Posts

Showing posts with the label memory

B-143#আমার বায়ুসেনার দিনগুলি (দ্বিতীয় ভাগ)

Image
আমার বায়ুসেনার দিনগুলি ( দ্বিতীয় ভাগ ) ভাবতে ভাবতে একটা সময় মন ক্লান্ত হয়ে দুচোখ বুজে এলো, জানালার পাশে শরীরটা এলিয়ে গেলো, ঘুমিয়ে পড়লাম । ঘুম ভাঙলো প্রচন্ড ঘটর ঘটর শব্দে , চোখ খুলে দেখি একটা প্রকান্ড সেতুর উপর ট্রেন চলেছে ধীরে ধীরে হয়তো সেটা কৃষ্ণা  বা   কাবেরী হবে এই মুহূর্তে সেটা মনে পড়ছে না । ভূগোলে বরাবরই কাঁচা ছিলাম আজও আছি কিন্তু নতুন জায়গার সম্বন্ধে আজকাল উৎসাহ টা অনেকটাই বেশি সেটা হয়তো বা বয়সের আর অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বেড়েছে । নদী পার হতেই পাহাড়, একের পর এক এতই কাছে মনে হয় দৌড়ে গিয়ে আবার করে এসে ট্রেনে বসি । সেও বাংলায় পড়া সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের “ পালামোর পথে ” মনে পড়লো “ পাহাড় যতই কাছে মনে হোক যাইতে গেলে সেটি দশ বারো ক্রোশ তো হইবেই ” । মনের ভ্রম ভাঙলো সেও যে ছোটো বেলার শিক্ষার থেকে পাওয়ার অভিজ্ঞতা । একটা ছোটো স্টেশনে এসে ট্রেন দাঁড়ালো সিগন্যাল নেই হয়তো বা স্টপেজ আছে এখানে । দেখি একদল মধ্যবয়সী মহিলা তড়িঘড়ি উঠে পড়লো , প

B-116#শিশুকালে মনে,মধ্যবয়সে স্বপনে!

Image
শিশুকালে মনে,মধ্যবয়সে স্বপনে! এই তো গেলো সেই শিশুকাল, ছবির স্মৃতিতে ফিরে পেলো প্রাণ, উদ্দাম ছিল সে আনন্দের মাঝে, কিছুই ভাবিনি শিশুমনে,যখন যেটা সাজে। শিশুকাল যেন পরিবেশে বাঁধা, কল্পনার তুলিতে,মনের ক্যানভাসে, কত ছবি ছিল আঁকা, মনের গভীরে কিছু তো চাওয়া ছিল, মেয়েবেলাতে মায়ের শাড়িতে তাও বুঝি সেদিন এঁকে দিয়েছিলো। বহুরূপী সাজে, মন শুধু লাজে, সে স্বপ্ন ছিল, কত কল্পনার মাঝে, হায় রে শিশুকাল,ফিরবি না ইহকাল, কলুষিত মনে,আর পাবেনা এ বসন্তকাল। জীবন একদিন একটু বড় হোলো, কে যেন এসে কিছু বলে গেলো, এভাবে কি জীবন চলে,বড়তো হয়েছো?দেখবে এবারে জীবনটা কেমন , শুধুই যেন বিশ বাউ ঝোলে ঝালে। ঝাল খেয়ে বুঝি, এটা আরো বাস্তব, হতে হবে কিছু ঘটাবো অবাস্তব, পাড়ি দিলাম সেই আকাশ ধরতে, বায়ুসেনাকে ধরি মনের অজান্তে। কেষ্টা হয়ে ভ্রমি দেশে বিদেশে, কত কোম্পানি ধরি ছাড়িও নিমেষে, অবশেষে মন ব্যবসায় এসে বসে সংসার পাতি, সন্তানও হোলো শেষে। এবারে বুঝি সাঙ্গ হোলো বেলা, একে একে করে হারাচ্ছে যত চেনা ভেলা , মন যেন আজ আরো কিছু বলে, শেষ ইচ্ছেটা ঈশ্বর যায় না যেন রস

B-45#বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ)

