Posts

Showing posts with the label SARCASTIC

B-158# ছোটো গাড়ি বড় গাড়ি

Image
!!    ছোটো গাড়ি বড় গাড়ি !! ছোটো গাড়ি বড় গাড়ি ,                          যাবো বাড়ি তাড়াতাড়ি , মায়ের সাথে দুপুর বেলায় ,                         খাবার খেয়েই গড়াগড়ি । বিকেল হলেই এমটুকে চায় ,                      হাল্কা মেজাজে ছিপি খুলি , ঠান্ডা বিয়ারে কুল্লি  করে ,           পরের  দুটোতে তাই  মেজাজে চলি। আমার যত ভাই বোন,                       ওদের আমায় দেখতে হবে , এতকাল সব হারিয়ে গেছিলো ,                         এত বছর পর ফিরে পেলি । গ্ৰুপ বাজি আর ধস্তাধস্তি ,                         কে যে কোথায় মস্তি করলি , কেউ বা কাউকে ব্লক করলি ,                  উড়ে এসে  আবার পালিয়ে গেলি । গুড মর্নিং রোজ দেওয়া চায়  ,                 সঙ্গে দুটো জ্ঞানের কথা, আমি তো ভাই রাতের পাখি ,                  তাও খোঁজ নি   রাত দুটো হলে,                          আমারই তো যত মাথাব্যথা। 

B-139#অভিনয়

Image
অভিনয় সবেতেই অভিনয়  - কেউ কথায়, আবার কেউ বা ব্যথায় , এমন এক রহস্য জাল, বোঝা   শুধুই দায় । অতিরঞ্জিতর অতিরিক্ত মাত্রায় আপোস করা, সেও অভিনয় , অভিনেতা হয়তো পর্দায় শেখে , কিন্ত তালিম টা শেখে পারিপার্শ্বিক দেখে । সহজাত করেছে জীবনের ছন্দে , তাই বা হয়তো ঘেঁষে না কো নো   দ্বন্দে , হেসে খেলে বেড়াবো সেটাও অভিনয় , বুঝতে দোবো না  শ ঙ্কাই , তাই গোচরে  হয়  ভয় ।   আবরণের কতই   প্রলেপ , একেকটা প্রলেপে আছে কেবলই   মিথ্যের আক্ষেপ , ঠকানো  আদৌ   অভিনয় নয় , ভালো কথা বলা   শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় । ও ব্যাটা দুঃখী কেউ ঘেসো না , সাদামাটাতে ভালো কথা বলে পারলে মিশো না , প্যানপ্যানানি জ্ঞানের কথা    সবাই তো বলে, তাই আজকাল শুনি না । রঙিন দুনিয়ার ছবি সবাই দেখে , তাই সাদাকালো ছবি আজকাল মনে ধরে না , অভিনয় শিখে রপ্ত করেছি , সত্যি কে মিথ্যে বলে পাল্টাতে পেরেছি , তাই কোনোকিছুই গায়ে মাখিনা । বেশ তো ভালো আছি , খাচ্ছি দাচ্ছি নাকে তেল দেই না , তাও নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছি , মজার এই জগৎ টায় 

B-100#নকল কেল্লা

Image
নকল কেল্লা  শক্তি কোথায় পাও অর্ণব, তুমিই তো হলে দেশের জব চার্ণক। দুষ্টেরে আজ কিছু তো বলো, বাঁশের চেয়ে আজ মিথ্যে কেন দর। সত্যের হোক জয়, দুষ্টের  হোক শুধু  আজ ক্ষয়। শিশুপাল সে তো এবারে কাঁপবে,   কৃষ্ণ যে আজ লীলায় ঝাঁপ দেবে । হায়রে দুর্বল, শুধু ক্ষমতা রে করো বল, মিথ্যেরে শুধু রটনা করো, ফানুস হয়ে তুমি কেল্লো গড়।

