Posts

Showing posts with the label relation

B-134# বোঝার ভুল

Image
বোঝার ভুল   সবেতেই যেন বোঝার ভুল ,            তলিয়ে   ভাবিনা , আমি যে নির্ভুল , সবখানেতেই যুক্তি আছে ,         প্রমান দিতে হবে,  ওখানেও যে   ভুল । মন কখনো অবাক করে ,                  কি করে যে   শুধুই বোঝাই তারে , যখনই কিছু বলতে গেছি ,             দোষ ধরো কেন , এ যে মিথ্যে একি । হার মেনেছি তাঁর অসাম্য যুক্তি ,               কিছু বললেই হোলো কত যে উক্তি , মন বলে তাই বলবো না আর ,      আবারও একি ভুল তুমিই তাহলে সত্যি ।          

B-117#বাবার ছেঁড়া শার্ট

Image
বাবার ছেঁড়া শার্ট  বাবার আমার ছেঁড়া শার্ট,            কপালে পড়েছে বার্ধক্যের ভাঁজ, চামড়া গুলো আজ গুটিয়ে গেছে,       কত কল্পনায় আমায় বড় করেছেন। আমার মূল্য তাঁর বসনের সেরা,       রঙিন বোতামগুলো মনে দেয় নাড়া, প্রতিটি বোতাম কত রংবেরং, একই                         পোশাকে,কৈ দেখাচ্ছে না তো সং? আমার আজকাল প্রচুর অর্থ,           ফারাক শুধু চেতনায় আমি ব্যর্থ, রঙিন বোতাম আমারই কথা বলে,   জীবনের নানান ছন্দ আঁকড়ে আছেন,                            পরিচিতি ঐ রঙিন বোতামে ধরে।

B-77#মাধু – দ্বিতীয় ভাগ(শুভ সুমেধার চতুর্দশ অধ্যায়)

Image
মাধু – দ্বিতীয় ভাগ(শুভ সুমেধার চতুর্দশ অধ্যায়) মাধুর সেই করুন কাহিনী, চরম দারিদ্রতার মধ্যে লড়াই, তার মধ্যেও যে একটুখানি আনন্দ পাওয়া যায়, সেই ছোটবেলা থেকেই মাধুরা তা বুঝতে পেরেছিলো। জীবনে সেই শেষ ভালোবাসার একমাত্র সম্বলটুকু মা, তাও  হারিয়ে গেলো। সে খুঁজে পেতে চায় তার শৈশবকে ,আবার করে ভাঙা গড়ার জীবন টাকে। মাত্র এই দুদিনে সে সুমেধা, শুভর মধ্যে একটা ভরসা খুঁজে পায়, একটা স্বপ্ন গড়ে তোলে, পাড়ার বাচ্চারাও মাধুকে একটা সঙ্গী হিসেবে আপন করে নিতে চায়। যেখানে দারিদ্রতা চরম সেখানে বোধহয় শুধুই সমঝোতা, নিজের ভুলকে হয়তো মেনে নেওয়া, আর শুধরে নেওয়া, একটা আপোষ যেটা হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে করা হয়ে ওঠেনি মাধুর ক্ষেত্রে।

B-62# বাবার দুঃখ( বড়দির গল্পের ষষ্ঠ ভাগ)

Image
বাবার দুঃখ( বড়দির গল্পের ষষ্ঠ ভাগ) যাক বাড়ি  পৌঁছলাম কিন্ত বেশ রাত করে, এতটা পথ কাছের রাস্তা তো নয় । বাবা বসে আছেন, দূর থেকেই বুঝতে পেরেছি। কতবার বলেছি সে কেদারায় না বসতে, বাবা  বসবেই ।এতকাল এই কেদারাটা খারাপ ছিল, মাঝের ঐ কাপড়টা  পচে গিয়েছিলো, কিন্ত কে কার কথা শোনে, আমি ছিলাম না নিশ্চয় বাবা কাপড় কিনে এনে দর্জি দিয়ে সেলাই করে, কাঠের কাঠামো টাকে মেরামত করেছে। বাতিলের খাতায় ছিল সেই কেদারা, ভাড়ার ঘরে ছিল বহু বছর। আসলে বাবারা এমনই হয় , একটা বয়সের পর সব বাবারাই  নিজের বাবার সত্বাকে নকল করতে করতে গড়ে ফেলেন পুরোপুরি নিজেকে। যেমন ধরুন যেকোনো পুরোনো জিনিস অতি যত্নে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে গুঁজে রাখেন, আবার নিজেই সে সব খুঁজে পান। কোথাও ঘুরতে গেলে আজ পর্যন্ত ফার্স্ট ক্লাসে যান না, ব্যাখ্যা টা কিন্তু উনি  দারুন  বলেন, ট্রেনে সামনের মানুষের সাথে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয়, আবার প্রকৃতির সাথে একটা ছুঁটতে থাকার নিবিড় সম্পর্ক, ট্রেনের পাটাতনের সেই ঢেক ঢেক আওয়াজ, ওগুলো নাকি  ফার্স্ট ক্লাসে পাওয়া যায় না। আসলে পুরোটাই একটা বানানো দাম্ভিকতা। কথা বলতে গেলেই কেমন যেন একটা গা ছাড়া ভাব, ভাবে সে

