BFES-1#GANESH_CHATURTHI

 

শুভ গনেশ চতুর্থী 2020








সুপ্রভাত আমার সকল বন্ধুরা ও সকল পাঠকগণ আজ শুভ গনেশ চতুর্থী, তাই শুরু করছি এক শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে শ্রী শ্রী গণেশের নামে আমার এই blog লেখা। নানান পৌরাণিক তথ্য নিয়ে আজ হাজির হলাম আপনাদের কাছে।
আসা যাক এক বিস্তারিত রূপরেখায় একেক করে :-

পৌরাণিক মতে কেন ইনি সবার আগেই পূজিত হোন,
• গনেশের মাথাটি হাতির মাথা কেন ,
• কলাবৌ কি আদৌ গনেশের বৌ,
• গণেশ পুজোর বিধি, মন্ত্র, ও উপকরণ,
• গণেশের খাবার ও পৌরানিক কাহিনি,
• কোন কোন জায়গায় বা দেশে  উনাকে কি নামে ডাকা হয় I

একবার ব্রহ্মান্ডে সমস্ত দেবতাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিল যে পৃথিবীর সমস্ত দেবতাদের মধ্যে আগে কোন ঈশ্বরের উপাসনা করা উচিৎ। সমস্ত দেবতারা নিজেদের সেরা বলতে আরম্ভ করলেন। নারদ মুনি এই পরিস্থিতি দেখে সমস্ত দেবতাকে শিবের আশ্রয়ে গিয়ে তাঁকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সমস্ত দেবতারা ভগবান শিবের নিকট এসে উপস্থিত,তাঁদের মধ্যে এই ঝগড়া দেখে ভগবান শিব একটি সমাধানের পরিকল্পনা করেন। তিনি একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন। সমস্ত দেবতাকে তাঁদের নিজ নিজ বাহনের সাথে পুরো মহাবিশ্বের আশেপাশে যেতে বলা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় যে মহাবিশ্ব প্রদক্ষিণ করে তাঁদের কাছে প্রথম এসে পৌঁছবে তাঁকেই প্রথম উপাসক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সমস্ত দেবতারা তাঁদের বাহন নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন, ভগবান গণেশ  ও এই প্রতিযোগিতায় তাঁর বাহন মূষিক কে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তবে তিনি অন্যান্য দেবতাদের মত প্রদক্ষিণ না করে তাঁর মাতা ও পিতা  অর্থাৎ শিব পার্বতী কে সাতবার প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করে, তাঁদের সামনে হাত জড়ো করে এসে দাঁড়ালেন। তার পর সমস্ত দেবতারা একেক করে সারা বিশ্ব প্রদক্ষিণ করে ভগবান শিবের সামনে এসে দাঁড়ান। কিন্ত ভগবান শিব শ্রী গণেশকেই বিজয়ী ঘোষণা করেন। এতে বাকি সব ভগবানেরা কারণ জিজ্ঞাসা করলেন শিবের কাছে। তখন শিব তাঁদের কে বলেছিলেন যে সমস্ত মহাবিশ্ব এবং সমস্ত জগতের মধ্যে পিতা মাতাকেই একমাত্র সমস্ত সৃষ্টির চেয়ে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছে, তাই তাঁর পূজো সবার আগে হবে। তখন সমস্ত দেবতারা শিবের এই সিদ্ধান্তে একমত হোন। সেই থেকেই ভগবান গনেশ প্রথমে শ্রদ্ধার সাথে পূজিত হোন।
গণেশের মাথাটি হাতির মাথা কেন তার একাধিক ব্যাখ্যা পুরানের নানান গল্পে দেওয়া আছে। এই ব্যাখ্যা গণেশের জন্ম সংক্রান্ত একটি বিষয়। এই সব গল্পে গনেশ – উপাসনাকারী সম্প্রদায়ের বিপুল জনপ্রিয়তার ব্যাখ্যা ও পাওয়া যায়। ভক্তেরা সাধারণত তাঁর গজমুন্ডটিকে তাঁর বুদ্ধি,অতুলনীয় শক্তি বিশ্বস্ততা এবং হাতির অন্যান্য চারিত্রিক গুনের প্রতীক হিসেবে দেখেন। তাঁর বিশাল কান দুটি জ্ঞান আর সাহায্যপ্রাথীর প্রার্থনা শ্রবণের ক্ষমতার প্রতীক।

