B-22#THEFT চুরি ( শুভ সুমেধার সপ্তম পর্ব)

                             চুরি (  এক সত্য ঘটনার উপর আধারিত) 8 
সুমি  জানো, কাল  এক বন্ধুর সাথে দেখা হোলো প্রায় দীর্ঘ  বাইশ বছরের পর, কি কাকতালীয় ব্যাপার, জানো সেই পাশের বেডের চ্যাটার্জী দা কে দেখতে এসেছিলো তার ভাই, আমি তো দেখেই চিনতে পেরেছি। চ্যাটার্জী দা আমার সাথে পরিচয় করাতেই দেখি-
আমরা একেবারে কলেজের বন্ধু  বিনয়, যেমন নাম তেমনই তার বিনয়ী ভাব, কথাবার্তা, হাঁটাচলার মধ্যে একটা বেশ সভ্যতা ও ভদ্রতা আছে , একটা আদর্শবান ব্যক্তিত্বের পুরোটাই যা হওয়া উচিত সম্পূর্ণ  টাই তার চরিত্রে লক্ষ্য করা যায়।বিনয়ের ভালোনাম বিনয় চ্যাটার্জী।কলেজে পড়াকালীন কোনোদিন তাকে রাগতে দেখি নি ,মতের অমিল হলেই সে কোনো কথা না বলে চুপ করেই থাকতো, তাতেই   তার  অনিচ্ছার প্রকাশ ঘটতো, হাসির কথা হলেই এতো প্রাণখোলা ভাবে সে হাসতো, যেমনটা ইদানিং কালে একটাও মানুষকে আমার অন্তত চোখে পড়েনি।
 বিনয়েরা  সাত ভাই দুই বোন, বিনয়  সর্বকনিষ্ঠ।  দাদাই তাদের বাড়িতে জ্যেষ্ঠ। বড়দা এতই বড় যে তার ছেলে বিনয়ের থেকে তিন বছরের ছোটো। একঅর্থে বলা যাই তারা পিঠোপিঠি। বিনয়ের বড়দা অর্থাৎ প্রফুল্ল চরণ চ্যাটার্জী মানে যিনি আমার পাশের বেডে ছিলেন উনি  তখনকার দিনে wbcs এর A grade officer, যেমন রাশভারী তাঁর চাকরি, তেমন রাশভারী তাঁর চেহারা, সেই চেহারাটা অবশ্য এখনো আছে, তবে retired।  বিনয়  বড়দাকে বাবার স্থান দিত। যতবার গেছি তাদের বাড়িতে ছোটো ভাই বরাবরই বড়দাকে আপনি সম্বোধনে কথা বলতো, তা দেখে ভারী সুন্দর লাগতো আমার নিজের, আর মা বাবাকে তো কথাই নয় তাঁরা দেব তুল্য। ওদের বাড়িতে আরেকটা খুব ভালো দিক ছিল সেটা হোলো এতো লোকজন প্রায় জনা বিশ বাইশ হবে ছেলে মেয়েদের নিয়ে,বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে এই বাড়িতে এতলোক থাকে কারণ কোনো আওয়াজ নেই, বাড়ির এতটাই শান্ত পরিবেশ। একদিন বিনয় আমায় নেমন্তন্ন করে দুপুরে  তার বাড়িতে খাওয়ার, আমিও যথারীতি সময়ে হাজির হই, দেখি বিনয় ও তার মা বাড়ির ছাদে কিছু একটা জোর আলাপচারিতায় ব্যস্ত, আমাকে দেখেই সে বলে –
           শোন্ না কিছু মনে করিস না, মায়ের সাথে ছাদে একটা বিষয় নিয়ে আমার আলোচনা হচ্ছে, তুই বরং আমার ঘরে বোস, একটু সময় লাগবে, ততোক্ষণে তুই আমার বেশ কিছু অঙ্ক আটকে গেছে যদি করে দিস, এই নে খাতাটা দিয়ে গেলাম, করে রাখিস, বইয়ে যেগুলো গোল গোল দাগানো আছে একমাত্র সেগুলোই। আমি কথাটা শেষ করেই আসছি, তারপর একসাথে খেয়েই আমরা পড়তে বসবো কেমন।
           সেদিন বিনয়কে দেখে খুব একটা বুঝতে পারিনি কি হয়েছে ওর, চোখ মুখে একটা বিষন্নতার ছাপ, আমাকে দেখে প্রথমেই সে একটু অবাকই হয়েছিল, এমনিতেই খামখেয়ালি ছেলে, ও বোধহয় ভুলেই গেছে আমাকে নেমন্তন্ন করেছে। বেশ বেলাও হয়েছে খিদে পাচ্ছে, যাক অংকের বই আর খাতাটা  নিয়ে উপুড় হয়ে বালিশ নিয়ে সবে শুরু করেছি এমন নিদ্রাদেবী এলেন কখন ঘুমিয়ে গেছি সে খেয়াল নেই। হঠাৎ দেখি বিনয় আমায় ডাকছে ।