B-45#বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ)

Image
বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ) বিয়ের ঠিক সাতদিন আগে, দিদির শ্বশুরমশায় কিছু বলা নেই কওয়া নেই স্বশরীরে এসে হাজির হলেন। বাবাও অবাক, মনে মনে ভাবলেন কি জানি কোনো দাবিদাওয়া আছে নাকি তাই হয়তো এসেছেন,একেবারেই না জানিয়ে । উনি এলেন গ্রামেরই এক সম্পর্কের আত্মীয়কে নিয়ে সোজা হাওড়া থেকে ট্যাক্সি করে।  গাড়ি থেকে যখনই নামলেন, পরনে হাঁটুর উপরে ধুতি, সাদা ফতুয়া, খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, এক ভদ্রলোক,পায়ে কোনোরকমের জুতো বা চটি  নেই। আমি উনাকে রাস্তার মোড় থেকে আনতে গেলাম, বাবা নিজেও করজোড়ে প্রণাম করলেন ও ঘরে ডেকে এনে বসালেন। বেশ অবাক দৃষ্টিতে উনি সমস্ত ঘর গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। একটা সময় বাবার পাশে গিয়ে বসলেন, আর বাবার হাত দুটো ধরে কেঁদেই ফেললেন, মুখে একটাই কথা “ বাবু গো পারবে কি? এতো শিক্ষিত, তাও আবার কলকাতার মেয়ে , আমাদের মত একেবারে আটপৌরে জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে, তা সম্ভব নয়। গ্রামের বৌ হয়ে থাকা? খোকাকে কত বললাম, ওসব আমাদের গ্রামের লোকেদের  মানায় না, গ্রামে কি মেয়ের অভাব ছিল, ঐ তো পইড়া বাবু, মাইতিবাবু তারা তো অস্থির মেয়ে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কে কার কথা শোনে “। বাবা তো  না পের

B-40# বড়দি (প্রথম ভাগ)

Image
                                       বড়দি  (প্রথম ভাগ) দিদি চলে গেছে, একেবারে ঘুমের দেশে, কিন্তু একটা ভুল হয়ে গেছে যা আর কোনোদিন ও মাথা ঠুকলেও শুধরোবে না। শরৎ বাবুর বড়দিদি,  আমার বড়দি,  এই পৃথিবীর সমস্ত বড়দিদিরা কিন্ত তখনো যেমন পাল্টায়নি আজ ও নয়।   মানুষ গুলোর চিন্তাধারা পাল্টেছে,  যুগ পাল্টেছে,  সময়ের সাথে আমরা আধুনিক হয়েছি, আদবকায়দা পাল্টেছে, বড়দিদিরা ভাই বা বোনকে ক্ষমা করা, তাদের ভুল গুলোকে প্রশ্রয় দেওয়া, আবার পরক্ষনেই সেটা ডেকে শান্ত মনে বুঝিয়ে দেওয়া, একটা মাতৃত্ব পূর্ণ মনোভাব সেই সময়েও ছিল আজ ও আছে, বোধকরি একচুল ও এধার ওধার হয় নি, কোথাও যেন পরিস্থিতির সাথে সমঝোতা করে বুঝিয়ে দেওয়া আমি যে তোর বড়দি।                                             ছোটবেলার একটা কথা বেশ মনে পড়ে গেলো, আমি তখন বয়সে বোধহয় চার কি পাঁচ বছরের , সেটা আমার বড়দির থেকে শোনা। বিকেল হয়েছে বড়দি, মেজদি, ছোড়দি ওরা খেলতে যাবে বন্ধুদের সাথে মাঠে চু কিত্ কিত্। মা আমায় চোখে কাজল পড়াচ্ছেন, মাথায় নজর টিপ, মুখে পাউডার, আর আফগান স্নো।  পাউডার দিয়ে আবার টিপের ওপর লেপে দেওয়া, একেবারে পরিপাটি করে চুল আঁচড়ানো। চুলে এতো

