Posts

Showing posts from December, 2020

B-127#জীবন -পঞ্জিকা

Image
জীবন -পঞ্জিকা  একদিন থেমে যাবে জীব নের ছন্দ , চিরবিশ্রামে  শায়িত দেহ, হবে না কো দ্বন্দ্ব । পরিশ্রম কিছু নাই নিথর মনে শান্তি , ক্লান্ত হবো না কভু , থাকবে না ভ্রান্তি । কষ্টটা থাকবে , যারা   বসে কাঁদবে , শেষ কথা কি বলেছিলো , মুখে আউরাবে। অচেনা সে লোকজন , ফুলমালা আনবে , সেলাম করে তারাও , গুণগান গাইবে । আত্মীয়স্বজনেরা দূর থেকে আসবে , শেষ দেখা দেখে তাঁরা করুনায় ভাসবে । মৃতের পরিজন মানাতে চাহে না মন , কিছুক্ষন আগেও যে  ছিল সম্পর্কের স্বজন। কৃতকাজ করে এসে, ব্রাহ্মণ আসবে, পঞ্জিকা দেখে তিনি, তিথি ঠিক করবে। ঘাটকাজ করে এসে, নতুন পরিধান করো শেষে, তিল উৎসর্গ করেই যত, শুদ্ধি বেলাশেষে। দাগ রেখে যাও সবে, কি রেখে গেলে ভবে, যুগযুগান্ত ধরে, তোমারি জয়গান মনে রবে।      

B-126#জীবন নামচা

Image
জীবন নামচা   দুই এক্কে দুই , দুই দুগুনে চার ,       চারে  ছিলাম, ওটাই এখন দুয়েই মেলা ভার ।   তিন এক্কে তিন , তিন দুগুনে ছয় ,  কেমন  একজন  কমে গেলেই, সংসার নয়ছয় । চার এক্কে চার , চার দুগুনে আট , বোনেদেরই বিয়ের পরে  ঘুচলো বোঝার   পাট । পাঁচ এক্কে পাঁচ , পাঁচ দুগুনে দশ ,  মা বাবার ঐ খুশির মুখে জীবনটা সংশয় । ছয় এক্কে ছয় , ছয় দুগুনে বারো ,   কন্যা সন্তান হতেই যেন, মনে জোয়ার এলো । সাত এক্কে সাত , সাত দুগুনে চোদ্দ , নাতিনেরা গালে ভাত নিয়ে,ঠাকুমা শোনান পদ্য। আটে   দুয়ে ষোলো , নয়ে দুয়ে আঠারো , বয়স কালের  রোগ ব্যাধি , হঠাৎ দেখা দিল । জীবন যেন এক থেকে দশ,দশ থেকে তিনে  এল, রোজনামচা মনে আউড়ায়, কথাগুলো পড়ে রইলো।        

B-126#শাড়িতে নারী (লিমেরিক)

Image
শাড়িতে নারী (লিমেরিক)  ফেইসবুকেতে মজা ভারী,                 মেয়েরা এখন শাড়িতে নারী,  রঙবেরঙের আহাঃ বাহা,                মাতিয়ে চলেছেন পরিচিতেরা। রেফারি কিন্ত নেই এখানে,               যত পান লাইক সন্তুষ্টি সেখানে, ছেলেরাও বা কিসে কম যায়,     সেদিন দেখি জড়ানো সে শাড়ি গায়ে। ওহে নারী তুমি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছো,   বুঝে দেখো তুমি কি প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছো।

B-125# ইতি বিজয়া

Image
ইতি বিজয়া  গেলো বছর শীতকালে বারান্দায় রোদ পোহাতে বসে,  কত পাকা হলুদ পাতিলেবু,গাছ থেকে মাটিতে পড়েছিলো, শরীর সায় দিচ্ছিলো না সেদিনও তোমার, তাও আচার বানিয়ে প্রত্যেকদিনের মত রোদে শুকোতে দিতে, কারণ আমি যে বড্ড পছন্দ করি বলে। বিজয়া, তোমার সেই কথাটা আজও মনে ধরে, সেদিন আর শুকোতে দেওয়া হয়নি,পাতি লেবুর মতো ঝরে পড়েছিলে তুমিও,তা ভুলি কি করে। জানো,গোটা লেবুটা এখন খেতে পারিনা, ইচ্ছে হলেও না, ওটা শেষ হলে-তোমার হাতে বানানো শেষ ভালোবাসার সম্বলটুকুও যে ফুরিয়ে যাবে বিজয়া। এখন সব না পেরেও পারি, পারতে হয়, ভোর চারটেতে উঠে রামদেব বাবা, পাঁচটায় morning walk , এসেই হাল্কা লিকার চা, টিফিনে শসা, আলুসেদ্ধ দিয়ে বাসি রুটি, আর ঐ কেটে যাওয়া দুধের,অল্প ছানা। অমিতের মা এখন কাজ করে না,ছেড়ে দিয়েছে। সে বললে যে বাড়িতে একা পুরুষ মানুষ, "যতই টাকা দিন কাজ করবো না কো"। দুপুরের খাওয়াতে মঙ্গল শনিতে চালে ডালে, বাকি কটা দিন ভাত আর কিছু সবজি, রাতে কোনোদিন দুধ মুড়ি বা মাঝে মধ্যে বিনয়ের থেকে রুটি,তাই দিয়ে চলে যাচ্ছে ঠিক বলবো না, বলতে পারো মানিয়ে নিচ্ছি । বিজয়া আগে কখনো ভেবেছি এদিন আসবে, ত

