Posts

Showing posts with the label death

B-132#পরবাসে

Image
পরবাসে কি গো   উঠছো না যে , ভোর চারটের   অ্যালার্ম টা তো বাজে , আজ ঠান্ডা পড়েছে বলে , বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছে না , তাই নিমরাজি । আমি থাকতে আমার আগেই তো   উঠে পড়তে , বৃহস্পতিবার পূজোটা দিয়ো , ঐ যে সাঝিটা সিঁড়ির মাঝে। কি রে এখনো ঘুমোবি , শ্বশুর শ্বাশুড়ি বর টা   কেমন  হয়েছে  একটু তো জানাবি ? খাটনিটা খুব বেড়েছে বল , আগে তো তাই কত   বলতাম একটু তো বাড়ির কাজ কর । পাকা কথা তো আগেই  হয়েছিল , কি  করি    বল , বোঝার আগেই তো চলে যেতে হোলো , দেখ তোর বাবার একি কান্ড , বাসি ফুলগুলো না বুঝেই ডাস্টবিনে এসে ঢেলে দিল । জামাই বরণ আর করা হোলো না , আক্ষেপ টা মনে রেখে বিদায় নিয়ে আসতে যে হোলো। বেশ লাগছিলো নতুন বৌয়ের সাজে , ঝলমলে আর টাইরা টিকলি বেনারসির মাঝে । দেখতে নেই তাই দেখিনি তোকে , সিঁদুর দানের পর, যখন মা বলে ডেকে উঠলি, তখনি দেখলাম এক ফাঁকে , হাত দুই তুলে  তোদের দুইজন কে    দূর থেকে আশীর্বাদ দিলাম , মিটলো স্বাদ চোখের দেখা প্রাণটা জুড়োলাম । আচ্ছা

B-127#জীবন -পঞ্জিকা

Image
জীবন -পঞ্জিকা  একদিন থেমে যাবে জীব নের ছন্দ , চিরবিশ্রামে  শায়িত দেহ, হবে না কো দ্বন্দ্ব । পরিশ্রম কিছু নাই নিথর মনে শান্তি , ক্লান্ত হবো না কভু , থাকবে না ভ্রান্তি । কষ্টটা থাকবে , যারা   বসে কাঁদবে , শেষ কথা কি বলেছিলো , মুখে আউরাবে। অচেনা সে লোকজন , ফুলমালা আনবে , সেলাম করে তারাও , গুণগান গাইবে । আত্মীয়স্বজনেরা দূর থেকে আসবে , শেষ দেখা দেখে তাঁরা করুনায় ভাসবে । মৃতের পরিজন মানাতে চাহে না মন , কিছুক্ষন আগেও যে  ছিল সম্পর্কের স্বজন। কৃতকাজ করে এসে, ব্রাহ্মণ আসবে, পঞ্জিকা দেখে তিনি, তিথি ঠিক করবে। ঘাটকাজ করে এসে, নতুন পরিধান করো শেষে, তিল উৎসর্গ করেই যত, শুদ্ধি বেলাশেষে। দাগ রেখে যাও সবে, কি রেখে গেলে ভবে, যুগযুগান্ত ধরে, তোমারি জয়গান মনে রবে।      

B-99# পিতৃহারা মাধু (শুভ ও সুমেধার সপ্তদশ অধ্যায়)

Image
পিতৃহারা মাধু (শুভ ও সুমেধার সপ্তদশ অধ্যায়) মাধু ও তার ভাই এই নিয়ে তাদের অনিশ্চিতের  পরবর্তী জীবন শুরু। কতোটুকুই  বা তাদের বয়স যেখানে ভালোবাসা চলে যায় সেখানে ছিবড়ে হয়ে পড়ে থাকা ছাড়া আর কি উপায় আছে। মা বাবার ভালোবাসা,স্নেহ, আদর থেকে তো কবেই বঞ্চিত ছিল তারা দুই ভাই বোন। অনেকটা আখের লাঠির মত তাদের জীবনটাকে  পিষতে পিষতে জীবনের বেঁচে থাকার রস টাও ছিনিয়ে নিয়েছে পরিস্থিতি। এখন তারা ছিবড়ে হয়ে বসে আছে বাবার ট্রেনে কাটা পড়া দুটুকরো হওয়া দেহটার পাশে। মাধু কখনো স্বাভাবিক আবার কখনো কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে এক কোণে। ভারী অদ্ভুত লাগলো এই হেদুয়াকে দেখে, মাধুর কাছে কত শুনেছি ওর কথা পোষ্য বলেই হয়তো সব পরিস্থিতি ও বোঝে। আপোস করে চুপ করে বসে আছে মাধুর পাশে একেবারে মুখটা মাটির সাথে টান টান করে শুয়ে শেষ যাত্রায় সে ও হয়তো সামিল হয়েছে।      ন কাকিমা, গাড়িতে বসে কি লিখে চলেছো? নিশ্চয় মাধুর সম্বন্ধে। জানো এই তো কটা দিনের আলাপ তারমধ্যে তার ভালোবাসা, উচ্ছাস, আনন্দ ছোটো ছোটো ব্যাপারে মাতামাতি বাড়িতে কান ঝালাপালা হয়ে উঠতো। মলি বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই ও হয়ে উঠেছিল

