Posts

Showing posts with the label Life

B-127#জীবন -পঞ্জিকা

Image
জীবন -পঞ্জিকা  একদিন থেমে যাবে জীব নের ছন্দ , চিরবিশ্রামে  শায়িত দেহ, হবে না কো দ্বন্দ্ব । পরিশ্রম কিছু নাই নিথর মনে শান্তি , ক্লান্ত হবো না কভু , থাকবে না ভ্রান্তি । কষ্টটা থাকবে , যারা   বসে কাঁদবে , শেষ কথা কি বলেছিলো , মুখে আউরাবে। অচেনা সে লোকজন , ফুলমালা আনবে , সেলাম করে তারাও , গুণগান গাইবে । আত্মীয়স্বজনেরা দূর থেকে আসবে , শেষ দেখা দেখে তাঁরা করুনায় ভাসবে । মৃতের পরিজন মানাতে চাহে না মন , কিছুক্ষন আগেও যে  ছিল সম্পর্কের স্বজন। কৃতকাজ করে এসে, ব্রাহ্মণ আসবে, পঞ্জিকা দেখে তিনি, তিথি ঠিক করবে। ঘাটকাজ করে এসে, নতুন পরিধান করো শেষে, তিল উৎসর্গ করেই যত, শুদ্ধি বেলাশেষে। দাগ রেখে যাও সবে, কি রেখে গেলে ভবে, যুগযুগান্ত ধরে, তোমারি জয়গান মনে রবে।      

B-126#জীবন নামচা

Image
জীবন নামচা   দুই এক্কে দুই , দুই দুগুনে চার ,       চারে  ছিলাম, ওটাই এখন দুয়েই মেলা ভার ।   তিন এক্কে তিন , তিন দুগুনে ছয় ,  কেমন  একজন  কমে গেলেই, সংসার নয়ছয় । চার এক্কে চার , চার দুগুনে আট , বোনেদেরই বিয়ের পরে  ঘুচলো বোঝার   পাট । পাঁচ এক্কে পাঁচ , পাঁচ দুগুনে দশ ,  মা বাবার ঐ খুশির মুখে জীবনটা সংশয় । ছয় এক্কে ছয় , ছয় দুগুনে বারো ,   কন্যা সন্তান হতেই যেন, মনে জোয়ার এলো । সাত এক্কে সাত , সাত দুগুনে চোদ্দ , নাতিনেরা গালে ভাত নিয়ে,ঠাকুমা শোনান পদ্য। আটে   দুয়ে ষোলো , নয়ে দুয়ে আঠারো , বয়স কালের  রোগ ব্যাধি , হঠাৎ দেখা দিল । জীবন যেন এক থেকে দশ,দশ থেকে তিনে  এল, রোজনামচা মনে আউড়ায়, কথাগুলো পড়ে রইলো।        

B-110#মগজের সুখ দুঃখ

Image
                 মগজের সুখ দুঃখ  জীবনের সব আনন্দ গুলো ভাগ করে নেবো সবার সাথে, দুঃখ সে তো নিজের কাছেই, সে ভাগ রবে মনের কোণে। ভালো বলতে দোষটা কোথায়,একটু হলেও যে উৎসাহ পাই, কোথাও যেন হারিয়ে গেছে,দোটানায় মানুষ নিশ্চুপ তাই। মনের কাছে মনের দ্বন্দ্ব, এই বুঝি তাই,বেশ তো আছি, হাল্কা থেকে হাল্কা ভাববো,গভীরে গেলেই কটূক্তি যে পাই । কি দরকার বেশি মাখামাখি, ঘরকুনো হয়ে সত্যি আজ থাকি, মনের দ্বন্দ্ব সেটা তো লজেন্স, চুষে চুষে শুধু মাথাটা ভায়োলেন্স, বয়স হোলো আজ বেশ তো ভাবি, দ্বন্দ্ব ঘোঁচাতে দেখি, খুলি সব চাবি। চাবি গুলো সব মরচে ধরেছে, মাথার খুলিতে ব্যামো যে হয়েছে।

