Posts

Showing posts with the label FEELINGS

B-131# গল্পের লোক চাই

Image
গল্পের লোক চাই  

B-129#ছেঁড়া পাতায় ইচ্ছের কাহিনী

Image
!! ছেঁড়া পাতায়   ইচ্ছের  কাহিনী !!   আমার লেখা প্রথম সেই বই খানা ছিল আমারই আত্মজীবনী , সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলাম মাঝের ঘরে বইয়ের সেলফ এ । বহুকাল পরে সেটা যেদিন খুললাম সালটা বোধকরি 2006 সন , মাঝের বেশ কিছু পাতা উয়ে খেয়ে নিয়েছিল ওটা আমরাই ভালো লাগা কিছু উক্তি । চলে গেলো কি আর করার, মনকে মানিয়ে আবারও যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম । ঠিক আট বছর পরে হঠাৎ মনে পড়লো দেখি তো বইয়ের পাতা গুলো ঠিক আছে কিনা , দেখলাম মাকে নিয়ে কাটানো সেই সময় গুলো,   আবার করে নষ্ট হয়েছে উইয়ের দাপটে । মন মানলো ঠিক আছে এবারে ভেবেছি মাঝে মাঝেই বই টা খুলে দেখবো , ঠিক তারই দুবছর পরে সালটা 2014 ডিসেম্বর মাস দেখি সবশেষ , তাই ওষুধ দিলাম , উইয়ের জাত সে কি পাল্টায় ,   বছর  তিনেক পর   ছোড়দিকে নিয়ে কাটানো  সে সময় গুলো একটাও আস্ত রাখেনি । বুঝলাম উই গুলো আমার সাথে চলে, তা   চলুক । 2020 সন প্রায় অর্ধেকটা   বই ই শেষ,মলাট টাকেও সে ছাড়েনি মন বললো এটা ভবিতব্য । উই তুই যদি সবই শেষ

B-125# ইতি বিজয়া

Image
ইতি বিজয়া  গেলো বছর শীতকালে বারান্দায় রোদ পোহাতে বসে,  কত পাকা হলুদ পাতিলেবু,গাছ থেকে মাটিতে পড়েছিলো, শরীর সায় দিচ্ছিলো না সেদিনও তোমার, তাও আচার বানিয়ে প্রত্যেকদিনের মত রোদে শুকোতে দিতে, কারণ আমি যে বড্ড পছন্দ করি বলে। বিজয়া, তোমার সেই কথাটা আজও মনে ধরে, সেদিন আর শুকোতে দেওয়া হয়নি,পাতি লেবুর মতো ঝরে পড়েছিলে তুমিও,তা ভুলি কি করে। জানো,গোটা লেবুটা এখন খেতে পারিনা, ইচ্ছে হলেও না, ওটা শেষ হলে-তোমার হাতে বানানো শেষ ভালোবাসার সম্বলটুকুও যে ফুরিয়ে যাবে বিজয়া। এখন সব না পেরেও পারি, পারতে হয়, ভোর চারটেতে উঠে রামদেব বাবা, পাঁচটায় morning walk , এসেই হাল্কা লিকার চা, টিফিনে শসা, আলুসেদ্ধ দিয়ে বাসি রুটি, আর ঐ কেটে যাওয়া দুধের,অল্প ছানা। অমিতের মা এখন কাজ করে না,ছেড়ে দিয়েছে। সে বললে যে বাড়িতে একা পুরুষ মানুষ, "যতই টাকা দিন কাজ করবো না কো"। দুপুরের খাওয়াতে মঙ্গল শনিতে চালে ডালে, বাকি কটা দিন ভাত আর কিছু সবজি, রাতে কোনোদিন দুধ মুড়ি বা মাঝে মধ্যে বিনয়ের থেকে রুটি,তাই দিয়ে চলে যাচ্ছে ঠিক বলবো না, বলতে পারো মানিয়ে নিচ্ছি । বিজয়া আগে কখনো ভেবেছি এদিন আসবে, ত

B-117#বাবার ছেঁড়া শার্ট

Image
বাবার ছেঁড়া শার্ট  বাবার আমার ছেঁড়া শার্ট,            কপালে পড়েছে বার্ধক্যের ভাঁজ, চামড়া গুলো আজ গুটিয়ে গেছে,       কত কল্পনায় আমায় বড় করেছেন। আমার মূল্য তাঁর বসনের সেরা,       রঙিন বোতামগুলো মনে দেয় নাড়া, প্রতিটি বোতাম কত রংবেরং, একই                         পোশাকে,কৈ দেখাচ্ছে না তো সং? আমার আজকাল প্রচুর অর্থ,           ফারাক শুধু চেতনায় আমি ব্যর্থ, রঙিন বোতাম আমারই কথা বলে,   জীবনের নানান ছন্দ আঁকড়ে আছেন,                            পরিচিতি ঐ রঙিন বোতামে ধরে।