B-92# মৃত্যু

Image
মৃত্যু যেদিন যাবো, সেদিন পাবো,                   শুধু সাড়ে তিন হাত আর ,  না বলা সেই বাকি কথাগুলো,               শুধু বেঁধে রাখবে চারিধার। একটু দেখি করি সে  চেষ্টা,           ওরে বাঁধিস না যে অমন করে, যারা বেঁধেছিলো, তাঁরাই বোলবে ,             বলো হরি, হরি বোল বোলে । শুয়ে চলে যাবো, কেউ বা কাঁদবে,              করবে হয়তো কত সে কদর, কেন এসেছিলাম কি নিয়ে গেলাম,        সেদিন বুঝবো,গিয়ে সে হরির দ্বার। জীবন মানে অনেক কটা দিন,                    যখন পোড়ায় মুহূর্তে বিলীন, ছন্দে ফিরবে যত পরিচিতি,                বছর ঘুরলে শুধু স্মৃতিতে যে ইতি।

# B6 :- সম্পর্ক

Image
সম্পর্ক  যে পরজন্ম আমি দেখি নাই তাহাকে বিশ্বাস করি কি করিয়া , যে জন্ম আমি দেখিতেছি, তাহাতে পলক মুদিয়া আমি আজও বলি – হে সম্পর্ক এজন্মে তুমি এখনো  যে আমার। যে জন্মে আমারও তো কেউ ছিল, হাত মেলিয়া তারে যে নামেই ধরি,   চিনিতে শিখেছি নাম দিয়া তার , চলিয়া গেলে যে কেবলই হারাইয়া মরি।  যাহাদের ধরিয়া বাঁচিতে শিখেছি, যাহারা করিল বড়,  কালের অমোঘ নিয়মে যে, সে বাঁধনও ছাড়িয়া বিদায় নিলো,    হে সম্পর্ক  এজন্মে তুমি এখনো যে আমার।  পরজন্মের রেশ বোঝা ভার, যে ছিল আমার সে বা তখন অন্য কারো আর,  কি দেখিয়া চিনিব উনারে, পরিচিত গলা বুঝিব কি করে ওপারে,  তাহার আত্মা দেখি নাই আগে, বুঝি কি করিয়া সেই কাঠামোই যে তখনও রবে  হে সম্পর্ক এজন্মে তুমি এখনো যে আমার।  শাস্ত্রে আছে যাহা সে যে রূপকথা, মৃত্যুর পরপারে আছে সে কি একই বারতা,  যে গিয়াছে সেই পারে, এজন্মে আসিয়া আবার কি কহিবে কথা,  সে ছিল মরণের পরপারে ।  শুনেছি যাহা দেখিতেছি, সকলই নাকি ভুল , যাহা অদেখা কেবলই নাকি সেটি হয় নির্ভুল,  জন্ম জন্মান্তর সে তো মনীষীরে সাজে, এজন্মে তাই তারে মিটাইতে আমারও  মন মাঙ্গে,  চাওয়া পাওয়া গুলো হোক যে সমাপন,

B4 :- চতুর্থী

Image
#চতুর্থী মা আজ তোমার চতুর্থীর কাজ করছি?  অনেক অজানা জানা কথা গুলো তোমায় বলতে চাই, মা। তোমার রোগের খবর পাওয়া মাত্র তড়িঘড়ি বিয়ে দিয়ে দিলে, নিজে দায়মুক্ত হলে, আমাকে পাঠিয়ে দিলে সংসার জীবন করতে তাও আবার সুদূর দিল্লিতে। হয়তো দেখে যেতে চেয়েছিলে, তাই তোমার বাবার এই চিন্তাধারাকে আমিও মেনে নিয়েছিলাম আবার ঈশ্বরের এক অসীম কৃপায় এই ঘাটশিলাতেই ছেলেও পেয়ে গিয়েছিলে। মামা বলেছিলো, মা মনে আছে তোমার?  তোর মেয়ের বিয়ে ঘাটশিলাতেই হবে, সেটা মিলেও গেছিলো কেমন করে। আসলে মামার কথাগুলো তোমরা প্রথমে অগ্রাহ্য করলেও তোমরা মনে মনে মানতে, কোথাও না কোথাও তার কথা গুলো মানতে। মা এখন সকাল নটা বাজে, আশীষ পুরোহিত এসেছে, তোমার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের মন্ত্র পাঠের জন্য আজ যে আমার চতুর্থী। একটা কথা বলি মা?  যদি বিয়েটা না হত তবে তো বাবার সাথে আমিও এগারো দিনেই তোমার কাজটা করতাম তাই না?  অন্যের বাড়ি, মানে শাস্ত্র মতে গোত্রান্তর হয়ে গেছে তাই তো মা?  আচ্ছা মা মেয়েরা জীবনে কি শুধুই ধাক্কা খেতে খেতে বড় হয়?  ওরা কি কখনো কারোরই হয় না? তাই কি অধিকার চার দিনের?  যাক সে সব কথা চোখের কোনে জল এসে চিক চিক করছে, আর বেশি ভা