শিবের দ্বারা মুণ্ডচ্ছেদ:- 

 গনেশের গজানন হওয়ার জনপ্রিয় গল্পটি  সম্ভবত শিব পুরাণ থেকে নেওয়া হয়েছে। একদিন দেবী পার্বতী কৈলাসে স্নানে যাওয়ার সময় নন্দীকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন যাতে কেউ ভেতরে ঢুকতে না পারেন। এই সময় শিব এসে ভিতরে প্রবেশ করতে চান। শিবের বাহন নন্দী প্রভুকে বাধা দিতে পারলেন না । পার্বতী রেগে গিয়ে ভাবলেন নন্দী যেমন শিবের অনুগত, তেমন তাঁর অনুগত কোনো গণ নেই। তাই তিনি প্রসাধনের হলুদ চন্দন দিয়ে গণেশ কে সৃষ্টি করলেন এবং নিজের অনুগত পুত্র রূপে ঘোষণা করলেন।
এর পর থেকে পার্বতী স্নানাগারের বাইরে গণেশকে দাঁড় করাতেন। একবার শিব এসে ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে গনেশ তাঁকে বাধা দিলেন। শিব রেগে গিয়ে তাঁর বাহিনীকে গণেশকে হত্যা করার আদেশ দিলেন। কিন্তু তাঁরা গণেশের সামান্য ক্ষতি ও করতে পারলো না। এতেই শিব অবাক হলেন আর বুঝলেন, এ বালক সামান্য বালক নয়, তাই তিনি নিজেই গণেশের সাথে যুদ্ধে নামলেন এবং গনেশের মুণ্ড কেটে তাঁকে হত্যা করলেন।
একথা জানতে পেরে পার্বতী রেগে সমগ্র ব্রহ্মান্ড ধংস করতে উদ্যোগী হলেন, তখন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করলেন। তখন পার্বতী দুটি শর্ত দিলেন  - গনেশের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সকল দেবতার পূজার আগে, তাঁর পূজার বিধি প্রবর্তন করতে হবে। এই সময় শিবও পার্বতীর এই শর্ত মেনে নিলেন, তাই তিনি ব্রহ্মা কে উত্তরে পাঠিয়ে বললেন, যে প্রাণীটিকে প্রথম দেখতে পাবেন তাঁর মাথা কেটে আনবেন। কিছুক্ষন পরে ব্রহ্মা এক শক্তিশালী হাতির মাথা নিয়ে ফিরে এলেন। শিব সেই মাথাটি গনেশের দেহে স্থাপন করে তাঁর মধ্যে প্রাণের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন। শিব গণেশকে নিজের পুত্র ঘোষণা করলেন এবং সকল দেবতার পূজার আগে তাঁর পূজার বিধি প্রবর্তন করলেন। গনেশ অর্থাৎ গণের অধিপতি, তাই তাঁকে সকল গণের অধিপতিও নিযুক্ত করা হোলো।

শনির দৃষ্টি:-

ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ অনুসারে শিব ও পার্বতী পুত্রলাভের আশায়, বর্ষব্যাপী ব্রত ও বিষ্ণু পূজো করেছিলেন। এই ব্রতে সন্তুষ্ট হয়ে বিষ্ণু বরদান দিলেন যে তিনি পার্বতীর পুত্ররূপে অবতীর্ণ হবেন। এরপর পার্বতীর গর্ভে এক পুত্রের জন্ম হয়, সকল দেবদেবী তখন এক উৎসবে মেতে ওঠেন। তবে সূর্যের পুত্র শনি শিশুটির দিকে তাকাতে ইতস্তত বোধ করেন, কারণ শনির দৃষ্টি অমঙ্গল জনক। কিন্তু পার্বতীর কথায় শনি শিশুটির দিকে তাকাতেই শিশুর মস্তক ছিন্ন হয়ে গোলোকে চলে যায়।শিব পার্বতী তখন শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে বিষ্ণু গরুড়ের পিঠে চড়ে পুষ্পভদ্র নদীর তীরে এসে একটি হস্তি শিশুর মাথা নিয়ে ফিরে যান। তারপর পার্বতীর শিশুর মুণ্ডহীন দেহে সেই হাতির মাথাটি বসিয়ে তাঁর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই শিশুটির নাম রাখা হয় গণেশ এবং সকল দেবদেবী তাঁকে তখন আশীর্বাদ করেন।

কলা বৌ কি আদৌ গনেশের বৌ ?