B-110#মগজের সুখ দুঃখ

Image
                 মগজের সুখ দুঃখ  জীবনের সব আনন্দ গুলো ভাগ করে নেবো সবার সাথে, দুঃখ সে তো নিজের কাছেই, সে ভাগ রবে মনের কোণে। ভালো বলতে দোষটা কোথায়,একটু হলেও যে উৎসাহ পাই, কোথাও যেন হারিয়ে গেছে,দোটানায় মানুষ নিশ্চুপ তাই। মনের কাছে মনের দ্বন্দ্ব, এই বুঝি তাই,বেশ তো আছি, হাল্কা থেকে হাল্কা ভাববো,গভীরে গেলেই কটূক্তি যে পাই । কি দরকার বেশি মাখামাখি, ঘরকুনো হয়ে সত্যি আজ থাকি, মনের দ্বন্দ্ব সেটা তো লজেন্স, চুষে চুষে শুধু মাথাটা ভায়োলেন্স, বয়স হোলো আজ বেশ তো ভাবি, দ্বন্দ্ব ঘোঁচাতে দেখি, খুলি সব চাবি। চাবি গুলো সব মরচে ধরেছে, মাথার খুলিতে ব্যামো যে হয়েছে।

B-101# দিদিফোঁটা

  দিদিফোঁটা  ভায়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,           হারিয়ে গেছে সেই চেনা ছবিটা  উপোসি দিদির মিষ্টির থালা,           বাড়িয়ে দিত কত শুভ ইচ্ছার বারতা। যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা ,               দিদি নেই আজ শুধু স্মৃতিতে আটা । দিদির কপালে পড়লো কাঁটা                যম বুঝি ভায়া নিচ্ছেন দিদি ফোঁটা । অকালে নিলে কি করে বিধাতা,         মনে পড়ে আজও এতকালের কথা । দিদি তুই কত দিয়েছিস ফোঁটা,       এবছরে ভাই ছবিতে দিল দিদিফোঁটা ।                   

B-99# পিতৃহারা মাধু (শুভ ও সুমেধার সপ্তদশ অধ্যায়)

Image
পিতৃহারা মাধু (শুভ ও সুমেধার সপ্তদশ অধ্যায়) মাধু ও তার ভাই এই নিয়ে তাদের অনিশ্চিতের  পরবর্তী জীবন শুরু। কতোটুকুই  বা তাদের বয়স যেখানে ভালোবাসা চলে যায় সেখানে ছিবড়ে হয়ে পড়ে থাকা ছাড়া আর কি উপায় আছে। মা বাবার ভালোবাসা,স্নেহ, আদর থেকে তো কবেই বঞ্চিত ছিল তারা দুই ভাই বোন। অনেকটা আখের লাঠির মত তাদের জীবনটাকে  পিষতে পিষতে জীবনের বেঁচে থাকার রস টাও ছিনিয়ে নিয়েছে পরিস্থিতি। এখন তারা ছিবড়ে হয়ে বসে আছে বাবার ট্রেনে কাটা পড়া দুটুকরো হওয়া দেহটার পাশে। মাধু কখনো স্বাভাবিক আবার কখনো কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে এক কোণে। ভারী অদ্ভুত লাগলো এই হেদুয়াকে দেখে, মাধুর কাছে কত শুনেছি ওর কথা পোষ্য বলেই হয়তো সব পরিস্থিতি ও বোঝে। আপোস করে চুপ করে বসে আছে মাধুর পাশে একেবারে মুখটা মাটির সাথে টান টান করে শুয়ে শেষ যাত্রায় সে ও হয়তো সামিল হয়েছে।      ন কাকিমা, গাড়িতে বসে কি লিখে চলেছো? নিশ্চয় মাধুর সম্বন্ধে। জানো এই তো কটা দিনের আলাপ তারমধ্যে তার ভালোবাসা, উচ্ছাস, আনন্দ ছোটো ছোটো ব্যাপারে মাতামাতি বাড়িতে কান ঝালাপালা হয়ে উঠতো। মলি বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই ও হয়ে উঠেছিল

B-78#মাধুর - তৃতীয় ভাগ – হেদুয়া ভেদুয়া ( শুভ সুমেধার পঞ্চদশ অধ্যায়)

Image
মাধুর – হেদুয়া ভেদুয়া ( শুভ সুমেধার পঞ্চদশ অধ্যায়) আয় আয়,আয় আয়, এই হেদুয়া আসবি আমাদের বাড়ি, কি রে বসে আছিস কেন? জানিস আমাদের মরা পোড়া গাঁয়ে তোর একটা দাদা আছে ওর নাম ভেদুয়া, তুই তো খুব ছোটো ভেদুয়ার থেকে তাই তোকে হেদুয়া বলেই ডাকবো। বুঝলি? কি রে চুপ করে মাটিতে মুখটা বাড়িয়ে শুয়ে আছিস কেন? খেতে দেয়নি বুঝি তোকে তোর মালিক। চলে আয় এখানে,আমাকে জানিস এরা পেট ভরে খেতে দেয়, বড় মা বড় বাবা খুব ভালো এখানে অনেক খাওয়ার। আর হ্যাঁ শোন্ আমাকে যা খেতে দেয় খেয়ে শেষ করতে পারিনা, কি আছে তুই ও খাবি আমার সাথে রাতে আমার সাথে ঘুমোবি। জানিস ভেদুয়াটা এখন খেতে পারছে না বোধহয়। আমরা এমনিতেই গরিব তার উপর নিজেদেরই অর্ধেক দিন খাওয়া হতো না তো গাঁয়ে। জানিস যেদিন খাওয়া হতো না আমরা দুজন দুজনের গলা জড়িয়ে শুয়ে পড়তাম।  কি আছে হয় ,এগুলো তো আমাদের গাঁয়ে ঘরে ঘরে কত লোক যে খেতে পায় না।  তুই আসবি কি তাহলে দরজাটা খুলে দেবো?              মাধু এই মাধু ছাদে কার সাথে কথা বলেই চলেছিস। তোকে তো ছাদে পাঠানো বড়ই মুশকিল, এখানে চিনিস না জানিস না কাউকে, সবে এক সপ্তাহ হয়েছে, অমনি সবার সাথে যেচে আলাপ করেই চলেছিস, নিচে নেমে

