Posts

Showing posts from November, 2020

B-113#বিয়েবাড়ির সেকাল একাল (প্রথম পর্ব )

Image
বিয়েবাড়ির সেকাল একাল (প্রথম পর্ব) https://sadamata101.blogspot.com/2020/11/b-115.html আপনাকে দিই,আপনাকে দেই,এ ছিল সেকালের পরিবেশনের রীতিরেওয়াজ । ঠিক আজ থেকে খুবজোর বিশ পঁচিশ বছরের আগের কথা মেয়ের  বিয়ের সাতদিন আগে আর সাতদিন পরের ছবি । ঠাকুমা, দাদু, পিসিমা, পিসেমশাই, জেঠতুতো দিদি, দাদা, বোনেরা, মাসতুতো, জ্যাঠা তুতো সকলে আসতেন নিয়ম করে। একজন আসতেন সবার আগে উনি না আসলে হেঁসেল চলবে না, তাই উনার কদর ও তোয়াচ হতো সেই বিয়েবাড়িতে সবার আগে । আমাদের বাড়িতেও সেই একই মহিলা আসতেন,ঘুরেফিরে সমস্ত অনুষ্ঠানে যেতেন- তিনি আমাদের জেঠতুতো বড়বৌদি,একজন অসম্ভব দায়িত্ববান মহিলা। একদল খাটতো, একদল সমালোচক থাকতো শুধু আসতো বিয়েবাড়ির ভুল ধরতে, আরেকদল শুধুই  ফরমাস খাটাতো, বুড়োবুড়িরা গোল করে বসতেন এক জায়গায় আর সমানে সকলের প্রণাম নিতেন আর বলতেন “বাবা কত বড় হয়ে গেছে সেই দেখেছিলাম কত ছোটো যখন ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম জব্বলপুরে”। ব্যস শুরু, এখান থেকেই জব্বলপুরের কাহিনী আর বিয়েবাড়ির গল্পের মোড় টান টান উত্তেজনায় রমরমা হয়ে উঠত । আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কেউ না কেউ আগেও সেখানে গেছেন তাই উড়ে এসে ধপা

B-116#শিশুকালে মনে,মধ্যবয়সে স্বপনে!

Image
শিশুকালে মনে,মধ্যবয়সে স্বপনে! এই তো গেলো সেই শিশুকাল, ছবির স্মৃতিতে ফিরে পেলো প্রাণ, উদ্দাম ছিল সে আনন্দের মাঝে, কিছুই ভাবিনি শিশুমনে,যখন যেটা সাজে। শিশুকাল যেন পরিবেশে বাঁধা, কল্পনার তুলিতে,মনের ক্যানভাসে, কত ছবি ছিল আঁকা, মনের গভীরে কিছু তো চাওয়া ছিল, মেয়েবেলাতে মায়ের শাড়িতে তাও বুঝি সেদিন এঁকে দিয়েছিলো। বহুরূপী সাজে, মন শুধু লাজে, সে স্বপ্ন ছিল, কত কল্পনার মাঝে, হায় রে শিশুকাল,ফিরবি না ইহকাল, কলুষিত মনে,আর পাবেনা এ বসন্তকাল। জীবন একদিন একটু বড় হোলো, কে যেন এসে কিছু বলে গেলো, এভাবে কি জীবন চলে,বড়তো হয়েছো?দেখবে এবারে জীবনটা কেমন , শুধুই যেন বিশ বাউ ঝোলে ঝালে। ঝাল খেয়ে বুঝি, এটা আরো বাস্তব, হতে হবে কিছু ঘটাবো অবাস্তব, পাড়ি দিলাম সেই আকাশ ধরতে, বায়ুসেনাকে ধরি মনের অজান্তে। কেষ্টা হয়ে ভ্রমি দেশে বিদেশে, কত কোম্পানি ধরি ছাড়িও নিমেষে, অবশেষে মন ব্যবসায় এসে বসে সংসার পাতি, সন্তানও হোলো শেষে। এবারে বুঝি সাঙ্গ হোলো বেলা, একে একে করে হারাচ্ছে যত চেনা ভেলা , মন যেন আজ আরো কিছু বলে, শেষ ইচ্ছেটা ঈশ্বর যায় না যেন রস

B-115#বিয়েবাড়ির সেকাল একাল(দ্বিতীয় ভাগ)