Image
বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ) বিয়ের ঠিক সাতদিন আগে, দিদির শ্বশুরমশায় কিছু বলা নেই কওয়া নেই স্বশরীরে এসে হাজির হলেন। বাবাও অবাক, মনে মনে ভাবলেন কি জানি কোনো দাবিদাওয়া আছে নাকি তাই হয়তো এসেছেন,একেবারেই না জানিয়ে । উনি এলেন গ্রামেরই এক সম্পর্কের আত্মীয়কে নিয়ে সোজা হাওড়া থেকে ট্যাক্সি করে।  গাড়ি থেকে যখনই নামলেন, পরনে হাঁটুর উপরে ধুতি, সাদা ফতুয়া, খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, এক ভদ্রলোক,পায়ে কোনোরকমের জুতো বা চটি  নেই। আমি উনাকে রাস্তার মোড় থেকে আনতে গেলাম, বাবা নিজেও করজোড়ে প্রণাম করলেন ও ঘরে ডেকে এনে বসালেন। বেশ অবাক দৃষ্টিতে উনি সমস্ত ঘর গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। একটা সময় বাবার পাশে গিয়ে বসলেন, আর বাবার হাত দুটো ধরে কেঁদেই ফেললেন, মুখে একটাই কথা “ বাবু গো পারবে কি? এতো শিক্ষিত, তাও আবার কলকাতার মেয়ে , আমাদের মত একেবারে আটপৌরে জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে, তা সম্ভব নয়। গ্রামের বৌ হয়ে থাকা? খোকাকে কত বললাম, ওসব আমাদের গ্রামের লোকেদের  মানায় না, গ্রামে কি মেয়ের অভাব ছিল, ঐ তো পইড়া বাবু, মাইতিবাবু তারা তো অস্থির মেয়ে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কে কার কথা শোনে “। বাবা তো  না পের

B-42#চার অধ্যায়

Image
চার অধ্যায়  সাজানো বাগান শুকিয়ে গেছে, রইলাম মোরা দুই,  কত সে প্রবল ভালোবাসা ছিল, কত খুনসুটি, আজ সে কই?  মনে পড়ে সেই শিশুকাল কথা, ভাগ করে নিতাম যত মাথাব্যথা,  ভাগের ঘরে টান পড়েছে, একে একে সবই হারাতে বসেছে।  তবু ভাবি আজ আছি দুই জন, কে যে হবে একা জানেনা এ মন, জীবন যুদ্ধে শুধু সংগ্রাম করি,  দিনের শেষে যে কি বিষাদে মরি।   ঠাঁই কি হবে আরো কিছুদিন, বাকি দুই অধ্যায় পাবে কি সুদিন,  ভালো কিছু তো সবেতেই ভাবি, শেষে কেন শুধু ইতিতেই এ ছবি?

#B-7:- ডাক

Image
                   ******ডাক ****** জীবনের সব চাওয়া পাওয়া গুলো,          আজও যে কেবলই অপূরণ রয়ে গেলো,  থাকলো,  সে তো অধরা কথা গুলো,             না বলার আগেই শুন্যে বিকল।  কত যে ঝগড়া, কত যে প্রেম,                আজও মনে হয়, এই তো সেদিন,   আজ শুধু ভাবি, স্মৃতিগুলো নিয়ে,                  এতো তাড়াতাড়ি কেন এ দুর্দিন।  সকলের ছোটো, ছোটো হয়ে থাকি,     মনে পড়ে আজও  সেগুলোই যে ছিল বেশ, বড় হতে আর পারলাম কই,             তাই শুধু টানি  জীবনের রেশ। তোলা তোলা করে বড় যে হয়েছি,                              যারা তোলা রেখেছিল?  কেবলই আজ হারাতে  বসেছি।    আর কি পাবো সেই তোলা দিন,                     স্মৃতি শুধু বেদনার যে আজ,       বাকি  সবই হয়েছে  যে ক্ষীণ । বাঁধনের বাঁধ ভেঙে যায় কখন , ছিন্ন হয় সে  যখন তখন ,        সম্পর্কের বাঁধ গুলো তাই,  স্মৃতিতেই  রই                       সারাটা জীবন।  ***************************************