Posts

Showing posts from 2021

B-158# ছোটো গাড়ি বড় গাড়ি

Image
!!    ছোটো গাড়ি বড় গাড়ি !! ছোটো গাড়ি বড় গাড়ি ,                          যাবো বাড়ি তাড়াতাড়ি , মায়ের সাথে দুপুর বেলায় ,                         খাবার খেয়েই গড়াগড়ি । বিকেল হলেই এমটুকে চায় ,                      হাল্কা মেজাজে ছিপি খুলি , ঠান্ডা বিয়ারে কুল্লি  করে ,           পরের  দুটোতে তাই  মেজাজে চলি। আমার যত ভাই বোন,                       ওদের আমায় দেখতে হবে , এতকাল সব হারিয়ে গেছিলো ,                         এত বছর পর ফিরে পেলি । গ্ৰুপ বাজি আর ধস্তাধস্তি ,                         কে যে কোথায় মস্তি করলি , কেউ বা কাউকে ব্লক করলি ,                  উড়ে এসে  আবার পালিয়ে গেলি । গুড মর্নিং রোজ দেওয়া চায়  ,                 সঙ্গে দুটো জ্ঞানের কথা, আমি তো ভাই রাতের পাখি ,                  তাও খোঁজ নি   রাত দুটো হলে,                          আমারই তো যত মাথাব্যথা। 

B-157# আজকের অপু

Image
!!  আজকের অপু !! আজকের অপু  ঘুরে বেড়ায় না,                এলাকার কোনো  বনে  বাদরে , দুর্গা শুধুই টানে অপুকে ,       দেখবি চল  আকাশে, প্লেন  কেমন  ওড়ে । কয়লার ট্রেনে তখনও ধোয়ায় ,                                  স্বপ্নটা ছিল ধোয়াশা ,   শিশু মন কত আঁকিবুকি আঁকে ,          জাগিয়ে রেখেছিল  অভাবি প্রত্যাশা । ছুট্টে যেত ভেঁপুর আওয়াজে,                জানান দিত আমরা আজও আছি, কাশ ফুলগুলো আজও ফোটে বনে,            অপু দুর্গারা কেন লুকোয় এক কোনে। অভাব যেটা তখন ছিল ,               আজও  আছে,  হয়তো প্রত্যাশা  বেশি , বাবারা কেবলই এক রয়ে গেছে ,             বেসামালে অবনতি একি পরিস্থিতি । ভোলা ময়রারা বাঁক কাঁধে নিয়ে ,                                শিশুরা পেছনে ছুটতো , মা বাবা আর অপু ছুটছে ,    একটু হলে দেরি, টিউশনটা মিস হয়ে যেত।    

B-156#খাপকাটা ক্ষীরপাই

Image
নামটা শুনে আপনারা প্রত্যেকে অবাক হচ্ছেন তাই তো? একটা সময় আমিও অবাক হয়েছিলাম। এটা বাঁকুড়া জেলার একটা প্রত্যন্ত জায়গার নাম আর সেই নামেই একটা রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংকের নাম তাও আবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটা শাখা।2009 সাল বাঁকুড়া জেলাটা রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছি ব্যবসার খাতিরে। বেশ বড় ধরণের একটা অর্ডার পেয়েছি জোনাল ম্যানেজার মারফৎ কিন্ত সে জায়গায় আমায় সরোজমিনে যেতে হবে একটা তদারকির কাজে। পশ্চিমবঙ্গে একটা প্রচলিত কথা আছে "মেরে খাপ খুলে দেবো" আদৌ কথাটার মধ্যে কোনো যথার্থতা আছে কিনা আমার জানা নেই। লোকে কেনই বা বলে কে কার খাপ খোলে, খাপের অর্থ কি সেটাও অজানা। আমার এই খাপকাটা ক্ষীরপায়ের কিন্তু মানে খুঁজে পেয়েছিলাম, নিজের কতটা খাপ খুললে ক্ষীর পাওয়া যায় সেটাই বাস্তবিক কাহিনী আজকের গল্পের। আমাকে আগের থেকেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছিলেন বাঁকুড়া মোড়ে যদি সকাল সাতটার মধ্যে পৌঁছনো যায় সেখান থেকেই একটাই বাস ছাড়ে সারাদিনে, আবার সেটা বিকেল পাঁচটায় খাপকাটা ক্ষীরপাই থেকে ফেরৎ আসে , ওটা ধরতে পারলেই গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব। আমি যথারীতি বাড়ির থেকে রওনা দি রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ

B-155# রুটি কলা থেকে বেড়ে ওঠা লালন- ষষ্ঠ ও শেষ ভাগ

Image
একটা মানুষ হয়তো ভুল বসত একই আবর্তে ঘুরতে থাকে যেটা হয়তো আমি নিজেও করে চলেছি এতকাল। যা আমার হওয়ার নয় সেখানেই প্রতি পদক্ষেপে বাধা,আর তাতেই আমরা দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যাই, প্রশ্ন একটাই শুধুই আমার ক্ষেত্রেই কেন? আল্লাহ হয়তো অন্য আরো ভালো কিছু রেখেছেন আমার জন্য সেটা অনেক পরে বুঝি ।অবশ্য এটার ও প্রয়োজন আছে মানুষ ভুল থেকেই তো শিক্ষা নেয়।কোনো কিছু জোর করে করলে সেটা হয়তো পাড় পাওয়া যায়, কিন্তু মাসুলটাও গুনতে হয় অনেক বেশি পরবর্তী সময়ে। হোটেলের কাজ, আমড়া বিক্রি, ফলের ব্যবসা, আবারও হোটেলের কাজে একই আবর্তে ঘুরে চলেছি সেই ছোটোবেলা থেকে । জীবনের উদ্দেশ্য তো একটাই সব কিছুই করতে পারি আমি ঐ পড়াশুনোটা যদি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি। একদিন রাতে ভাবতে ভাবতে সারাটা রাত জেগে রইলাম,উত্তর পেলাম লেখাপড়া- ঐ পথে যদি যাই আমার আর কোনো বাধা আসবে না।এতকাল যে সব করেছি সেগুলো ছিল অভিজ্ঞতা এটারও প্রয়োজন আছে,তা না হলে নিজেকে শানিত করবো কি ভাবে- কোনটা ঠিক কোনটা ভুল? পরীক্ষার খাতা হাতে পেয়ে আমি তো খুশি তখন প্রিন্সিপাল স্যারকে আমার সংগ্রামের সব কাহিনী বলি। উনি কিছুটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন আর আমায় বলেন তুমি স্কু

B-154# রুটি কলা থেকে বেড়ে ওঠা লালন- পঞ্চম ভাগ

Image
লক্ষ্য যেখানে স্থির, সংকল্পটা হোলো মনের গভীরে বাঁচিয়ে রাখা একটা প্রদীপের দপদপ করতে থাকা শিখা। শুধুই অল্প একটু তেল বা জ্বালানি সেই শিখাকে যেমন উজ্জীবিত করে, জিইয়ে রাখে তেমনটাই আমার সংকল্পের কাহিনী।কিছু করতে হবে এটাই বুঝি আল্লাহ হয়তো পরীক্ষা নেন জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে। যাঁর যত কঠোর পরীক্ষা তাঁর তত বেড়ে ওঠার সিঁড়িটা হয়তো সহজ হয়ে ওঠে একটা সময়ে,এটাই আমার মনের বিশ্বাস।সেটা মানুষ বোঝেন অনেকই পরে যখন সাফল্য এসে ধরা দেয়। আমার অনেক কষ্টের জমানো সাতাশশো টাকা মুহূর্তে আমাকে শূন্য করে দিল, তাও হার মানিনি। মনকে বলেছি ওটা আমারই দোষ, ঐ যে হোটেলের লোকেদের থেকে চলে যাওয়ার সময় টিপস চাইতাম, সেটা আমার হকের পাওনা নয়, সেটা আমার রোজগারের অর্থ নয়, কখনোই হতে পারে না, সেটা ছিল আমার ঘুষ। আল্লাহ রহমত সব দেখেন, তাই সেটারই শিক্ষা পেলাম। আমার সেই বছরে আর এগারো ক্লাসে ভর্তি হওয়া হোলো না।ভাবলাম এভাবে হোটেলে কাজ করলে মাসের শেষে মাইনা সেখান থেকে নিজে চলবো কি আর পড়াশুনোর জন্য টাকা রাখবো কি, এভাবে জীবন চলতে পারে না। টাকার প্রয়োজনও আছে এই মুহূর্তে, কাজ করবো সঙ্গে সঙ্গে টাকা -এটাই মাথায় ঢুকলো।  আমি পুরো ঢাকা শহর হ