Image
বিয়েবাড়ির সেকাল একাল(দ্বিতীয় ভাগ) প্রচন্ড গ্রীষ্মের দুপুরে যে লাবড়া নামে মেনুটা বিয়েবাড়ির বক্সঅফিসে সুপার ডুপার হিট হয়েছিল সেই মেনুটাকে বাঁচনোর আপ্রাণ প্রয়াসের তোড়জোড় শুরু হতো বিকেল চারটের থেকেই পরিচারিকার কোনোভাবে যদি রাতের একটা পদ বাড়ানো যায় । শুরু হতো আমরণ চেষ্টা গরম জল দিয়ে ফুটিয়ে,ভেন্টিলেশনে রেখে অন্তত পক্ষে সেই দিনটার জন্য প্রাণ ফিরে পাওয়ারএকটা প্রচেষ্টা চলত । রাতে খেতে বসলেই হতো মহিলাদের মধ্যে কানে কানে কথা “লাবড়াটা খেয়ো না গন্ধ ছেড়ে গেছে”।বয়স্কা মহিলারা তো  থাকতে না পেরে বলেই দিতেন। রাতের পালা শেষ হতে না হতেই শুরু হতো বিয়ে বাড়ির পরের দিন দধি মঙ্গলের তোড়জোড়। কাকভোরে শুরু বাড়ির বয়স্করা উঠতেন আগে মেয়েকে উঠিয়ে রাতের অন্ধকারে গান্ডে পিন্ডে দই চিঁড়ে খাওয়ানোর পালা একটাই কথা “এখন যে খাচ্ছিস সারাদিনে আর খাওয়া চলবে না একেবারে বিয়ের শেষে দেখবি তখন আর খেতে পারবি না পেট গুলোবে”। গুরুগম্ভীর নিয়মের জ্ঞানের আড়ালে কন্যা মুখবুজে সে কথা সয়ে নিতো। পরের পর্বের প্রস্তুতি “জল সইতে যাওয়ার” “গায়ে হলুদ” এই সমস্তের বাহার কিন্তু আজও আছে একটু অতিরঞ্জিত মাত্রায়।সেকালে যে

B-114#সংশয়

Image
সংশয় কোনো একটা বাধা আমাকে সংশয়ে ঢেকে ফেলে, কোনো একটা সংশয় আমাকে ভয়ে পিছু টানে,  কেন  এ বাধা কেন এ সংশয় মন যেন চলে আজও দোলাটানে । মনের গভীরে সেই  অজানা কাহিনী একদিন মিলে সৃষ্টি হবে, সৃষ্টিটা হোলো নিজের জেদে সকলের কথা বলতে শেখাবে। বাধা হোলো তোমায় পিছু ডাকে, সংশয় এসে আরও জোরে যেন হাঁকে,  নিশ্চিত তোমায় এগুতে শেখাই, লক্ষ্য বলে ফিরে পেলে তাই । https://sadamata101.blogspot.com/2020/11/b-116.html

B-112 #চিন্তায় স্বপনে

Image
চিন্তায় স্বপনে নিশিরাতে ঘুম ভেঙে,কত কথা দেয় উঁকি, মা বলতেন ঘুমোসনি কেন খোকা,ভোর হতে এখন ও যে ঢের বাকি। দেখবি যা হয়তো স্বপন দেখেছিস, সারাদিন যত বকবকে মাতিস, যত  সব তোর অসম্পূর্ন কাজ, তাই নিয়েই তুই ঘুমেতে ভাবিস। আজও ঘুম ভাঙে,- মনে কোলাহল,অসম্পূর্ণ কত কাজ -চিত্ত বিহ্বল, মুখটি ঘুরায়ে যেই তাঁকে খুঁজি, বলে নিশ্চুপে এসে, কেন এ অহেতুক চিন্তার ঝাঁপি? স্বপনে - খোকা তুই সেটাই দেখিস, দিবাকালেও স্বপনে যেটা খুঁজিস, ইচ্ছেটাই হোলো আসল সত্য, ভাঙুক সে ঘুম স্বপ্নটা বাচুঁক।

B-111#শিশুকালের খেয়ালে, বয়সকালের দোলায় (শুভ সুমেধার অষ্টাদশ অধ্যায়)

Image
শিশুকালের খেয়ালে, বয়সকালের দোলায় (শুভ সুমেধার অষ্টাদশ অধ্যায়) ক্ষীরদা না থাকলে কোনির অস্তিত্ব কোথায়। একজন সাঁতারুর জীবনে তো কান্ডারি হয়ে ক্ষীরদাই এসেছিলেন, তা না হলে কোনি তো ভেসেই যেত তার অভাবের সংসার  ঠেকা দিতে দিতে । সাঁতারু হয়ে ভাসতে ভাসতেও যে একটা তীর  পাওয়া যায়, আর সেখান থেকেই যে একজন চ্যাম্পিয়ন  সাঁতারু হওয়া সম্ভব, বাস্তব পথটা যে  একটা লড়াই- “fight kony fight”, এটা তো অনেক বড় পাওয়া একজন পথপ্রদর্শক  হিসেবে ক্ষীরদার থেকে । শুধুই কি দেখে যাবো সুমি, মাধুর প্রতি কি  কোনো কর্তব্য নেই আমাদের? তাহলে কি শিখলাম বল, এটাই তো কোনি ক্ষীরদার থেকে পাওয়া একটা শিক্ষা । গরিবের সারাটা জীবনই তো প্রতিকূলতার মধ্যে লড়াই করে বেড়ে ওঠা,শুধুই অভাব,তাদের জীবনটাকে কি এভাবে বয়ে যেতে দেওয়া যায় সুমি? নিশ্চয় মাধুর মধ্যেও  সে স্বপ্ন আছে, ভয় টা কোথায় জানিস? সেটা অভাবের জীবনের তাড়নার ভয়, একটা দ্বন্দ্বের ভয়, যে আঘাত সে এত ছোটবেলায় পেয়েছে সেটা বুঝতেও সময় লাগবে ।একেবারে উপলব্ধিতে আনতে  মাধুর ঠিক কি প্রয়োজন জানিস  ক্ষীরদার মত একজন প্রশিক্ষক, আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে  সেটা পায়  না বলেই প্রায় সব মাধুর