সনাতন দূর্গা প্রতিমার সঙ্গে থাকা গণেশের মূর্তির ডান পাশে লাল পাড় সাদা শাড়িতে ঢাকা একটি কলাগাছ কে কলা বৌ হিসেবে ডাকা হয়। এই গাছটিকে আমরা গনেশের স্ত্রী মনে করি, তবে এই কলাবৌ গণেশের স্ত্রী নন, এর আসল নাম “নবপত্রিকা”। পন্ডিত নবকুমার কুমার ভট্টাচার্যের “দূর্গা পুজোর জোগাড়” বইতে আছে – “সমবেত ভাবে নবপত্রিকার অধিষ্ঠাত্রী দেবী দূর্গা। নবপত্রিকা দেবী দুর্গারই প্রতিনিধি। দেবী শুম্ভ- নিশুম্ভবধ কালে অষ্টনায়িকার সৃষ্টি করেছিলেন এবং দেবী স্বয়ং ছিলেন”।

নবপত্রিকার অর্থ :-

নবপত্রিকার অর্থ নয়টি পাতা তবে এখানে নটি উদ্ভিদ- কলাগাছ, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মানকচু ও ধান দ্বারা নবপত্রিকা বানানো হয়। এই নয়টি উদ্ভিদ দেবী দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। কলাগাছ দেবী ব্রাহ্মণী, কচুগাছ দেবী কালিকা, হলুদগাছ দেবী উমা, জয়ন্তী গাছ দেবী কার্তিকী, বেলগাছ দেবী শিবা, ডালিম গাছ দেবী রক্তদন্তিকা, অশোক গাছ দেবী শোকরোহিতা, মানকচু গাছ দেবী চামুন্ডা, ধানগাছ দেবী লক্ষীর প্রতীক। এই নয়টি উদ্ভিদ ও দুটি বেল একসাথে সাদা অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে শাড়ি পরিয়ে, ঘোমটা দিয়ে তাতে সিঁদুর দিয়ে দেবী দুর্গার ডান পাশে রাখা হয়।
শিব পুরাণ অনুসারে প্রজাপতি ব্রহ্মার দুই কন্যা সিদ্ধি ও বুদ্ধির সাথে গণেশের বিবাহ হয়। সিদ্ধির সন্তানের নাম “ক্ষেম”, আর বুদ্ধির সন্তানের নাম হোলো “লাভ”।গণেশের এই দুই স্ত্রীর নাম নিয়ে যদিও কিছু মতভেদ আছে তাই মৎস্যপুরাণে বলা হয় গণেশের দুই স্ত্রীর নাম ঋদ্ধি ও বুদ্ধি

গণেশ পুজোর বিধি, মন্ত্র, ও উপকরণ

গণেশ চতুর্থীতে পুজোর উপকরণ হিসেবে রাখা হয় – পানপাতা, সুপুরি, ধূপধুনো, ঠাকুরের নতুন পোশাক, ফুল, দূর্বা, মোদক, নারকেল, চন্দন।

গনেশ পূজার মন্ত্র:-

.             একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।
              বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।
.             অর্থাৎ, যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, 
              গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী 
              সেই হেরম্বদেবকে আমি
               প্রণাম  করি।

ধ্যান মন্ত্র:-

               ওঁ খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং
               প্রস্যন্দম্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।
               দন্তাঘাত বিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং,
.              বন্দেশৈল সুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।


গণেশ বন্দনা:
.               বন্দ দেব গজানন বিঘ্ন বিনাশন।
.               নমঃ প্রভু মহাকায় মহেশ নন্দন।।
                সর্ববিঘ্ন নাশ হয় তোমার শরণে।
                অগ্রেতে তোমার পূজা 
                করিনু যতনে।।
                নমো নমো লম্বোদর নমঃ গণপতি।
               মাতা যার আদ্যাশক্তি
                 দেবী ভগবতী।।
                সর্বদেব গণনায় অগ্রে যার স্থান।
                বিধি-বিষ্ণু মহেশ্বর আর দেবগণ।।
                ত্রিনয়নী তারার বন্দিনু শ্রীচরণ।
              বেদমাতা সরস্বতীর লইনু শরণ।।
               মন্ত্রঃ – ওঁ গাং গণেশায় নমঃ।

গনেশ বন্দনার জন্য একুশটি দূর্বাঘাস, একুশটি মোদক ও লালফুল, গনেশের সামনে সাজিয়ে, মূর্তির মাথায় লাল চন্দনের টিকা দিয়ে মূর্তির সামনে নারিকেল ভেঙে অশুভ শক্তিকে দূর করা হয়।
গণেশ পুজোয় সবচেয়ে বড় বিষয় হল প্রসাদ। গণেশের জন্য বিশেষ প্রসাদ না তৈরি করলে এই সিদ্ধিদাতা দেবতা রুষ্ট হন বলে কথিত রয়েছে। তাই গণেশপুজোতে যে প্রসাদগুলি পরিবেশনের রীতি রয়েছে সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।  



