Posts

Showing posts with the label daily life

B-135#রাস্তাঘাটের রোজ নামচা

Image
রাস্তাঘাটের রোজ নামচা   সেদিন মাদার ডেয়ারি বুথের এক লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি , বেশ কিছু কথা কানে ভেসে এলো দুই বন্ধুর  ।  তাঁদের বয়স বোধকরি আমারই বয়সী ঐ পঞ্চাশ বা তার একটু বেশি । কানপেতে অবাক হয়ে শুনছিলাম আর মনে মনে হাসছিলাম । আজকাল হাসার একটা সুবিধে আছে যেহেতু মাস্ক পরা থাকে তাই পেছনের লোকের বোঝার উপায় নেই ।              এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে , আচ্ছা আজকাল দিনগুলো কেমন যেন পাল্টে গেছে ছেলেরা বাবার পকেট থেকে  চুরি করে না  তে মন । আমাদের সময়ে আমরা কত করতাম বাবার মানিব্যাগ থেকে আটআনা, এক টাকার আধুলি হামেশাই চুরি করতাম, কারণ একটাই সিগারেট বিড়ি খেতে হবে । তবে খেতাম কিন্তু অনেক দূরে গিয়ে মাঠের এককোনায়, একটা সিগারেট চারজন ভাগ করে । সেটা শেষ হলে পেয়ারা পাতা চিবোনো , না হয় কোলগেট দিয়ে মুখ ধুয়ে বাড়ি ঢুকতাম ।              শুনে বেশ অবাক হয়ে ঘুরে দেখলাম আর মনে মনে হাসলাম , কোনো উত্তরই দিই নি ভাবলাম এত আমারই কথা, টপিক্স টা কিন্তু জম্পে

সন্তোষ ঢাকি

Image
"সন্তোষ ঢাকি " জীবনে এক কৃতিবান লোকের সাথে পরিচয় হয়েছিল, বয়সটা বোধকরি পঞ্চাশ বা তার থেকে তিন চার বছরের বেশি। পেশাগত ভাবে সে ঢাকি।  সে প্রথম এসেছিলো আমাদের পাড়ায় ঢাক বাজাতে সম্ভবত 2000 সালে। প্রথম যখন তার সাথে আলাপ, সে বলেছিলো প্রতিবছর সে দুর্গোপূজোই বোম্বে যায় ঢাক বাজাতে, কখনও রানী মুখার্জীর বাড়িতে কখনো গায়ক অভিজিতের বাড়িতে, শুনে একটু চমকে উঠেছিলাম,  তাই সে বিশ্বাস করানোর জন্য কিছু ছবি দেখিয়েছিল।একটু উদগ্রীব  হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম অভিজিতের বাড়িতে কারা কারা এসেছিলেন সন্তোষ? সে সাবলীল ভাবে গ্রামের ভাষায় বলেছিলো " হ্যামা আসছিলো, অমিতাভ, নানা, সলমন, শারুখ, আমার ঢাকের বোলে সলমন তো কত নেচেছিল ". বলতে বলতে সে আরেকটা ছবি বার করে আমায় দেখাতে শুরু করে। তখন থেকেই একটা শ্রদ্ধা তার উপর হয়ে গিয়েছিলো মনে মনে।এভাবেই প্রতি বছর সে আসে, আর আমার কৌতূহল দিন কে দিন বাড়তেই থাকে তার প্রতি। একবছর তাকে জিজ্ঞাসা করেই ফেলেছিলাম " আচ্ছা সন্তোষ যখন তুমি হেমামালিনী, অমিতাভ কে সামনা সামনি দেখো তুমি কি অবাক হও না বা তোমার ঢাকের তাল একটুও কেঁপে যায় না?" বলতে বলতে সে যে বিশ্বাসে

B4 :- চতুর্থী

Image
#চতুর্থী মা আজ তোমার চতুর্থীর কাজ করছি?  অনেক অজানা জানা কথা গুলো তোমায় বলতে চাই, মা। তোমার রোগের খবর পাওয়া মাত্র তড়িঘড়ি বিয়ে দিয়ে দিলে, নিজে দায়মুক্ত হলে, আমাকে পাঠিয়ে দিলে সংসার জীবন করতে তাও আবার সুদূর দিল্লিতে। হয়তো দেখে যেতে চেয়েছিলে, তাই তোমার বাবার এই চিন্তাধারাকে আমিও মেনে নিয়েছিলাম আবার ঈশ্বরের এক অসীম কৃপায় এই ঘাটশিলাতেই ছেলেও পেয়ে গিয়েছিলে। মামা বলেছিলো, মা মনে আছে তোমার?  তোর মেয়ের বিয়ে ঘাটশিলাতেই হবে, সেটা মিলেও গেছিলো কেমন করে। আসলে মামার কথাগুলো তোমরা প্রথমে অগ্রাহ্য করলেও তোমরা মনে মনে মানতে, কোথাও না কোথাও তার কথা গুলো মানতে। মা এখন সকাল নটা বাজে, আশীষ পুরোহিত এসেছে, তোমার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের মন্ত্র পাঠের জন্য আজ যে আমার চতুর্থী। একটা কথা বলি মা?  যদি বিয়েটা না হত তবে তো বাবার সাথে আমিও এগারো দিনেই তোমার কাজটা করতাম তাই না?  অন্যের বাড়ি, মানে শাস্ত্র মতে গোত্রান্তর হয়ে গেছে তাই তো মা?  আচ্ছা মা মেয়েরা জীবনে কি শুধুই ধাক্কা খেতে খেতে বড় হয়?  ওরা কি কখনো কারোরই হয় না? তাই কি অধিকার চার দিনের?  যাক সে সব কথা চোখের কোনে জল এসে চিক চিক করছে, আর বেশি ভা