Posts

Showing posts from July, 2020

B-12 # KITE (ঘুড়ি) (শুভ সুমেধার প্রথম ভাগ)

Image
                        ঘুড়ি  সুমি, সুমি কোথায় গেলে,  আরে আমার চশমাটা দাও তো আর গীতবিতান টা একটু নিয়ে এসো , বেশ ইচ্ছে করছে আমার পছন্দের রবীন্দ্রনাথের একটা গান গাই -  ” রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও, যাও গো এবার যাওয়ার আগে “.....   বাবা আজ সকাল থেকেই প্রেম উথলে উথলে উঠছে দেখছি শুভ, হোলোই  বা  বিবাহবার্ষিকী তাতে কি হয়েছে।  এতটা বছর কেটে গেছে বিয়ে হয়েছে কোনোদিনও তো এত সখ জাগেনি তোমার । ভোর বেলা থেকেই শুরু হোলো বিসমিল্লাহ খাঁ কে নিয়ে সানাই - রাগ ভৈরবী , সেটা শেষ হতে না হতেই  বনলতা সেন,  আবার রবীন্দ্রনাথের প্রেম পর্যায়ের গান , এখন আবার নিজে গান গাইতে বসলে ! কি হচ্ছে শুভ,  আজ মালতি আসবে না বলে দিয়েছে তাই আর ডেকো না।  ঘরমোছা , বাসনমাজা সব করতে হবে। আর হ্যাঁ শুভ, একটু  বাজারে যাও, আলু আনতে হবে, আর রিফাইন্ড তেল এনো। লুচি করবো বেগুন ভাজা দিয়ে সঙ্গে গুনে গুনে ছটা দানাদার এনো, তোমার তো আবার সুগার, আমাদের তিনজনের মতো।                               ধুর,   দিলে তো মুডটাই নষ্ট করে, আজ এই নেই  তো কাল সেই নেই, কি আশ্চর্য, দাও বাজারের ব্যাগ টা দাও আমি ঘুরে আসি। আর মালতির কি হোলো ওরও কি বিবা

B-11 # SWEETS_MIMOSA_SUGAR_BALLS_ ইতি_নকুলদানা

Image
  ইতি নকুলদানা আমার বড়দিদি যিনি আজ আর নেই, তাকে ঘিরেই জীবনের নানান কাহিনী আজও মনে পড়ে, একটা মজার ঘটনা নিয়ে আমার এই লেখা নকুলদানা। আসল চরিত্রের নাম উহ্য রেখেই এই কাহিনী লেখা। কিন্ত সম্পূর্ণ গল্পটাই বাস্তব সত্য। শ্রীমান শ্রীমতি নাথ, বহুবছর পর শখ হোলো বিদেশ যাবেন, অর্থের অভাব নেই, প্রাচুর্য্যতাই ভরপুর, কিন্তু যাবেন কি ভাবে। চাইলেই তো  আর বিদেশ  যাওয়া যায় না, এ যে স্বদেশ নয়, টিকিট না পেলে  দালাল ধরে টিকেট কাটলেই হোলো, আর ট্রেনে উঠে বসলেই হোলো পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে।  যাক পাড়ার এক মহিলাকে উনারা যথেষ্ট শিক্ষিত ভাবেন। কারণ মহিলাটির যথেষ্ট সম্যক জ্ঞান আছে বাইরের জগতের, রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে, পাসপোর্ট, ভিসা কি ভাবে করতে হয় পুরোটাই। শ্রীমান শ্রীমতি নাথের কিন্তু হার স্বীকারের বিন্দুমাত্র কোনো ইচ্ছায় নেই দাস বাবুর স্ত্রীর কাছে। যদিও দাস বাবুর স্ত্রী উনাদের থেকে বয়সে অনেকটাই ছোটো, তাই নাথবাবুরা তাঁকে কখনো তুই আবার কখনো তুমি সম্মোধনে কথা বলেন।         আর বোলো না জুঁই তোমার দাদা এত বোকা একটা ট্যাব না ধ্যাব কি বলে না,কিনে এনেছেন প্রায় অনেক টাকা দিয়ে একেবারে আপেল কো

B-10 #SURVIVE বাঁচবো

Image
                                                               বাঁচবো  না রিপোর্ট টা ভালো নয়, ডাক্তার যেটা সন্দেহ করছিলো সেটাই ঠিক। কি করে বলি, থাক মানে মানে সব কিছু চুকে যাক আর তো কটা দিন বলতে তো হবেই, না বললে ট্রিটমেন্ট টাও তো  শুরু করি কি করে।    মা, তুমি এখনোও শোবে না, অনেক তো রাত্রি হোলো।  মা টেবিল লাইট টা অফ করো না,  আমি যে ঘুমোতে পারছি না।      তুই ওপাশ ফিরে শুয়ে পড় , আমি একটু দশকর্মার ফর্দ টা মিলিয়ে নি। আর তো বিয়ের কটা দিন বাকি, ভাবছি টাকা পয়সায় সব কুলোবে তো। কাল তো ক্যাটারিং এ অ্যাডভান্স দিতে হবে, লাইট আছে, বাদ্দযন্ত্রওয়ালারা আছে, আত্মীয় স্বজন আছে, লোকজন খাওয়ানো আছে, সুমেধা হয়ে যাবে তো,  বল। কিরে শুয়ে পড়লি নাকি?     না মা শুইনি,  আমিও ভাবছি, আচ্ছা দাঁড়াও আসছি। ভাবলাম তুমি একটু ঘুমোবে, সারাটাদিন কতই পরিশ্রম করো, তাই আমিও ঘুমোনোর ভান করছিলাম।আচ্ছা মা জানি তো সবই, তাও জিজ্ঞাসা করছি আর কি? বাবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাগুলো আর কি পাওয়া যাবে না?  মা খরচ গুলো একটু কমানো যায় না,  অতো লোক খাওয়ানোর কি আছে মা?  আজকের দিনে তুমি খাওয়ালেও বদনাম করবে, আবার না বললেও বদনাম করবে তাত