         কি রে ওঠ, এতো দেখি রীতিমতো ঘুমোচ্ছিস।উঠে দেখি প্রায় চারটে বাজে, হঠাৎ সে দেখি আমার পাশে শুয়ে পড়লো আমায় জড়িয়ে সে বলে একটা কথা আছে, আচ্ছা আমায় কখনো তোর শট, লম্পট, বদমাইশ, বা চোর কোনোদিন মনে হয়েছে। সত্যি কথা বলবি কিন্তু? হ্যাঁ আমি একটু চুপচাপ তোদের মত বেশি কথা বলি না ঠিকই।
       এই শোন্ তোর হেঁয়ালি গুলো রাখবি, নাকি ভুলভাল বকেই যাবি, আজ আমায় নেমন্তন্ন করেছিলিস সে খেয়াল আছে? সেটাও তো দিব্যি ভুলে গেছিস। তুই তো কোনোদিন এমন ছিলিস না বিনয় প্রতি টা ব্যাপারে তোর টনটনে জ্ঞান ছিল, আজ তোকে ভারী অন্য রকমের লাগছে, কিছু খেতে দিবি কি খিদে মরে গিয়ে মাথাটা যন্ত্রনায় ছিঁড়ে যাচ্ছে যে।
       জানি কি কুক্ষনে যে তোকে আজ ডেকেছিলাম তাও আবার নেমন্তন্ন করে, জানিস বাড়ি সুদ্ধু লোকের খাওয়া হয়নি, সেই সকালে এক কাপ চা আর দুটো লেরো বিস্কুট জুটেছে কপালে, আজ হেঁসেল বন্ধ, এক বিশাল সমস্যায় পড়েছি চল তোদের বাড়ি গিয়ে না হয় সব বলবো। আমি নিজেই কি করি বুঝতে পারছি না। শোন্ তোদের বাড়িতে দু একদিনের জন্য থাকা যাবে? আসলে কি বলতো আমরা এতগুলো ভাই বোন না মা হিমশিম খেয়ে যান, আজ মাকেও কিছু ওলোট পালট কথা বলে দিয়েছি। তোকে পুরোটাই বলবো, শুরু থেকে না বললে ঠিক বুঝবি না।
         যাক, জানো সুমি,বিনয়কে নিয়ে সেদিন বাড়িতে আসি আর মাকে বলি আজ আমরা কোনার ঘরে দুজনে সারারাত পড়বো সামনে পরীক্ষা তাই, এই সুযোগে মাকে বলেই ফেলি মা,বিনয় বেশ কিছুদিন থাকবে আমাদের বাড়িতে আমরা গ্রুপ স্টাডি করবো, তুমি পারলে কিছু খাওয়ার দাও খুব খিদে পেয়েছে। দুজনেই খেয়েদেয়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে বসি, তারপর বিনয় ফিসফিস করে তার সে করুন কাহিনী আমায় শোনায়।
                      শোন্ শুরু থেকে তোকে বলি, দাদা সেবছর দিল্লী  ট্রান্সফার হয়েছেন, সেখানেই থাকেন, কলকাতায় এসেছেন এক জরুরি অফিসের কাজে দুদিনের জন্য। দাদা আশা মানেই বাড়িতে ভুঁড়ি ভোজ, মাও বেজায় খুশি বড় ছেলে এসেছে বলে কথা। যাক দাদার সাথে সকাল সকাল  বাজারে যাই, দাদা গোটা চারেক ইলিশ মাছ কেনেন, আর কেজি চারেক খাসির মাংস নিয়ে মেজো বৌদি কে বলেন মেজো, আজ আমার বিকেলেই  দিল্লীতে  ফিরে যেতে হবে, তাই তাড়াতাড়ি রান্না সেড়ে নিও কেমন, বহুদিন পরে একসাথে ভাই বোনেরা খাবো। কতকাল সে সুযোগ হয়নি। বড়দার কথাই আমাদের বাড়িতে শেষ কথা এমনকি বাবাও উনার উপর কথা বলেন না। যাক দুপুরে একসাথে খেতে বসি বড়দার সাথে এই প্রথম প্রানখুলে কথা বলি।
মেজো বৌদি সবার খাওয়া বেড়ে বললেন আমি একটু গা ধুয়ে আসি সারাদিন যা ধকল গেলো রান্না বান্নার, এসেই আপনাদের সাথে আমি আমারটা বেড়ে নিচ্ছি। যাক মেজো বৌ এলেন, খাওয়াদাওয়া শেষ, সবাই মেজবৌয়ের রান্নার সুখ্যাতি করছিলাম খেতে খেতে তাতে উনিও বেশ খুশি। আমি বড়দার অতো খোশমেজাজ দেখে বলেই ফেলি আপনার আজকে কি না গেলেই নয়, দেখুন না আরেকটা দিন যদি কোনোভাবে বাড়ানো যায়। বড়দা বললেন না সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয় কারণ আগামীকাল আমার এক জরুরি মিটিং আছে, লাতুরের ভূমিকম্প নিয়ে একটা প্রশাসনিক বৈঠক আছে সেটা পূর্বপরিকল্পিত। কাল সকালে গেলেও হত কিন্ত সেটাও আগামীকাল সকাল নয়টায়। তাই  কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, এমনিতেই সরকারী পয়সা, টিকিটের অনেক দাম, তাই সরকারী পয়সা কিভাবে নয়ছয় করি ও আমার বোধগম্যের বাইরে যা এতকাল করিনি কখনো। মাঝখান থেকে দেখলাম মা নিজেও আমাদের সাথে সুরে সুর মেলালেন, বড়দা মায়ের দিকে তাকিয়ে শুধুই বললেন মা আপনিও!! তা হয়না মা কোনোদিন আপনার কথার অবাধ্য হয়েছি..... তাতে মা বললেন যাক এস তাহলে কি আর করার।