B-153# রুটি কলা থেকে বেড়ে ওঠা লালন- চতুর্থ ভাগ

Image
জীবনে সামান্য কিছু আনন্দে যে আমার উচ্ছাস হতে পারে, ওটা ভাবি না,মনে মনে ভয় হয় এই তো পরোক্ষনেই এতটাই তলিয়ে যাবো তাতেই সমস্ত উচ্ছাস চাপা পড়ে যাবে । তবে হ্যাঁ, যেদিন পরপর আনন্দ এসে আমায় ধরা দেবে সেদিন বুঝবো আমাকে হয়তো ফিরতে হবে না ঐ সংগ্রামী দিনগুলোতে। সেদিন মনে রাখবো সন্তর্পনে অনেক গভীরে ক্ষত দাগের দিনগুলোকে, তবেই তো আমার প্রকৃত শিক্ষার যথার্থতা।"প্রতিশোধ নয়,কর্মের প্রতিফলনই হোলো জীবনের আসল কান্ডারী"।মাত্র তেত্রিশ টাকা নিয়ে আমার ঢাকা আসার জীবন শুরু, কষ্টটা অনেকই, প্রকাশ করাটা একটা শব্দের বহিঃপ্রকাশ মাত্র,কিন্ত সেটা সঙ্গে করে বয়ে নিয়ে চলা ও প্রতিশব্দের আঘাতটা তার থেকেও কয়েকগুন বেশি। "পকেটে একশো টাকার থেকে এক টাকা খরচা করা সেটা শিল্প বা আর্ট , কিন্তু নিরানব্বই টাকা খরচ করা সেটা গল্প বা ফাট"। সাপ লুডোর খেলায় আমাকে আবার নিয়ে এলো "রাজ্জাক প্লাজার" সামনে। সেখানের দারোয়ান কে সমস্ত ঘটনাটা জানালাম আর আর্জি করি আঙ্কেল আমাকে একটা কাজ দিতে পারেন? যে কোনো কাজ হলে চলবে।উনি বলেন এভাবে তো চাকরি পাওয়া যায় না,  আচ্ছা দেখা যাক আমি কি করতে পারি। আমি তখন খ

B-152# রুটি কলা থেকে বেড়ে ওঠা লালন- তৃতীয় ভাগ

Image
ছোটো থেকে শুনেছি মানুষের জীবনে নানা টানাপোড়েন, চড়াই উৎরাই লেগে থাকে তবেই জীবনে সাফল্য আসে। এটা স্কুলে পড়াকালীন বহু মানুষের জীবন কাহিনী বাংলায় পাঠ্য হিসেবে পড়তাম আর নিজের সাথে তুলনা করতাম।আমার সাথে বাকি বন্ধুদের একটু তফাৎ ছিল তাঁরা এটাকে পাঠ্য হিসেবে দেখতো কারণ তাঁরা তো সংগ্রামের সাথে যুঝে নি, আর আমি আমার সাথে তুলনা করতাম জীবন কাহিনী গুলোকে।কিন্ত বেশির ভাগটা দেখতাম এই সংগ্রাম টা একটু বড় বেলায় আসতো অনেক সংগ্রামী মানুষের ক্ষেত্রে। তাহলে আল্লাহ রহমত আমারে দিয়া এত ছোটবেলা থেকে কেন এই পরীক্ষা নিচ্ছেন, এই প্রশ্নটা মনের মধ্যে ঘুরপাক করতো সর্বক্ষণ।একদিন এই উত্তর পেলাম এক পুরান পেপার পড়তে পড়তে, মন মানলো। আমি এমন এক বিশেষ ব্যক্তিত্ব যাকে দিয়ে আল্লাহ রহমত ছোটোর থেকে সংগ্রাম করা শেখাচ্ছেন গোচরে, অনেক বড় কিছু করাবার উদ্দেশে। সেটাই যদি ঠিক হয় তাহলে আগামী সমস্ত পথটা কষ্টের মধ্যে কাটাতে রাজি, শেষ পরিণতি খুবই ভালোই হবে এই আশায়। ক্লাস টেনে ভর্তি হলাম, কিন্ত যথারীতি আমার ক্লাসে ফাঁকি পড়লো,আর ক্লাসে উপস্থিতির হার এতই কম যে টেস্ট পরীক্ষা দিতে বাধা এলো। এবারে কিন্ত হেডমাস্টার, স্যার ক