Posts

Showing posts with the label ritual

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

Image
বিশ্বকর্মা পূজো  প্রতি বছরই 17ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পূজো, একথা আমাদের ছোটবেলার থেকেই জেনে এসেছি। চাঁদের গতি পৃকৃতির উপর নির্ভর করে হিন্দু ধর্মের সব দেব দেবীর পুজোর তিথি স্থির করা হয় একমাত্র বিশ্বকর্মার পুজোর তিথি সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে স্থির করা হয়। তাই দিনটি প্রতি বছর একই দিনে হয় ।যখন সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখনই সময় আসে উত্তরায়ণের। দেবতারা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন এবং শুরু হয় বিশ্বকর্মার পুজোর আয়োজন। হিন্দু পঞ্জিকার দুই প্রধান শাখা সূর্যসিদ্ধান্ত এবং বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত- উভয়েই এ বিষয়ে একমত।  বিশ্বকর্মার আক্ষরিক অর্থ হোলো যিনি “সর্বশ্রষ্ঠা “। ইনি হলেন এক হিন্দুদের দেবতা, ঋকবেদ অনুযায়ী ইনি সৃষ্টিকর্তা ও পরম সত্যের এক দেবতা। আরও একটু স্পষ্ট করে বলতে হলে, বিশ্বকর্মার পুজোর দিন ভাদ্র মাসের শেষ তারিখে নির্ধারিত। এই ভাদ্র সংক্রান্তির আগে বাংলা পঞ্জিকায় পাঁচটি মাসের উল্লেখ মেলে। এই পাঁচটি মাসের দিন সংখ্যাও প্রায় বাঁধাধরাই- সাকুল্যে ১৫৬টি দিন! এই নিয়ম ধরে বিশ্বকর্মা পুজোর যে বাংলা পঞ্জিকা মতে তারিখটি বেরোয়, তা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৭ সেপ্টেম্বরেই পড়ে। ক

B-45#বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ)

Image
বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ) বিয়ের ঠিক সাতদিন আগে, দিদির শ্বশুরমশায় কিছু বলা নেই কওয়া নেই স্বশরীরে এসে হাজির হলেন। বাবাও অবাক, মনে মনে ভাবলেন কি জানি কোনো দাবিদাওয়া আছে নাকি তাই হয়তো এসেছেন,একেবারেই না জানিয়ে । উনি এলেন গ্রামেরই এক সম্পর্কের আত্মীয়কে নিয়ে সোজা হাওড়া থেকে ট্যাক্সি করে।  গাড়ি থেকে যখনই নামলেন, পরনে হাঁটুর উপরে ধুতি, সাদা ফতুয়া, খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, এক ভদ্রলোক,পায়ে কোনোরকমের জুতো বা চটি  নেই। আমি উনাকে রাস্তার মোড় থেকে আনতে গেলাম, বাবা নিজেও করজোড়ে প্রণাম করলেন ও ঘরে ডেকে এনে বসালেন। বেশ অবাক দৃষ্টিতে উনি সমস্ত ঘর গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। একটা সময় বাবার পাশে গিয়ে বসলেন, আর বাবার হাত দুটো ধরে কেঁদেই ফেললেন, মুখে একটাই কথা “ বাবু গো পারবে কি? এতো শিক্ষিত, তাও আবার কলকাতার মেয়ে , আমাদের মত একেবারে আটপৌরে জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে, তা সম্ভব নয়। গ্রামের বৌ হয়ে থাকা? খোকাকে কত বললাম, ওসব আমাদের গ্রামের লোকেদের  মানায় না, গ্রামে কি মেয়ের অভাব ছিল, ঐ তো পইড়া বাবু, মাইতিবাবু তারা তো অস্থির মেয়ে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কে কার কথা শোনে “। বাবা তো  না পের

BFES-1#GANESH_CHATURTHI

Image
  শুভ গনেশ চতুর্থী 2020 সুপ্রভাত আমার সকল বন্ধুরা ও সকল পাঠকগণ আজ শুভ গনেশ চতুর্থী, তাই শুরু করছি এক শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে শ্রী শ্রী গণেশের নামে আমার এই blog লেখা। নানান পৌরাণিক তথ্য নিয়ে আজ হাজির হলাম আপনাদের কাছে। আসা যাক এক বিস্তারিত রূপরেখায় একেক করে :- • পৌরাণিক মতে কেন ইনি সবার আগেই পূজিত হোন, • গনেশের মাথাটি হাতির মাথা কেন , • কলাবৌ কি আদৌ গনেশের বৌ, • গণেশ পুজোর বিধি, মন্ত্র, ও উপকরণ, • গণেশের খাবার ও পৌরানিক কাহিনি, • কোন কোন জায়গায় বা দেশে  উনাকে কি নামে ডাকা হয় I • একবার ব্রহ্মান্ডে সমস্ত দেবতাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিল যে পৃথিবীর সমস্ত দেবতাদের মধ্যে আগে কোন ঈশ্বরের উপাসনা করা উচিৎ। সমস্ত দেবতারা নিজেদের সেরা বলতে আরম্ভ করলেন। নারদ মুনি এই পরিস্থিতি দেখে সমস্ত দেবতাকে শিবের আশ্রয়ে গিয়ে তাঁকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সমস্ত দেবতারা ভগবান শিবের নিকট এসে উপস্থিত,তাঁদের মধ্যে এই ঝগড়া দেখে ভগবান শিব একটি সমাধানের পরিকল্পনা করেন। তিনি একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন। সমস্ত দেবতাকে তাঁদের নিজ নিজ বাহনের সাথে পুরো মহাবিশ্বের আশেপাশে যেতে বলা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায়

B4 :- চতুর্থী

Image
#চতুর্থী মা আজ তোমার চতুর্থীর কাজ করছি?  অনেক অজানা জানা কথা গুলো তোমায় বলতে চাই, মা। তোমার রোগের খবর পাওয়া মাত্র তড়িঘড়ি বিয়ে দিয়ে দিলে, নিজে দায়মুক্ত হলে, আমাকে পাঠিয়ে দিলে সংসার জীবন করতে তাও আবার সুদূর দিল্লিতে। হয়তো দেখে যেতে চেয়েছিলে, তাই তোমার বাবার এই চিন্তাধারাকে আমিও মেনে নিয়েছিলাম আবার ঈশ্বরের এক অসীম কৃপায় এই ঘাটশিলাতেই ছেলেও পেয়ে গিয়েছিলে। মামা বলেছিলো, মা মনে আছে তোমার?  তোর মেয়ের বিয়ে ঘাটশিলাতেই হবে, সেটা মিলেও গেছিলো কেমন করে। আসলে মামার কথাগুলো তোমরা প্রথমে অগ্রাহ্য করলেও তোমরা মনে মনে মানতে, কোথাও না কোথাও তার কথা গুলো মানতে। মা এখন সকাল নটা বাজে, আশীষ পুরোহিত এসেছে, তোমার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের মন্ত্র পাঠের জন্য আজ যে আমার চতুর্থী। একটা কথা বলি মা?  যদি বিয়েটা না হত তবে তো বাবার সাথে আমিও এগারো দিনেই তোমার কাজটা করতাম তাই না?  অন্যের বাড়ি, মানে শাস্ত্র মতে গোত্রান্তর হয়ে গেছে তাই তো মা?  আচ্ছা মা মেয়েরা জীবনে কি শুধুই ধাক্কা খেতে খেতে বড় হয়?  ওরা কি কখনো কারোরই হয় না? তাই কি অধিকার চার দিনের?  যাক সে সব কথা চোখের কোনে জল এসে চিক চিক করছে, আর বেশি ভা