B-108#একাকীত্ব জীবন

Image
একাকীত্ব জীবন জীবন যুদ্ধে কে হবে একা,             সময়ে হয়তো তা  জানাবে শেখা, যিনি চলে গেলেন কল্পনাতে,        স্মৃতিতে থাকবে যে পড়ে রবে একা । সকাল হলেই আমার পছন্দ,               কত খুনসুটি কত গালমন্দ, তখনও বুঝিনি একা হতে হবে,      চায়ের টেবিলে আজ পেয়ালাটা ফাঁকা। কত জল্পনা আগামী জীবনে,              মেটাতে পেরেছি ভুলিনি এখনো, মতের অমিল তখনও যে ছিল,   ঝালের দিনগুলো আজ মিষ্টি মনে হোলো। এইতো মাত্র কয়টা দিন,       কিছু স্মৃতি আছে জানি হবে না বিলীন, আগামী জন্মে আবারও এক হবো,                ঝাল গুলোকে মিষ্টি করে দেবো ।

B-107#দ্বিজ (বড়দিদি গল্পের অষ্টম পর্ব )

Image
দ্বিজ দুই বার যাহার জন্ম । মেয়েদের জন্ম দুই বার হয় এক পিতৃকূলে, আর দ্বিতীয় স্বামীকূলে । আমৃত্যু  এই পরিচয়ই বহন করে চলেন তাঁরা । শিশুকালে কন্যা অর্থাৎ বাবা মায়ের কাছে গৃহলক্ষী,  একটু যৌবন পেরোতে না পেরোতেই টুকটুকে বৌমা । তারপর গর্ভধারিনী মা, শ্বাশুড়ি, বৃদ্ধা তারপর সব শেষ । লিখতে লিখতে মনে হচ্ছে দুইবার নয় তিনবার জীবনে সে পর- অধীন । পিতৃকুল, স্বামীকুল, সন্তানের অধীনস্ত কুল । একটা যেন জীবনের রূপান্তরিত করণ, মস্তিষ্কের প্রতিমুহূর্তে বিকাশ । বিজ্ঞান প্রতিক্ষনে মস্তিষ্কের নানান দিক আমাদের জানিয়েছেন কি ভাবে কাজ করে । মনে হয় ভারতীয় নারীর মস্তিস্ক নিয়ে  যদি আগামীদিনে গবেষণা করেন  সেই শিশুকাল থেকে প্রৌঢ়া অব্দি,হয়তো অনেক তথ্য জানতে পারবেন । কারণ নারী মস্তিস্ক এমন এক অদ্ভুত ভাবনা চিন্তা নিয়ে এগোতে থাকেন যে প্রতিটা মুহূর্তে কালোপযোগী করে তোলেন তাদের কে নিজে থেকে এক অর্থে স্মার্ট হতে হবে প্রতিটা কুলের ক্ষনে । যেমন শিশু হলে কেমন আচরণ, নতুন বৌমা হলে কেমন ব্যস এই পর্যন্ত, পরবর্তী টা তাঁকে বলার কেউ থাকে না।কারোর ক্ষেত্রে তখন বয়স একুশ বা বড়জোর পঁ

B-106# কি হতে চাই

Image
কি হতে চাই  কিচ্ছু হচ্ছে না মন ভারী ক্লান্ত,     যেটা পেতে চায় মন তারই লাগি অশান্ত । স্বপ্ন সে তো অনেক আছে,             সেই কতকাল থেকে বয়ে চলেছি, ঠোকর খেতে খেতে আমি,                  একটি  আশায় বুক বেঁধেছি । জো বিডোন তো কত বর্ষীয়ান          প্রৌঢ়রাতেও ঘুচলো তিনি যাহা চান, এতটুকুই শুধু অনুঘটক হয়ে,                    আগামীতে পাক সে স্বপ্ন পুরান।

