B-125# ইতি বিজয়া
ইতি বিজয়া গেলো বছর শীতকালে বারান্দায় রোদ পোহাতে বসে, কত পাকা হলুদ পাতিলেবু,গাছ থেকে মাটিতে পড়েছিলো, শরীর সায় দিচ্ছিলো না সেদিনও তোমার, তাও আচার বানিয়ে প্রত্যেকদিনের মত রোদে শুকোতে দিতে, কারণ আমি যে বড্ড পছন্দ করি বলে। বিজয়া, তোমার সেই কথাটা আজও মনে ধরে, সেদিন আর শুকোতে দেওয়া হয়নি,পাতি লেবুর মতো ঝরে পড়েছিলে তুমিও,তা ভুলি কি করে। জানো,গোটা লেবুটা এখন খেতে পারিনা, ইচ্ছে হলেও না, ওটা শেষ হলে-তোমার হাতে বানানো শেষ ভালোবাসার সম্বলটুকুও যে ফুরিয়ে যাবে বিজয়া। এখন সব না পেরেও পারি, পারতে হয়, ভোর চারটেতে উঠে রামদেব বাবা, পাঁচটায় morning walk , এসেই হাল্কা লিকার চা, টিফিনে শসা, আলুসেদ্ধ দিয়ে বাসি রুটি, আর ঐ কেটে যাওয়া দুধের,অল্প ছানা। অমিতের মা এখন কাজ করে না,ছেড়ে দিয়েছে। সে বললে যে বাড়িতে একা পুরুষ মানুষ, "যতই টাকা দিন কাজ করবো না কো"। দুপুরের খাওয়াতে মঙ্গল শনিতে চালে ডালে, বাকি কটা দিন ভাত আর কিছু সবজি, রাতে কোনোদিন দুধ মুড়ি বা মাঝে মধ্যে বিনয়ের থেকে রুটি,তাই দিয়ে চলে যাচ্ছে ঠিক বলবো না, বলতে পারো মানিয়ে নিচ্ছি । বিজয়া আগে কখনো ভেবেছি এদিন আসবে, ত