B-66 #মিতুর চিঠি( বড়দি গল্পের সপ্তম ভাগ)

Image
                       মিতুর চিঠি  শ্রীচরণকমলেষু বাবা ও মা,                                        আজ বহুদিন পরে তোমাদের চিঠি লিখছি। এখান থেকে পোস্টঅফিস অনেক দূরে আমার ননদ মানে বাণী সে শহরে থাকে মানে কাঁথিতে, সেখানে সে পড়াশুনার জন্য থাকে। সপ্তায়ন্তে আসে, আজ শনিবার তাই আসার সময় আমার জন্য একটা ইনল্যান্ড লেটার এনেছে। বহুদিন তাকে বলেছি, সে ভুলে যায়,আজ তাই তোমাদের এই চিঠিখানি লিখছি। বাবা দোতলার ঘরে ছোট্ট জানালা, বাইরে তাকালেই বিস্তীর্ণ অঞ্চল শুধু ধান খেত, আর দূরে অস্পষ্ট বাঁধ দেখা যাচ্ছে, আমার জানালা থেকে। ঠিক বাড়ির পূর্বপাড়ে যেখানে কলাবন, তার পাশেই বড় রাস্তা। কিছুদিন যাবৎ কলকাতা গামী একটা বাসের পরিষেবা চালু হয়েছে। বাসের কন্ডাক্টর টা সমানে চীৎকার করে বলেই চলেছে – “হাওড়া, হাওড়া, ধর্মতলা ধর্মতলা “ তার সে ডাকে কানটা ঝালাপালা হয়ে উঠেছে, মনে হচ্ছে কতদিন সে ধর্মতলা ও দেখিনি আর সেই হাওড়া স্টেশন,যেখানে একটা সময় হারিয়ে গিয়েছিলাম  সেই পাকুড় থেকে আসার সময়।আসলে গ্রাম বাংলার জীবনটা আমার জীবনের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে গেলো। সবই মা ভবিতব্য, এগুলো তোলা থাকে, সে যতই চেষ্

B-64# মাধু- প্রথম ভাগ. ( শুভ সুমেধার ত্রয়োদশ অধ্যায়)

Image
মাধু সুমি এই সুমি, কিরে আজ আটটা বাজে এখনো ঘুমোচ্ছিস। ভোর বেলায় হাঁটতে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় দেখি উঠিসনি। তখনই ভেবেছি কাল অনেক রাত্রি করে ঘুমিয়েছিস নিশ্চয়। মলি ফোন করেছিলো না রে? তাই এতো দেরি করে উঠছিস। নে নে দরজা খোল “ পান্থপথিক “ থেকে গরম গরম জিলিপি আর হিঙের কচুরি এনেছি, একসাথে খাবো বলে।               ওহো নকাকিমা, আর বোলোনা কাল মলির সাথে কথা বলতে বলতে প্রায় রাত দুটো, তারপর একটা লেখালিখি চলছিল, সেটা সবে অর্ধেকটা হয়েছে,শুতে শুতে প্রায় রাত সাড়ে তিনটে। উফফ কি হাই উঠছে, ভালোই করেছো আজ আর টিফিন বানাতে ইচ্ছেই করছে না। দেখি মুখটা ধুয়ে চা বসাই।     আরে বাবা আজ অনেক জরুরি কথা বলার জন্যই এসেছি, তাইতো এগুলো নিয়ে এলাম, রান্নাতে ব্যস্ত থাকলে আর কথা বলা হবে না। তুই মুখ ধুতে ধুতে শোন্ যা বলছি। বলছি একদিন আমি SOTC র হেড অফিসে ঘোরাঘুরি করছিলাম US যাওয়ার জন্য। ভিসা ওসব নিজের থেকে বানানো বড়ই মুশকিল, কোথায় দৌড়োবো, কে করে দেবে, তাই বলছিলাম তোদের পাসপোর্ট গুলো আমায় দে, আর হ্যাঁ ভালো কথা মলির তো  সামনে ছুটি আছে বলছিলিস, তাই ওর ছুটি দেখেই যাবো।         ন কাকিমা কালই মলি বলছিলো আগামী মাসের