Posts

Showing posts with the label SIMPLICITY

B-130#মুটে যোগিন্দর

Image
মুটে যোগিন্দর   বিহারের সিবান জেলায় , মধুবানিতে গাঁও, বড়বাজারে মুটে আমি , বাবু “ যোগিন্দর কহকে বুলাও ” । সোনাপট্টিতে একটা ঘরে বারোজনের বাস , বদলি করে রাতে ঘুমোই , তাই মেটেনা আস্কতির আশ । বহুত খাটি মাল বয়ে , দেশে ছয় টা মেয়ে , দুই টাকে বিহা দিসি , একটা আরো আছে , কোলের   ছেলে । মাস গেলে দু হাজারের নোট , বিশ টা দিতে হয় , লিট্টি , চোখা , কুদরী ভাজায় দিন গুজরান কোনোমতে হয় । মিথ্যা বলিনা কভি হমার কুছ না খরিদতে হয় , মাঠের ধান , মাঠের গেঁহু , মন দশেক ভাগে  রয় । গাঁওয়ে আমার দুইটা বাড়ি , দুইটা বিবি আছে , একটা আবার পোয়াতি হয়েছে , তাই ভাবছি আনবো কাছে । ওহে যোগিন্দর তোমার যোগ ভারী চমৎকার , কোনো অংশে কম নও তুমি মানুষ টা জম্পেস মজাদার । হাম তো হে মালিক কি মুটিয়া , যাহা মাল মিলে ওহি ছুটে , ছুটনা জিস দিন বন্ধ হোগি , রাম জানে ক্যা হোগি আপনি য়ে বিতি  বাঁতে ।  কর্ম হি অগর জীবন হে, উস লিয়ে কাম করতা হুঁ, জিন্দেগী কিসিকা এক নাহি হোতা, ভাইচা

B-122#জহর বাবু

Image
জহর বাবু “ফিরকি” নামে চেনা সিরিয়াল,                               রোজ যে দেখা চায়, “কি করে বলবো তোমায়”            ওটা দেখি আগে, পরে এসো ভাই। "কৃষ্ণকলির" দারুন ক্লাইম্যাক্স,                 লেপের ভিতরে মজার আমেজ, জহর বাবুর হাজার কাজ,              সিরিয়াল না পেলেই কপালে ভাঁজ। ঠান্ডাটা বেশ পড়েছে,                   "রানী রাসমণি" ও জমে উঠেছে, কোনো কাজ করবে না সে,                কুলুপ এটে তাই টিভিতে বসেছে। কোন সেই ভোর বেলাতে,                  এ শিফট ডিউটির পাট চুকেছে, ফিরতি পথে মুর্গা এনে,                 বৌ রেগে আবার কাটতে বসেছে। আনখাই কথা বলেন না উনি,                         যোনটা বলেন শোনটা শুনি, আজ শনিবার নিরামিষ বার,                  ঝোল খায় শুধু, বাকিটা রবিবার। নিয়মটা তাহলে ভঙ্গ করো,                                 মা কালির দিব্যি বলছি,            দমতক আজ  ভুল হয়ে গেলো।  

B-55#কোনো এক গায়ের বধূ ( বড়দি গল্পের পঞ্চম ভাগ)

Image
কোনো এক গায়ের বধূ  বেশ কিছুদিন থাকতে থাকতে এই গ্রামটা, লোকজন গুলোকে, গ্রামের চারিপাশের চিত্রটার উপর কেমন একটা যেন মায়া পড়ে গেছে। আসলে আমি যেখানেই যাই সেই জায়গাটাকে চেষ্টা করি উপলব্ধি করতে, এই তো গ্রামের এক লোকের সাথে কাল বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে চলে গিয়েছিলাম বাঁধ দেখতে, এই বাঁধ যেমন খরার সময় গ্রামকে সারাটা মাঠে জল দেয়  আবার কখনো গ্রাম কে গ্রাম সে জলে নষ্ট করে দেয়। আজ চলে যাবো বাড়ির জন্য ও মনটা খারাপ লাগছে, দাদার বাড়ির লোকজন না খাইয়ে ছাড়বে না। আমাদের বাড়ির একটা চল আছে  যে কোনো আনন্দ বা দুঃখের দিনেও অনুষ্ঠানের পরের দিন গানবাজনার আসর বসে । তাই বড়দির বাড়িতে নিয়মমাফিক সেই গানের আসর ও বসলো।জ্যেঠতুতো দাদা গান ধরলেন, ছোড়দি আবৃত্তি- সুকান্তের দেশলাই কাঠি, মেজদির নাচ সেই চিত্রাঙ্গদা, আর বড়দির সেই বোকা বোকা একটাই নাচ, বেচারি জানতো না  যে  সে নাচতে পারে না,তাও সকলে জোর করাতে বিন্দুমাত্র লজ্জা পেত না আর সেই একই গান “ফুলকলিরে ফুলকলি বল তো এটা কোন গলি “নির্দ্বিধায় সে নাচতো। বড়দি এই গ্রাম্য জীবনটা বেছে নিয়ে ছিল বলেই হয়তো সে এই গলিটা আপন করতে পেরেছিলো একেবারে বাস্তব জীবনে।