        




গণেশের খাবার ও পৌরানিক কাহিনি

শিবপূরামে বর্ণিত রয়েছে, ধনী কুবের একবার আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন গণেশকে। দেখা যায় যে , সমস্ত খাবার খেয়েও সন্তুষ্ট হন না গণেশ। শেষে তাঁকে মোয়া খেতে দেওয়া হলে খুবই খুশি হন তিনি। এই কাহিনি থেকে মনে করা হয় যে , খাবার শেষ পাতে কিছু না থাকলে রুষ্ট হন গণেশ।
মোদক
গণেশের আরেক নাম "মোদপ্রিয়"। নারকোল ও গুরের পুরকে ময়দার মধ্যে ঢুকিয়ে তৈরি করা হয় মোদক। যা গণেশের বিশেষভাবে প্রিয় খাবার।

 শুভ গণেশ চতুর্থী! 10 দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়েছে। ভারতে, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে পালিত হওয়া একটি প্রধান উৎসব এটি। স্বাধীনতা সংগ্রামী লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক 1893 সালে বোম্বাইতে প্রথম গণেশ পুজোর শুভ সূচনা করেন।সুন্দর গণেশ মূর্তি এনে ভক্তরা পুজো করছেন। চারিদিকে প্যান্ডেলেও পুজো চলছে। মিষ্টির দোকানগুলিও বিভিন্ন মিষ্টির পসরা সাজিয়ে রেখেছে। 10 দিন ধরে ভক্তরা বিভিন্ন ভোগ বানিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করবেন। এগুলোর মধ্যে থেকে 10 টি জনপ্রিয় ভোগের কথা উল্লেখ করা হল:
:
মোদক:-

এটি নারকেল, গুড়, ও চালের গুঁড়ো




সাতোরি:-



খোওয়া, ঘি, বেসন ও দুধ দিয়ে তৈরি মহারাষ্ট্রের একটি বিশেষ মিষ্টি এটি।
মহারাষ্ট্রে সাতোরি অত্যন্ত জনপ্রিয় 


পূরণ পোলি:-




ময়দার তৈরি চাপাটির মধ্যে মিষ্টি ডাল ও গুড়ের পুর দিয়ে তৈরি হয় এই পূরণ পোলি মোদক। নারকোলের লাড্ডুর মতোই জনপ্রিয় ভোগ। 


 মতিচুর লাড্ডু:-




মতিচুর লাড্ডু গণপতির অন্যতম প্রিয় খাদ্য বলে বিশ্বাস করা হয়। অন্যান্য লাড্ডুও আছে যেমন নারকোলের লাড্ডু, তিলের লাড্ডু, আটার লাড্ডু ইত্যাদি।

নারকোল ভাত:-




দক্ষিণ ভারতে দেবতাকে নিবেদনের বিশেষ ভোগ হল এটি। সাদা ভাতকে নারকোলের দুধের মধ্যে রান্না করে তৈরি এই খাদ্য গণপতির প্রিয় ভোগের মধ্যে একটি।
বিনায়ক চতুর্থীর অন্যতম বিখ্যাত ভোগ নারকেল ভাত

 শ্রীখন্ড:-



মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে জনপ্রিয় শ্রীখন্ড হল দই দিয়ে তৈরি, বাদাম ও কিশমিশ ছড়ানো একটি ভোগ।

গণেশ চতুর্থীর জনপ্রিয় ভোগ শ্রীখন্ড


কলা সীরা:-



চটকানো কলার সঙ্গে সুজি ও চিনি মিশিয়ে সুজির হালুয়ার মতোই তৈরি একটি জনপ্রিয় ভোগ এটি।
 
 রাভা পোঙ্গাল:-




সুজি ও মুগডাল দিয়ে তৈরি এই রাভা পোঙ্গাল দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় ভোগ।
দক্ষিণ ভারতীয়দের অত্যন্ত পছন্দের খাবার

মেদু বড়া:-



দক্ষিণ ভারতের প্রায় সমস্ত বাড়িতেই তৈরি এই খাবারটি গণপতিকে নিবেদন করার জন্য একটি অন্যতম ভোগ।
গণেশ চতুর্থীর অন্যতম জনপ্রিয় ভোগ মেদু বড়া 