B-124#ফেরিওয়ালা

Image
ফেরিওয়ালা ফেরিওয়ালা ও ফেরিওয়ালা গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমের দুপুরের বেলা , তুমি কতই না কষ্ট করে চলেছো,কেন বের হলে তুমি এবেলা? সারাটা রাস্তা খাঁ খাঁ করছে, রিকশোওয়ালা রিকশোর পাদানিতে জিরোচ্ছে, পাড়ার নেড়ি গুলো একসাথে হয়ে ঘেউ ঘেউ করে,তোমায় ফেরিতে বাঁধা দিচ্ছে, আচ্ছা সকাল থেকে একটাও ফেরি হয় নি বুঝি? আচ্ছা ফেরিওয়ালা? তুমি কি রবিঠাকুরের সেই চেনা দই ওয়ালা? দই, দই, ভালো দই, এখন আর কেউ সেদিনের মত হাঁকে না জানো? সেই হাঁক শুনে তখন বুঝতাম,সেই পাঁচমুড়ো পাহাড় আর শ্যামলা নদীর ধার থেকে তুমি আসতে,কি গো মনে পড়ে? এখনো আসে জানো দূর থেকে কেউ আইসক্রিম,বেড শিট,ফিনাইল,কিংবা ধূপকাঠি নিয়ে, তুমি কি নিয়ে এসেছো শুনি?কি হোলো কথা কও না কেন, বুঝেছি আমি ছোটো বলে বেচবে না তাইতো? জানো আজ আমার বিকেলে খেলতে যাওয়া বন্ধ, ঠিক যেমন তোমার আজ ফেরি করা বন্ধ, কেন বলতো? সকাল থেকে পড়া করিনি, মা আজ তাই বাইরে থেকে শিকল দিয়েছে খিড়কিতে, আচ্ছা তুমি কি বলে ডাকছিলে যেন “সারা জীবন বসে খাবে” ওটা কি গো?দেবে আমায়?  সত্যি তুমি দিলে আমি আর কাজই করবো না, বসে বসে খাবো।কই দেখাও না কি সেই জিনিস

B-123#BRAIN SCAN

Image
BRAIN SCAN  সবেতেই কিছু বোঝার আগেই একটা স্ক্যান হয়। যেমন ধরুন আপনার হাত বা পা ভেঙেছে সেখানে স্ক্যান না হলে ডাক্তারবাবু কি ভাবে বুঝবেন ঠিক আপনার কোন জায়গাটা ভাঙা পড়েছে। আপনার শরীরে ভিতরে কিছু হলেই সেখানেও এই স্ক্যানের প্রয়োজন। আচ্ছা কোনো মনোস্তাত্তিক ডাক্তারের কাছে গেলে উনি আপনার সাথে নানান প্রশ্ন করেন, আপনার কথার মধ্যে অসংগতি পেলে, সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর রোগীর প্রতি ট্রিটমেন্ট। এমন এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা জানলাম যিনি এযাবৎ চুরাশি  হাজার রোগীর স্ক্যান করেছেন  তবেই তিনি তাঁর ট্রিটমেন্ট শুরু করেন একেবারে নির্ভুল ভাবে। একথা জানাতে গিয়ে উনি বেশ কিছু উপমা দিলেন নিজের বাড়ির লোকের থেকে। andrew নামে একটি শিশু মাঝে মাঝেই তার বন্ধুকে বাস্কেট বল খেলার সময় সজোরে মাথায় আঘাত করে, একটা সময় শিশুটি সংজ্ঞা হারিয়ে যায় ও ঝগড়া বাঁধে তার বাড়ির লোকের সাথে সেটাই স্বাভাবিক।এই সেই andrew র আরেকটি দৃষ্টিকটু দৃষ্টান্ত চোখে ধরা পরে, বাচ্চাটি খুব ভালো আঁকে একদিন andrew তার কল্পনায় এমন এক ছবি আঁকে সেটি হোলো গলায় দড়ি দিয়ে সে ঝুলছে আর সেই ঝুলন্ত অবস্থায় সে হাতে বন্দুক  নিয়ে তার বন্ধুদের গুলি করছে