B-98 #লক্ষীর ঘর

Image
লক্ষীর ঘর  জীবনে বেশ কিছু কিছু হাসির  অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার করতে ইচ্ছে করে, তাই  দুটো বাস্তব কাহিনীকে ঘিরে আমার এই লেখা  ATM । সালটা 2018,ভেলোরে গেছি ঠিক দুর্গোপুজোর ষষ্ঠীর দিন পৌঁছয়। উদ্দেশ্য একটাই দিদিকে দেখতে যাওয়া। দিদির সবে সবে ক্যান্সার ধরা পড়েছে গলায় তাই সে ও দাদা বিগত প্রায় পাঁচ মাস সেখানে আছেন একটি বাসা ভাড়া করে। আমি ও আমার পরিবার অর্থাৎ আমরা তিনজন তাই সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। এমনিতেই মনটা ভারী কষ্টে কেটেছিল সে বছর দুর্গোপূজোর সময়টা। দিদিরা থাকতেন Christian Medical College অর্থাৎ CMC  থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাগায়াম বলে একটি জায়গায়। যে কটা দিন ছিলাম দিদিকে নিয়ে সেই সকালে চলে যেতাম ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যেত। বাড়িতে এসে কোনো কাজ না থাকাতে বেড়িয়ে পড়তাম সান্ধ্য ভ্রমণে একটু অশান্ত মন কে শান্ত করতে,আবার কখনো বা সেখানেই কাছাকাছি একটা গণেশ মন্দিরে ইষ্টদেবতা ভেট ও প্রণাম করতে। জানতাম কিছু লাভ নেই তাও আর কি যদি কোনো মিরাকেল হয়।                                       রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একদিন কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র  ATM খুঁজতে। বহুক্ষণ খোঁজার পর অবশেষে পাওয়া গেলো বাই

B-84# নাকছাবি

Image
নাকছাবি

B-76#বুদ্ধি

Image
              বুদ্ধি কেমন যেন বুদ্ধি গুলোর,               বেশির ভাগটাই জমেছে ধূলোয়, অন্যায়ের কাছে  ন্যায় চায় ওরা,                    মাথায় কেবল কুবুদ্ধিতে ভরা। জ্ঞানগম্ভীর সকাল বিকাল,                  বুলি আওড়ান এ যে কলিকাল,  আজ বুঝি সব মিথ্যে কথা,      ওঁরাও বোঝেন যখন,নিজের মাথাব্যথা। সত্যের কাছে কেবলই ফাঁকি,                           মাটিতে পা পড়তে বাকি, মিথ্যে গুলোকে সত্যি করে,                          বিকোচ্ছে কত জ্ঞানপাপী। ব্যাংক ব্যালান্স আজ পরিপূর্ণ,                             মারছে টাকা করছে চূর্ণ, শিক্ষিতেরা ভিক্ষা করে মরে,             অশিক্ষিত গুলো বুক উঁচিয়ে ঘোরে। মুখে গালাগাল, নিজে বেসামাল,                   যা বলছে, ভাবে করছে কামাল, জনগণ শুধু চুপ করে সয়,                 ভাবের ঘরে পায়,বোকা প্রশ্রয়।

B-72#বোকা

Image
বোকা এই শহরে আমি আজ একা                    একটু চালাক, বড্ডো বোকা,  সারাদিন কত রংতুলি মাখি,               জ্ঞানতো দেইনি কখনও যে  ফাঁকি । এই শহরে আমি আজ একা                    একটু চালাক, বড্ডো বোকা, বাড়ির কাছে আরশি নগর,                             যেখানে  আমার বাস,  নিজেকে নিজে দেখি আজ আমি,                    ফিরে পেতে চাই সব  আশ। লালন, কবীর, করিম এঁরা,                  দিয়েছেন কতই না  দেহতত্ব কথা,  কিছুই বুঝিনা, বুঝতে পারিনা,                   বোকা বলেই সে তো জানা কথা। প্রতিষ্ঠিতরাই শুধু  প্রতিষ্ঠা পায়,                     পৃথিবী তাঁদের মেনে নিতে চায়,  আগে কিছু হতে হবে ভাই,          দেখবে তখন সব তোমাতে ফিরে পায়।   । মনের বাসনা খুলে দেবো আজ,                     কিছু হতে হবে মিটবে সে  স্বাদ,  তোমার উদ্দেশ্য একটা যে আছে,                এভাবে যেও না, পস্তাবে যে  পাছে।