B-9 # subhendu sir(শুভেন্দু স্যার)

Image
স্যার,  আমার প্রণাম নেবেন, আমি দেবপ্রিয় সেন, আপনার সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগলো, আবার করে ইচ্ছে করছে সেই একই ক্লাস রুমে আপনি আমাদের  পড়ান। যে শিক্ষা টা আপনি দিয়েছিলেন, সেটা জীবনের মূল্যবোধ, সেটা আজও ভুলিনি বলে, আপনাকে আবার করে খুঁজে পেলাম। আপনি ছিলেন আমাদের মনের মধ্যে একজন শিক্ষক, আরেক জন বাস্তবিক নায়ক, একেবারে ফ্রেঞ্চ কাট দাঁড়িতে সে এক সুবিশাল মানুষ যাঁকে মনে মনে জায়গা দিয়েছিলাম একজন পথ প্রদর্শক হিসেবে। এতটা বছর কেটে গেছে, প্রায় চৌত্রিশ তো হবেই, আজও আপনার গলাটা সেই প্রাণবন্ত  আছে, উচ্ছাসের বিন্দুমাত্র ঘাটতি হয় নি আপনার কথায়, যেমনটা আগেও ছিলেন। আপনার সেই নাটকের নির্দেশনা মহেশ, আমিনা, গফুর মিঞা, কি করে ভুলি, সে তো আজও স্মৃতির মনিকোঠায় ভাসে। আমিনা নেই আর,সে চলে গেছে ঘুমের দেশে - তার সেই ডায়ালগ " হে আল্লাহ, যে তোমার দেওয়া তৃষ্ণার জল, তোমার দেওয়া ভিটেমাটি কেড়ে নিলে, তার কসুর তুমি কোনোদিন মাফ কোরো না "। স্যার প্রসঙ্গত বলি আমিনা আমার বোন, সংগীতা। আপনার প্রতিটি কথা, আজও মনে পরে, গিধনি স্টেশনটার উপর দিয়ে যখনই যাই, আজও মনে হয় আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। একটা আদর্শবান মানুষ, শিক্ষক ক

B-8 #REUNION (রিইউনিয়ন) 1985 GHATSILA

Image
                                                                       REUNION (রিইউনিয়ন) -1985                    GHATSILA শুভজিৎ ও সুমেধা  তারা  যেন ছোটবেলা থেকেই হরিহর আত্মা, যখনই স্কুলে যেত প্রায় একই খাঁচা গাড়িতে, যেদিন শুভজিৎ  যেত না, সুমেধা  কিন্তু বেশ সারাটা দিন স্কুলে মনমরা হয়ে থাকতো, ইংরাজি মাস্টারমশায়ের কাছে পড়তে গেলেও তারা  প্রায় দুজনেই উল্টো দিক করে  বসতো, কারণ তারা যেন সবসময় সামনা সামনি দুজন  দুজনকে দেখতে পায় , এক অর্থে তারা  ছিল বেশ ভালো বন্ধু ।  শুভজিৎ  বা তাদের অনেক বন্ধুরা মাধ্যমিক বা তার আগের থেকেই কোথাও যেন মনে মনে মন দিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কাকে ।  কারণ প্রিয়াঙ্কা  ছিল ক্লাসের ফার্স্ট লেডি তার উপর তার গায়ের রং ছিল ভারী উজ্জ্বল, তাই প্রিয়াঙ্কার অজান্তেই ক্লাসের বেশ কিছু বন্ধুরা প্রিয়াঙ্কা  কে চাইতো সেটা হয়তো প্রিয়াঙ্কা  বেশ বুঝতে পেরেছিলো।  মাধ্যমিকের পর বহুকাল কেটে গেছে প্রায় চৌত্রিশ টা বছর, হঠাৎ একদিন শুভজিতের  বাল্যকালের বন্ধু দীপের  ফোন আসে। দীপ  :- শুভজিৎ,  আমাদের রিইউনিয়ন হতে পারে একটা গ্রুপ করেছি আমাদের স্কুলের নামে,  তোর নামটা ওই

#B-7:- ডাক

Image
                   ******ডাক ****** জীবনের সব চাওয়া পাওয়া গুলো,          আজও যে কেবলই অপূরণ রয়ে গেলো,  থাকলো,  সে তো অধরা কথা গুলো,             না বলার আগেই শুন্যে বিকল।  কত যে ঝগড়া, কত যে প্রেম,                আজও মনে হয়, এই তো সেদিন,   আজ শুধু ভাবি, স্মৃতিগুলো নিয়ে,                  এতো তাড়াতাড়ি কেন এ দুর্দিন।  সকলের ছোটো, ছোটো হয়ে থাকি,     মনে পড়ে আজও  সেগুলোই যে ছিল বেশ, বড় হতে আর পারলাম কই,             তাই শুধু টানি  জীবনের রেশ। তোলা তোলা করে বড় যে হয়েছি,                              যারা তোলা রেখেছিল?  কেবলই আজ হারাতে  বসেছি।    আর কি পাবো সেই তোলা দিন,                     স্মৃতি শুধু বেদনার যে আজ,       বাকি  সবই হয়েছে  যে ক্ষীণ । বাঁধনের বাঁধ ভেঙে যায় কখন , ছিন্ন হয় সে  যখন তখন ,        সম্পর্কের বাঁধ গুলো তাই,  স্মৃতিতেই  রই                       সারাটা জীবন।  ***************************************