B-122#জহর বাবু

Image
জহর বাবু “ফিরকি” নামে চেনা সিরিয়াল,                               রোজ যে দেখা চায়, “কি করে বলবো তোমায়”            ওটা দেখি আগে, পরে এসো ভাই। "কৃষ্ণকলির" দারুন ক্লাইম্যাক্স,                 লেপের ভিতরে মজার আমেজ, জহর বাবুর হাজার কাজ,              সিরিয়াল না পেলেই কপালে ভাঁজ। ঠান্ডাটা বেশ পড়েছে,                   "রানী রাসমণি" ও জমে উঠেছে, কোনো কাজ করবে না সে,                কুলুপ এটে তাই টিভিতে বসেছে। কোন সেই ভোর বেলাতে,                  এ শিফট ডিউটির পাট চুকেছে, ফিরতি পথে মুর্গা এনে,                 বৌ রেগে আবার কাটতে বসেছে। আনখাই কথা বলেন না উনি,                         যোনটা বলেন শোনটা শুনি, আজ শনিবার নিরামিষ বার,                  ঝোল খায় শুধু, বাকিটা রবিবার। নিয়মটা তাহলে ভঙ্গ করো,                                 মা কালির দিব্যি বলছি,            দমতক আজ  ভুল হয়ে গেলো।  

B-121# পশ্চাতাপ

Image
  পশ্চাতাপ  জীবনের কোনো বেলাশেষে,             ভুলে যাবে তুমি কোনো সে দিবসে, মনে রাখবে তখনও, হারানো সে কথা,                    পেয়েছিনু যারে মধ্য বয়সে। আর কখনো বা ফিরবে কি সেই দিন,                    বয়সের ভারে স্মৃতিতে বিলীন, আউটরাম ঘাটে আবার করে দেখা,       একটু পাশে বসে পটভূমিতে,           কত চেনা সে ছবি মনে ছিল আঁকা। পশ্চাতাপ হয়তো হবে তোমারো,                  একটু ঘুরে গিয়ে ফিরে তাকানো, ঔদ্ধত্যের সাথে হয়তো সমঝোতা করেছিলে,    বোঝার আগেই প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছিলে। তিন সত্যি করো দেখি,         মন বলে আজও কেন দ্বিধা একি, একবার,শুধু একবার,কোথাও তো ভুল ছিল, সাঙ্গ বেলায়, হেঁয়ালি খেলায়,                           শুধুই  অনুতাপ রয়ে গেলো।                 

B-120#বিয়েবাড়ির সেকাল একাল (শেষ ও চতুর্থ পর্ব )

Image
বিয়েবাড়ির সেকাল একাল  (শেষ ও চতুর্থ পর্ব ) বাহারি খাওয়াদাওয়া – খাওয়াদাওয়ার এত বাহার -একই মেনুর প্রায় পাঁচরকমের ভেরিয়েশন। নাম শুনলেই দাঁত ভেঙে যায়, যেরকম জায়গা সেই বুঝে মেনু। এ নাম শুধুমাত্র একালের বিয়েবাড়িতেই পাওয়া সম্ভব।  শুরু হোক স্টার্টার দিয়ে। একালের স্টার্টার মানে অতিথি এসেছেন, কি খাবেন আত্মীয়স্বজনদের সাথে গল্প করতে করতে, ধরুন পনির পাকোড়া কোথাও আবার ক্যাটারার বুঝে নাম বদল “পনির খাস কাবাব”, বয়স্করা না বুঝে কানে ফিসফিস করে বলেন কোনো মাংস আছে নিশ্চয়, খাবো না বাবা। জুসের রঙবেরঙি বাহার, বোর হচ্ছেন তার ও ব্যবস্থা আছে একদিকে অর্কেস্ট্রা একটার পর একটা গান গেয়েই চলেছেন তাতেও মুড যদি ঠিক না হয় দুটো চুমুক দিয়ে আসতে পারেন এক পেগ বা দুচার পেগ। একালের বিয়েতে এগুলো কোনো চোখের আড়ালে নয় একেবারে সবার সামনে। কেউ একটু বেশি নিলেই হোলো ও কিছু নয় হাল্কা ড্রিঙ্কস করেছেন তাই ভদ্রলোক একটু বেসামাল। সেকালেও কি খেত না,খেত একটু সমঝে, তাও আবার লুকিয়ে,বেশি খেলেই হোলো “ব্যাটা মাতাল,সর সর এক্ষুনি বমি করবে না হয় এই পড়লো বলে-কি করে পারে গলা পর্যন্ত গিলে খেয়ে বিয়েবাড়িতে আসতে ”। স্ট