B-41#সত্তরে হোয়াটস্এপ

Image
                                                                        সত্তরে হোয়াটস্এপ   রাহুল,  বাবা তুই আর বৌমা অফিসের পর  যখনি বাড়ি আসোস , সেই একসাথে বইসা  চা খাওয়া ব্যস,  তারপর সমানে তোরা দুজনা  ওই যে মোবাইলটা নিয়া  বসলি,  চলে এক্কেবারে  রাত দশটা পর্যন্ত।  আমার না হয় এখন সময় কাইট্যা  যায় মহাভারত দেইখা , কিন্তু ভাবি জানোস  বাবা,  কি আসে ঐটাতে  যে তোরা এতক্ষন নিয়া  সময় কাটাস।  বৌমা তুমি কিছু মনে কইরো না  কাল তুমি এত হাসছিলা  জানস রাহুল, পাশের ঘর থেইক্যা  wheel chair টা নিয়া আইস্যা  দেখি তখনো হাসে , আমায় আসতে দেইখ্যা  তুমি চুপ হইয়া  গেলে,  কিন্তু তাও হাইসাই যাচ্ছিলা , আর আমি ভাবলুম গেছে বৌমা পাগল হইয়া  গেছে। রাহুল ওই যন্ত্র টা কিনতে কত লাগবো  রে, আমায় কাল আইনা  দিবি?  তবে হ্যাঁ,  বড় চাই বেশ বড় তোগো থাইক্যা ও  বড়, চল্লিশ হাজারে হইয়া যাইবো  না?  এই নে,  টাকা পয়সা নিয়াই বসছি  চা খাইতে , তুই না হয় এখনই আইনা  দে  রাহুল। আজ সন্ধ্যে থাইক্যা  তোদের মতো আমিও হাসুম  সমানে  জোরে  জোরে । ধর ধর, টাকাটা ধর যা এক্ষুনি যা আমার তর্ সইছেনা যে রাহুল।                            

B-34#স্মৃতি চারণা (শুভ সুমেধার দশম পর্ব)

Image
                  স্মৃতি চারণা দেখো সুমি,মলি এই তো সেদিন হোলো,দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেলো । আজও মনে পড়ে হসপিটালে অপারেশন থিয়েটারের সামনে  অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম বাইরে, কি জানি কি খবর আসবে  ছেলে না মেয়ে। নার্স ডেকে পাঠালো, ডাক্তার এগিয়ে এসে বললেন মেয়ে হয়েছে, সে কি আনন্দ মনে মনে। মনকে বললাম “আচ্ছা শুভবাবু বুঝলেন আপনি বাবা হয়েছেন”, মুহর্তে কিছুটা হলেও মনে মনে বিষম খেয়ে, আয়া মাসি আমায় আবদার করে বললেন মেয়ের মুখ দেখাতে পারি, কিন্ত খুশি না করলে তো দেখানো যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট বার করে দেখাতেই প্রথম দেখলাম মেয়েকে, কি যে সে অনুভূতি বাবা হয়ে, একেবারেই সেকেন্ডে বাবা হয়ে কত স্বপ্নের জাল মুহূর্তে বুনতে শুরু করলাম। একেবারে শরতের আকাশে খন্ড খন্ড  পেঁজা তুলার মত সেদিন মেয়ের আগামী জীবনের চলার পথের সিঁড়ি মনে মনে বানিয়ে ফেলেছিলাম। আয়া মাসি এসে বললেন,মেয়ের জন্য জামা কিনে নিয়ে আসুন সুতির কিনবেন, কিনতে গিয়ে সে কি আনন্দ এই আমার টাকায় মেয়ের প্রথম কাপড়, কেউ দেখে বললো মায়ের মত, আবার কেউ বললো বাপের মত, আবার অনেকে বললো টাকলা হবে নাকি, মাথায় ত