B=96#পিঁপড়ের দল

Image
পিঁপড়ের দল  সব যেন আজ পিঁপড়ের দল,            একসাথে মিলি কাজ করি চল, লক্ষ্য যেটাই হোক কেবলই,                   একত্রে হলে পায় মনোবল। পথটা হয়তো অনেক দূরের,        গন্তব্যে পৌঁছবো একটু একটু ঘুরে, একই সাথে এক জায়গাতে,                   সে লক্ষ্যও থাকে অল্প দূরে। কে কোথায় আছিস এগিয়ে আয়,            এ কয়জনে এগোচ্ছে না যে ভাই, আগে ঠিক কর কোথায় যাবি,         একজনাকেই দেবো চলার চাবি। প্রয়োজনে আরো খবর দে,                 টানা হিঁচরোয় ছিঁড়ে যাবে যে, দ্বন্দে যদি মেতে উঠিস,                ছন্দে আবারও ফিরবি কবে। প্রকৃতি আজও নিজের নিয়মে,             চিরাচরিত পথেই এগিয়ে চলে, লক্ষ্য গুলো ভেঙে গেলেই,           আটকাবি সেই মাকড়সার জালে।

B-86#থাক না -

Image
থাক না ----- লিখবো না পড়বো না মাস্টারের কাছে, দর্জিগিরি করতে আমায় মামাই বলেছে। দুলেদুলে একই পড়া করবো না রে ভাই, মামার বাড়ি থাকবো গিয়ে কিল চর নাই। সহজ কথা সহজ ভাবে বলতে শুধু চাই  লোকে বলে বলুক মন্দ তাতে ক্ষতি নাই। এখন আমি বারো কি তেরো ষষ্ঠ ক্লাসে পড়ি, ইষ্ট কালে অষ্ট প্রহর কৃষ্ণের নাম করি। রামলীলা, আর পুতুল নাচ মামার সাথে দেখি, পুতুল গুলো নেচে বেড়ায় হাঁফায় না তা দেখি। বয়স হোলো দেখতে দেখতে একান্ন ছুঁই ছুঁই, জীবন হোলো পুতুল খেলা, মরমেও যে দেয় উঁকি।

B-77#মাধু – দ্বিতীয় ভাগ(শুভ সুমেধার চতুর্দশ অধ্যায়)

Image
মাধু – দ্বিতীয় ভাগ(শুভ সুমেধার চতুর্দশ অধ্যায়) মাধুর সেই করুন কাহিনী, চরম দারিদ্রতার মধ্যে লড়াই, তার মধ্যেও যে একটুখানি আনন্দ পাওয়া যায়, সেই ছোটবেলা থেকেই মাধুরা তা বুঝতে পেরেছিলো। জীবনে সেই শেষ ভালোবাসার একমাত্র সম্বলটুকু মা, তাও  হারিয়ে গেলো। সে খুঁজে পেতে চায় তার শৈশবকে ,আবার করে ভাঙা গড়ার জীবন টাকে। মাত্র এই দুদিনে সে সুমেধা, শুভর মধ্যে একটা ভরসা খুঁজে পায়, একটা স্বপ্ন গড়ে তোলে, পাড়ার বাচ্চারাও মাধুকে একটা সঙ্গী হিসেবে আপন করে নিতে চায়। যেখানে দারিদ্রতা চরম সেখানে বোধহয় শুধুই সমঝোতা, নিজের ভুলকে হয়তো মেনে নেওয়া, আর শুধরে নেওয়া, একটা আপোষ যেটা হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে করা হয়ে ওঠেনি মাধুর ক্ষেত্রে।

B-52#পরিস্থিতি

Image
                     পরিস্থিতি পরিস্হিতির হয়তো স্বীকার আমি,                      তাই সমঝোতা করছি, সারাদিন কত স্বপ্ন,      আজও তারই যে জাল বুনে চলেছি । অনেক স্বপ অনেক আশা,                     আজও  মনে হয়  পারবো, বেলাশেষে কোথাও একটা ,      নিজের ভুলেরই দোষারোপ করবো। কত যে সময় হেলায় গেছে,             বুঝি আজও  সে আসবে না কাছে, শিক্ষা থেকেই শিক্ষা নিয়েছি,                শুন্য কলসে তাই ভরতে বসেছি। আবার করে ভাবতে বসে,                  দেখি পারি কিনা ভরতে দিবসে, শেখায় শুনেছি বয়স হয়না,                             তাই শিখছি মধ্য বয়সে। পড়বো,লিখবো,শিখবো চল,                            আশায় বাঁচে চাষার দল, জ্ঞানের আশায় পূর্ণতা পেলে,                      জানি নিশ্চয় ফলবে ফসল।