Posts

Showing posts with the label CHILDHOOD DAYS

B-133# এক টুকরো শিশুকাল আউল্ড কাউল্ড

Image
                          এক টুকরো শিশুকাল আউল্ড, কাউল্ড ছোটবেলায় যে সময়ে স্কুলে পড়তাম বাংলা বা ইংরেজিতে একটা চল ছিল বিশেষ করে grammar  portion এ  চিঠি লেখার, কথায় বলতাম যদি ঠিকঠাক লেখা যায়  ” ছাক্কা 15 নম্বরে 12 তো পাবোই “ । কি করে কত ভাষা দিয়ে চিঠি লেখা যাই , বাড়ির গৃহশিক্ষক বা স্কুলে লিখিয়ে দিতেন, একেবারে দাঁড়ি কমা , সেমিকলন কোনোটাই ছাড়তাম না, পুরোদস্তুর মুখস্থ করে আউড়ে যেতাম আর উগলে দিতাম পরীক্ষার খাতায় । ওটা হতো বেশির ভাগ ইংলিশের ক্ষেত্রে । ইংলিশ মানেই প্রচন্ড দুর্বল,  কারণ একটাই ভিত শক্ত ছিল না । শিক্ষক বহুবার বলেছেন could, would  spelling কুড ও উড   হয় , মন কোনোদিন মানেনি  । ঐ জায়গায় এসে ঠক্কর তো খেতামই, জোরে জোরে চীৎকার করে পড়তে গিয়ে বাবার ভয়ে   উঁচু স্বরে বলতাম ঠিকই, কিন্তু মনকে বলেছিলাম সেদিন তুই আউল্ড আর কাউল্ড উচ্চারণ করিস । কারণ একটাই তাহলে বানান টা বেশ মনে থাকবে পরীক্ষার সময় ভুল হবে না। প রীক্ষার হলে বাবা বা স্যার তো যাবেন না

B-66 #মিতুর চিঠি( বড়দি গল্পের সপ্তম ভাগ)

Image
                       মিতুর চিঠি  শ্রীচরণকমলেষু বাবা ও মা,                                        আজ বহুদিন পরে তোমাদের চিঠি লিখছি। এখান থেকে পোস্টঅফিস অনেক দূরে আমার ননদ মানে বাণী সে শহরে থাকে মানে কাঁথিতে, সেখানে সে পড়াশুনার জন্য থাকে। সপ্তায়ন্তে আসে, আজ শনিবার তাই আসার সময় আমার জন্য একটা ইনল্যান্ড লেটার এনেছে। বহুদিন তাকে বলেছি, সে ভুলে যায়,আজ তাই তোমাদের এই চিঠিখানি লিখছি। বাবা দোতলার ঘরে ছোট্ট জানালা, বাইরে তাকালেই বিস্তীর্ণ অঞ্চল শুধু ধান খেত, আর দূরে অস্পষ্ট বাঁধ দেখা যাচ্ছে, আমার জানালা থেকে। ঠিক বাড়ির পূর্বপাড়ে যেখানে কলাবন, তার পাশেই বড় রাস্তা। কিছুদিন যাবৎ কলকাতা গামী একটা বাসের পরিষেবা চালু হয়েছে। বাসের কন্ডাক্টর টা সমানে চীৎকার করে বলেই চলেছে – “হাওড়া, হাওড়া, ধর্মতলা ধর্মতলা “ তার সে ডাকে কানটা ঝালাপালা হয়ে উঠেছে, মনে হচ্ছে কতদিন সে ধর্মতলা ও দেখিনি আর সেই হাওড়া স্টেশন,যেখানে একটা সময় হারিয়ে গিয়েছিলাম  সেই পাকুড় থেকে আসার সময়।আসলে গ্রাম বাংলার জীবনটা আমার জীবনের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে গেলো। সবই মা ভবিতব্য, এগুলো তোলা থাকে, সে যতই চেষ্

B-61#জিলাপি তলা

Image
জিলাপি তলা মনে পরে সেই শিশুকাল  বেলা,              আমার পরিচিত সেই জিলাপিতলা। স্কুল ফিরতি যখনই বসতাম,                   কত পাকা ফল কুঁড়িয়ে পেতাম। সেই একবার দোলের সময়,                 অজয়, বিজয় কি দিয়েছিলো ভয়। লুকিয়েই সেই জিলাপি তলায়,                রং ছুঁড়েছিলো উর্দি পুলিশের গায়। বাবার সে মার আজও ব্যথা লাগে,     দোল আসলেই আগে সে কথা কেন জাগে। বয়স কালে আমি আজও গিয়ে বসি,                কি অপরূপ সেই স্মৃতি ছিল দেখি। একটু এগোলেই সে শিমুল গাছ,                     কত মৌচাক বাসা বাঁধে আজ। এরাই তো ছিল আমার প্রকৃতি,            ছোট্ট বেলার সেই স্মৃতির আঁকিবুকি। হয়তো আগামী দেখাবে কত দামি,            চোখের পলকে সেও মুছে যাবে নামি, হায়রে শিশুকাল কেবলই ভাবায়,      জিলাপি তলায় আজও  মনকে কাঁদায়। ।