 পায়েস:-




পায়েস ছাড়া ভারতের কোনো পুজোর ভোগই সম্পূর্ণ হয়না। এটি হল ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতের একটি বিশেষ ক্ষীর। দুধের মধ্যে চাল, গুড়, নারকোল, এলাচ দিয়ে তৈরি পায়েস সকল পুজোতেই ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। আনারসের পায়েস, গাজরের পায়েস ইত্যাদি নতুন রেসিপিও বানিয়ে গণপতির পায়ে নিবেদন করতে পারেন।

ভারতের যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের অবিছেদ্য অঙ্গ হল পায়েস।

 কোন কোন জায়গায় বা দেশে  উনাকে কি নামে ডাকা হয়:-

গণেশ শব্দটি একটি সংস্কৃত শব্দবন্ধ। এর মধ্যে রয়েছে গণ ও ঈশ। দুয়ে মিলে সন্ধিবদ্ধ হয়ে হয়েছে গণেশ। তবে গণেশের এই একটি মাত্র নাম কিন্তু নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে গণেশ বিভিন্ন নামে পরিচিত ও পূজিত। শুধু দেশে কেন, বিদেশেও গণেশঠাকুর সমান জনপ্রিয় দেবতা। সেখানেও বিভিন্ন দেশভেদে গণেশঠাকুর বিভিন্ন নামে পুজো পান।
গণেশের প্রায় ১০৮টি নাম আছে। তার মধ্যে অমরকোষে আটটি সমার্থক শব্দ রয়েছে এই গণেশের। সেগুলি হল – বিনায়ক, বিঘ্নরাজ, দ্বৈমাতুর, গণাধিপ, একদন্ত, হেরম্ব, লম্বোদর, গজানন।
মহারাষ্ট্রে গণেশ ঠাকুর বিনায়ক, বিঘ্নেশ ও বিঘ্নেশ্বর নামে খ্যাত।
তামিলনাড়ুতে গণেশ জনপ্রিয় পিল্লাই এবং পিল্লাইয়ার নামে। তামিল ভাষায় পিল্লাই শব্দের অর্থ হল শিশু। এই ভাষায় পিল্লাইয়ার শব্দের অর্থ হল মহান শিশু। কিন্তু পিল্লাই বা পিল্লাইয়ার শব্দের মূল শব্দ পিল্লে। এর আদি অর্থ হল হস্তিশাবক।
শ্রীলঙ্কায় গণেশের নাম গণদেবীয়।
ব্রহ্মদেশে গণেশ মহাপেইন্নে নামে সুপরিচিত।
থাইল্যান্ডে গণেশের জনপ্রিয় নাম হল ফ্রাফিকানেত।  
গণেশের বিনায়ক নামটি বহুল প্রচলিত। পুরাণ ছাড়াও বৌদ্ধ গ্রন্থে এই নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। তা ছাড়া মহারাষ্ট্রের আটটি বিখ্যাত গণেশমন্দিরে এই নামের প্রয়োগ রয়েছে।

এভাবে প্রতিনিয়তই আসবো ঠিক আপনার উপকারে কথা দিলাম কমেন্টস সেকশনে আপনাকে উত্তর দেওয়ার জন্য। আমার এই ব্লগে এখন থেকে থাকছে নিজের লেখা ছোটো গল্প, কবিতা, রান্নাবান্নার খুঁটিনাটি, অত্যাধুনিক টেকনোলজির Updated সমস্ত খবর যা আপনার প্রয়োজনীয়, আর থাকছে হারিয়ে যাওয়া কুটির শিল্পের নানান তথ্য, পোশাকের এক বিপুল সম্ভার, কিছু software  যা আপনারও  লাগতেও পারে সহজ কাজের সন্ধানে।বলবো আমি, উত্তর ও মতামত দেবেন আপনারা একেবারে ব্লগে।
আলাপচারিতায় আমি পেশায় ব্যবসায়ী দেবপ্রিয় সেন, বর্তমানে ব্লগার তাই আপনার মোবাইলে বা ল্যাপটপে টাইপ করুন -
www.sadamata101.blogspot.com, একই ছাতার তলায় আমি এসেছি অনেক কিছু নিয়ে আপনাকে উৎসাহিত করতে, আর আপনার মতামত শুনতে,আর দিনের শেষে থাকবো আপনার সাথে আড্ডায় আপনার কমেন্টস ও শেয়ার করার মাধ্যমে একেবারে সরাসরি। ভালো থাকবেন,আর ভালো রাখবেন সকলকে আদান প্রদানের বিনিময়ে ।



Comments

sadamata101.blogspot.com

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

সন্তোষ ঢাকি

B-71#GANESH_PRASADAM. ( গনেশজির ভোগ নিবেদন মোদক ও পূরণ পুলি)