর দিদিকে দেখলাম সে হাসতে হাসতে শ্বশুর বাড়ির  খাওয়ার গুলো নির্বিকারে খেয়ে ফেললো । মনে ভাবলাম এই দিদিই কতদিন খেতে বসে খাওয়ার পাতে মাকে উঠিয়ে ডিমভাজা করতে বাধ্য করতো। আসলে মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে সব কটা জিনিসই প্রথম দিন থেকেই আপন করে নিতে চায়, এটা তাদের মনের কষ্টের সাথে সমঝোতা করার একটা বিরাট ধর্ম। যাক গিয়ে শুয়ে পড়লাম দোতলার ঘরে, ছোট্ট এক কাঠের জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকাতে তাকাতে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙলো বেশ ভোর বেলায় গ্রামের লোকের কথাবার্তায়। 
মেজদির থেকে শোনা কথা, বড়দির বিদায়ের পর বাবা খুব কেঁদেছিলেন, আর বলেছিলেন "পারবে কি আমার মিতু সে দেশের গ্রাম বাংলার জীবনের সাথে আগামী দিনগুলোতে নিজেকে মানিয়ে নিতে? "। বড়দি পেরেছিলো সে সংঘাতের সাথে মানিয়ে নিতে, নিজেকে একাত্ম করে নিতে তাঁদের সাথে।
পরবর্তীকালে বাবা অবাক হতেন, সেক্ষেত্রে বাবার হার হয়েছিল আর আমার ভালোবাসার বড়দির সে জিৎ। পরবর্তী অধ্যায়ে আসছি,সে আরেক কাহিনী পরের দিনের বৌ ভাতের কাহিনী যা আজও অবাক লাগে ভাবতে ।  আগামী পর্বে সে আরো মজাদার ও বর্ণনাপূর্ণ এক গল্প।


Comments

sadamata101.blogspot.com

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

সন্তোষ ঢাকি

B-71#GANESH_PRASADAM. ( গনেশজির ভোগ নিবেদন মোদক ও পূরণ পুলি)