B-41#সত্তরে হোয়াটস্এপ
সত্তরে হোয়াটস্এপ রাহুল, বাবা তুই আর বৌমা অফিসের পর যখনি বাড়ি আসোস , সেই একসাথে বইসা চা খাওয়া ব্যস, তারপর সমানে তোরা দুজনা ওই যে মোবাইলটা নিয়া বসলি, চলে এক্কেবারে রাত দশটা পর্যন্ত। আমার না হয় এখন সময় কাইট্যা যায় মহাভারত দেইখা , কিন্তু ভাবি জানোস বাবা, কি আসে ঐটাতে যে তোরা এতক্ষন নিয়া সময় কাটাস। বৌমা তুমি কিছু মনে কইরো না কাল তুমি এত হাসছিলা জানস রাহুল, পাশের ঘর থেইক্যা wheel chair টা নিয়া আইস্যা দেখি তখনো হাসে , আমায় আসতে দেইখ্যা তুমি চুপ হইয়া গেলে, কিন্তু তাও হাইসাই যাচ্ছিলা , আর আমি ভাবলুম গেছে বৌমা পাগল হইয়া গেছে। রাহুল ওই যন্ত্র টা কিনতে কত লাগবো রে, আমায় কাল আইনা দিবি? তবে হ্যাঁ, বড় চাই বেশ বড় তোগো থাইক্যা ও বড়, চল্লিশ হাজারে হইয়া যাইবো না? এই নে, টাকা পয়সা নিয়াই বসছি চা খাইতে , তুই না হয় এখনই আইনা দে রাহুল। আজ সন্ধ্যে থাইক্যা তোদের মতো আমিও হাসুম সমানে জোরে জোরে । ধর ধর, টাকাটা ধর যা এক্ষুনি যা আমার তর্ সইছেনা যে রাহুল।