B-49#সঙ্গে চলতে হয়

Image
                              সঙ্গে চলতে হয়  ক্লাস এইট হাফ yearly পরীক্ষা হয়ে গেছে রেজাল্ট ও বেড়িয়ে গেছে. ছোটবেলা  সবে পেরোচ্ছি, মা বাবাদের প্রতিনিয়তই সমানে বলা আর কতদিন ছোট থাকবি, বিশেষ করে সন্ধে বেলায় পড়তে বসার সময় আর কতদিন এই তো আর গুনে গুনে ছয় মাস ও নেই অ্যানুয়াল পরীক্ষা, ব্যাস ক্লাস নাইন দেখতে দেখতে চলে যাবে তার পরেই ম্যাট্রিক, এমন করে বলতেন এ যেন এখনকার দিনের শতাব্দী এক্সপ্রেস বা গীতাঞ্জলি, বসতে না বসতেই পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে।কথাটা যখন বলতেন তখন পাত্তা দিতাম না, মনে মনে বলতাম ও বাবা এখনোও  তো আড়াই টা  বছর, সে তো অনেক দেরি।অর্থাৎ দুই রকম ভয় ঢুকিতে দেওয়া হতো এক  বড় হয়ে গেছিস আর দুই এই তো একেবারে সামনে ম্যাট্রিক। পরের দিন যখন স্কুলে যেতাম হাঁটাচলা গুলো মুহূর্তে বদলে গিয়েছিলো বেশ ঠাউর করতে পারতাম, বিশেষত মা বাবা যখন মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, তার উপর আবার প্রত্যেকটা ছেলেদের লক্ষ্য করতাম তাদের ও প্রায় একই রকম অভিরুচি ইম্প্রেশন জমাতে হবে তাও আবার ক্লাসের মেয়েদের কাছে।সেটা যদি এক ক্লাস উঁচুতে হয় তাতেও আপত্তি নেই, কিন্তু আমরা কোনো ছেলে বন্ধু কখনো আলোচনা করতাম না, বুজতাম এটা আলোচন

B-48#বড়দির হারিয়ে যাওয়া ( বড়দিদি গল্পের চতুর্থ অধ্যায়)

Image
বড়দির হারিয়ে যাওয়া আমি তখন বেশ ছোটো বোধকরি পাঁচ বছর হয়তো হবে। ছোটো বেলায় যা দেখতাম নতুন সেটা ছিল বিস্ময়, আর কেবলই  ভ্যাবাচাকা খাওয়া। যেমন ধরুন যে দেশে আমার জন্ম অর্থাৎ পাকুড়, বাড়ির সামনেই ছিল বিশাল  রাজবাড়ী। শিশুমন সারাটাক্ষন একই প্রশ্ন করতো এত বড় রাজবাড়ী অথচ কয়েকজন লোক সে বাড়িতে থাকে, কিভাবে থাকে, রাত হলেই ভয় করে কিনা, আচ্ছা ওদের অনেক জামাকাপড় তাই না?,প্রতিদিন কি খায়, কাজের লোকও তো অনেক?, তাহলে কি সারাক্ষন ঘুমোয় ওরা। এসমস্ত হাবিজাবি প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক করতো পড়তে বসে। আর যেটা খুজতাম নিজেকে নিজের কাছে তা হোলো প্রশ্ন আমাদের কেন ওতো বড় বাড়ি নেই, কেনই বা দুই কামরার ঘরে আমরা এতগুলো লোক থাকি, কাপড় জামা আছে তবে ওদের মত নেই -কেন নেই?। গরিব কাদের বলে যাদের নেই, কেন মানুষ গরিব হয় এ প্রশ্ন মাকে বহুবার জিজ্ঞাসা করেছি শেষে হাঁপিয়ে গিয়ে শুয়ে পড়তাম সেই রাতে।  সকালে উঠে জানালা দিয়ে যখনই মোটরের আওয়াজ পেতাম ছুট্টে গিয়ে সে শব্দ মাথার মধ্যে গেঁথে যেত, আর বন্ধুদের সাথে খেলার সময় হতো গাড়ি গাড়ি খেলা। একেবারে মুখে সে শব্দ “ভোঁ ভোঁ ভোঁ “ করে এগিয়ে যেতাম, ধরেই নিতাম আমি গাড়ি আর যে প

B-42#চার অধ্যায়

Image
চার অধ্যায়  সাজানো বাগান শুকিয়ে গেছে, রইলাম মোরা দুই,  কত সে প্রবল ভালোবাসা ছিল, কত খুনসুটি, আজ সে কই?  মনে পড়ে সেই শিশুকাল কথা, ভাগ করে নিতাম যত মাথাব্যথা,  ভাগের ঘরে টান পড়েছে, একে একে সবই হারাতে বসেছে।  তবু ভাবি আজ আছি দুই জন, কে যে হবে একা জানেনা এ মন, জীবন যুদ্ধে শুধু সংগ্রাম করি,  দিনের শেষে যে কি বিষাদে মরি।   ঠাঁই কি হবে আরো কিছুদিন, বাকি দুই অধ্যায় পাবে কি সুদিন,  ভালো কিছু তো সবেতেই ভাবি, শেষে কেন শুধু ইতিতেই এ ছবি?

B-15 # বাবাদের ছোটবেলা

Image
                             বাবাদের ছোটবেলা জীবনের স্বাদ গুলো যেন,                    মিষ্টি মধুর এক বইয়ের পাতা ,  হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট বেলা,               আজও বুঝি যেন স্মৃতিতে আঁটা ।  বিকেল হলেই ডাংগুলি                         আর টায়ার চালানোর রেশ ,  অভাব সে তো বাবার কাছে,                        ছোট্টবেলাটা কিন্তু ছিল বেশ। বড় হতেই বুঝতে শিখেছি,                         চলো কিছু আজ করে দেখাই,  অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন                           এ জন্মেই তা মেটাতে চাই ।  দেবপ্রিয় সেন   22.04.2020