B-22#THEFT চুরি ( শুভ সুমেধার সপ্তম পর্ব)

Image
                             চুরি (  এক সত্য ঘটনার উপর আধারিত) 8  সুমি  জানো, কাল  এক বন্ধুর সাথে দেখা হোলো প্রায় দীর্ঘ  বাইশ বছরের পর, কি কাকতালীয় ব্যাপার, জানো সেই পাশের বেডের চ্যাটার্জী দা কে দেখতে এসেছিলো তার ভাই, আমি তো দেখেই চিনতে পেরেছি। চ্যাটার্জী দা আমার সাথে পরিচয় করাতেই দেখি- আমরা একেবারে কলেজের বন্ধু  বিনয়, যেমন নাম তেমনই তার বিনয়ী ভাব, কথাবার্তা, হাঁটাচলার মধ্যে একটা বেশ সভ্যতা ও ভদ্রতা আছে , একটা আদর্শবান ব্যক্তিত্বের পুরোটাই যা হওয়া উচিত সম্পূর্ণ  টাই তার চরিত্রে লক্ষ্য করা যায়।বিনয়ের ভালোনাম বিনয় চ্যাটার্জী।কলেজে পড়াকালীন কোনোদিন তাকে রাগতে দেখি নি ,মতের অমিল হলেই সে কোনো কথা না বলে চুপ করেই থাকতো, তাতেই   তার  অনিচ্ছার প্রকাশ ঘটতো, হাসির কথা হলেই এতো প্রাণখোলা ভাবে সে হাসতো, যেমনটা ইদানিং কালে একটাও মানুষকে আমার অন্তত চোখে পড়েনি।  বিনয়েরা  সাত ভাই দুই বোন, বিনয়  সর্বকনিষ্ঠ।  দাদাই তাদের বাড়িতে জ্যেষ্ঠ। বড়দা এতই বড় যে তার ছেলে বিনয়ের থেকে তিন বছরের ছোটো। একঅর্থে বলা যাই তারা পিঠোপিঠি। বিনয়ের বড়দা অর্থাৎ প্রফুল্ল চরণ চ্যাটার্জী মানে যিনি আমার পাশে

B-20#লবটুলিয়া থেকে রাতমোহনা (শুভ সুমেধার ষষ্ঠ পর্ব)

Image
লবটুলিয়া থেকে রাতমোহনা  কি ব্যাপার সুমি, এতো সকাল সকাল কোনোদিন তো তুমি আসো নি আমায় দেখতে, আর এমনিতেই আমি আগের থেকেও অনেক সুস্থ, কথাও বলছি,  তবে কষ্ট হচ্ছে। আরে বোলবে তো নাকি তোমায় বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে, চোখ দুটো বেশ লাল হয়ে গেছে। এই কিছু লুকোচ্ছ ?  আচ্ছা বসো দেখি,  কিছু তো হয়েছেই,  শোনো বুঝেছি তুমি বোলবে না, আমি তোমার চোখ দুটো দেখলেই বুঝি, বলবো – ন কাকুর কিছু হয়েছে তাই তো?  আমি আগেই টের পেয়েছি পাশের ঘরে কাল বেশ মাঝ রাতেই ইমার্জেন্সি তে ডাক্তাররা বেশ ছুটোছুটি করছিলেন, কি জানি বলছিলেন কানে এসেছিলো ঠিকই, কিন্ত পরক্ষনেই ভাবলাম ইমার্জেন্সি তে তো সারাটাক্ষন টা অমন হয়,  সেটা যে ন কাকু.......                                     হ্যাঁ শুভ ঠিক ধরেছো কাল রাতেই 1.40 মিনিটে, ন কাকিমা কিন্ত বেশ মানসিক ভাবে শক্ত, এতটুকুও চোখের জল নেই,  আমরা তো রাত তিনটে থেকেই হাসপাতালে।  কি অদ্ভুত জানো শুভ,  গতকাল বিকেলেই তোমার ডিসচার্জ লেটার দিয়ে দিয়েছেন, আমরা তখন থেকেই ব্যস্ত ছিলাম ন কাকুকে নিয়ে, তাই বলেও ছিলাম তোমায় কাল নিয়ে যাবো। আমি তো ভাবলাম তোমায় চমক দেবো সকালে এসে।  কিন্তু কি অদ্ভুত দেখো তুমি আর