Posts

Showing posts with the label childhood

B-126#জীবন নামচা

Image
জীবন নামচা   দুই এক্কে দুই , দুই দুগুনে চার ,       চারে  ছিলাম, ওটাই এখন দুয়েই মেলা ভার ।   তিন এক্কে তিন , তিন দুগুনে ছয় ,  কেমন  একজন  কমে গেলেই, সংসার নয়ছয় । চার এক্কে চার , চার দুগুনে আট , বোনেদেরই বিয়ের পরে  ঘুচলো বোঝার   পাট । পাঁচ এক্কে পাঁচ , পাঁচ দুগুনে দশ ,  মা বাবার ঐ খুশির মুখে জীবনটা সংশয় । ছয় এক্কে ছয় , ছয় দুগুনে বারো ,   কন্যা সন্তান হতেই যেন, মনে জোয়ার এলো । সাত এক্কে সাত , সাত দুগুনে চোদ্দ , নাতিনেরা গালে ভাত নিয়ে,ঠাকুমা শোনান পদ্য। আটে   দুয়ে ষোলো , নয়ে দুয়ে আঠারো , বয়স কালের  রোগ ব্যাধি , হঠাৎ দেখা দিল । জীবন যেন এক থেকে দশ,দশ থেকে তিনে  এল, রোজনামচা মনে আউড়ায়, কথাগুলো পড়ে রইলো।        

B-116#শিশুকালে মনে,মধ্যবয়সে স্বপনে!

Image
শিশুকালে মনে,মধ্যবয়সে স্বপনে! এই তো গেলো সেই শিশুকাল, ছবির স্মৃতিতে ফিরে পেলো প্রাণ, উদ্দাম ছিল সে আনন্দের মাঝে, কিছুই ভাবিনি শিশুমনে,যখন যেটা সাজে। শিশুকাল যেন পরিবেশে বাঁধা, কল্পনার তুলিতে,মনের ক্যানভাসে, কত ছবি ছিল আঁকা, মনের গভীরে কিছু তো চাওয়া ছিল, মেয়েবেলাতে মায়ের শাড়িতে তাও বুঝি সেদিন এঁকে দিয়েছিলো। বহুরূপী সাজে, মন শুধু লাজে, সে স্বপ্ন ছিল, কত কল্পনার মাঝে, হায় রে শিশুকাল,ফিরবি না ইহকাল, কলুষিত মনে,আর পাবেনা এ বসন্তকাল। জীবন একদিন একটু বড় হোলো, কে যেন এসে কিছু বলে গেলো, এভাবে কি জীবন চলে,বড়তো হয়েছো?দেখবে এবারে জীবনটা কেমন , শুধুই যেন বিশ বাউ ঝোলে ঝালে। ঝাল খেয়ে বুঝি, এটা আরো বাস্তব, হতে হবে কিছু ঘটাবো অবাস্তব, পাড়ি দিলাম সেই আকাশ ধরতে, বায়ুসেনাকে ধরি মনের অজান্তে। কেষ্টা হয়ে ভ্রমি দেশে বিদেশে, কত কোম্পানি ধরি ছাড়িও নিমেষে, অবশেষে মন ব্যবসায় এসে বসে সংসার পাতি, সন্তানও হোলো শেষে। এবারে বুঝি সাঙ্গ হোলো বেলা, একে একে করে হারাচ্ছে যত চেনা ভেলা , মন যেন আজ আরো কিছু বলে, শেষ ইচ্ছেটা ঈশ্বর যায় না যেন রস

B-28#LOVE. (শিশু- প্রেম -মনে পরে আজও চোঁ চোঁ)

Image
                                            শুভ গণেশ চতুর্থীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা                                                                         শিশু প্রেম চোঁ চোঁ  (এক সত্য ঘটনার অবলম্বনে) মা আমায় বিয়ে দেবে না?  কালই তো বলেছিলে।  মহিম  তুই বড় হলে তোর বিয়ে দেবো, বাড়িতে বৌ আসবে,তারপর আমার সব কষ্ট চলে যাবে, আমার সংসারের খাটাখাটনি কমে আসবে,  আমি পায়ের উপর পা রেখে তারপর সারাটাক্ষন বিশ্রাম করবো। তারপর তোর ছেলে মেয়ে হবে তাদের দেখে,  একটু বড় করে,  আমি দুচোখ বুজবো আর আমি চলে যাবো। মাঝে মাঝে আসবো যদিও তোদের দেখতে, ছাদে এসে দাঁড়াস,  আমায় ডাক দিস আমি নিশ্চয় আসবো।                      মা,সত্যিই  তুমি যেখানে চলে যাবে আবার আসবে তো মা ? আচ্ছা মা আমার বিয়ে হবে?  কে আমার বৌ হবে মা? আর যে বৌ হবে,  সে কোথা থেকে বাচ্চা গুলোকে আনবে? বলো না মা তুমি তো সব কিছুই জানো তাই না ? শোনো না বললে আমি আজ খাবোই না । মা আমার বৌ কে হবে আমি জানি,  আমি বলি তোমায়? মা আমার বৌ হবে চোঁ চোঁ। কি ভীষণ যে ভালো লাগে মা ওকে তোমায় বোঝাতে পারবো না। তোমারো তো ভালো লাগে তাই না?  দেখেছো তোমার যা ইচ্ছে আমারও

B-8 #REUNION (রিইউনিয়ন) 1985 GHATSILA

Image
                                                                       REUNION (রিইউনিয়ন) -1985                    GHATSILA শুভজিৎ ও সুমেধা  তারা  যেন ছোটবেলা থেকেই হরিহর আত্মা, যখনই স্কুলে যেত প্রায় একই খাঁচা গাড়িতে, যেদিন শুভজিৎ  যেত না, সুমেধা  কিন্তু বেশ সারাটা দিন স্কুলে মনমরা হয়ে থাকতো, ইংরাজি মাস্টারমশায়ের কাছে পড়তে গেলেও তারা  প্রায় দুজনেই উল্টো দিক করে  বসতো, কারণ তারা যেন সবসময় সামনা সামনি দুজন  দুজনকে দেখতে পায় , এক অর্থে তারা  ছিল বেশ ভালো বন্ধু ।  শুভজিৎ  বা তাদের অনেক বন্ধুরা মাধ্যমিক বা তার আগের থেকেই কোথাও যেন মনে মনে মন দিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কাকে ।  কারণ প্রিয়াঙ্কা  ছিল ক্লাসের ফার্স্ট লেডি তার উপর তার গায়ের রং ছিল ভারী উজ্জ্বল, তাই প্রিয়াঙ্কার অজান্তেই ক্লাসের বেশ কিছু বন্ধুরা প্রিয়াঙ্কা  কে চাইতো সেটা হয়তো প্রিয়াঙ্কা  বেশ বুঝতে পেরেছিলো।  মাধ্যমিকের পর বহুকাল কেটে গেছে প্রায় চৌত্রিশ টা বছর, হঠাৎ একদিন শুভজিতের  বাল্যকালের বন্ধু দীপের  ফোন আসে। দীপ  :- শুভজিৎ,  আমাদের রিইউনিয়ন হতে পারে একটা গ্রুপ করেছি আমাদের স্কুলের নামে,  তোর নামটা ওই