আমরা একে একে কিচ্ছুক্ষন পর  সবাই বড়দার ঘরে গিয়ে বসি, উনিও এসে বসলেন। সময় এলো বড়দার যাওয়ার  উনি তৈরীও হলেন। টাকার পার্স টা প্যান্টের পিছন পকেটে রাখতে গিয়ে উনার কি মনে হোলো ফ্লাইটের টিকিটটা আবার করে দেখেন যদি পাছে সেটা ওপেন টিকিট হয়। কিছুক্ষন পরে দেখি উনি বেশ বিস্মিত, কোথায় গেলো সে টিকিট। কখনো খাটের তলায় আবার কখনো বা ছোট্ট ব্যাগে উলোট পালট করে দেখেন কোথাও নেই। আমরা প্রত্যেকটা ভাইবোন বড়দার সাথে লেগে পরি খোঁজার জন্য  কিন্তু কোথাও পাওয়া গেলো না। বড়দার  বরাবর একটা অভ্যেস আছে পার্সের টাকা গুনে রাখা, সেটা গুনতে  গিয়েই দেখেন অর্ধেক টাকা নেই সেখানে। এবার উনি সবাইকে শুনিয়েই বলেন কেউ কি নিয়েছে, আমার টাকাটা হিসেব চাইছি না, টিকেট টা টাকার ভিতরেই ছিল, হয়তো নিতে গিয়ে সেটা টাকার সাথে চলে গেছে। এতক্ষনে আমাদের সকলের সন্দেহ জাগে মেজবৌয়ের উপর কারণ উনার একটু না অনেকটাই হাতটান আছে।

 এ কীর্তি নতুন নয়, ধরাও পড়েছেন বহুবার, আমাদের মধ্যে সেটা প্রমাণিত তো বটেই। বড়দা বহুকাল বাইরে থাকেন তাই একথা তাঁর জানার নয়, বা আমরা কোনোদিন তাঁকে জানাইওনি। যাক উপায়ান্তর না দেখে আমি সোজা বাড়ির বাইরে চলে যাই যেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলা হয়। সেখানে বহুক্ষণ নোংরা ঘেঁটে কিছু ছেঁড়া কাগজের টুকরো পাই ও সেটা পরিষ্কার করে মুহূর্তেই বুঝে ফেলি এইটাই হোলো বড়দার যাওয়ার টিকিট। ততক্ষনে পরিমলের মা আমার বাড়ির কাজ সেড়ে পাশের বাড়ি গেছে কাজে, তাই দেরি না করে তাকে সেখানে গিয়ে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেই ফেলি – আচ্ছা পরিমলের মা আমার এক দরকারি কাগজ আমি এইমাত্র নোংরা থেকে বার করি ওটা ওখানে কি ভাবে গেল বলতে পারো? তোমায় কি কেউ কোনো কাগজ দিয়েছিলো, নোংরা ফেলার সাথে ।

পরিমলের মা সেদিন গড়গড় করে বলে দিয়েছিলো তোমরা যখন খেতে বসেছিলে মেজোবৌ তো আমায় কিছু টাকা দিয়ে বলেন শিগগির কিছু মিষ্টি নিয়ে এসো আর বাকি টাকাটা ও আর ফেরত দিতে হবে না সেটা তুমিই রেখে দিয়ো কারণ আজ বাসন ও তো অনেক হয়েছে ওটা তাই তোমার বকশিস। আর হ্যাঁ বাড়ির বাইরে এই নোংরার ময়লাটা ফেলে দিয়ো, দেখলাম মেজো মা একটা কাগজ ছিঁড়ে ওটাতে ঢুকিয়ে দিলেন, কেন গো ছোড়দা ভাই কিছু হয়েছে? ঘরে ফিরে এসে বড়দা বা কাউকে তা জানায়নি, পরিবারের এই জঘন্য কেচ্ছাটা মনের মধ্যেই চেপে গেলাম। বড়দার আর সেদিন যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তড়িঘড়ি আমায় নিয়ে উনি  গেলেন কাছের এক S T D বুথে সেখানে কিছু একটা কথা বলে, বেরিয়ে এসে সোজা পার্কস্ট্রিট এ ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স অফিসে প্রায় বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনলেন আর আসার সময় গাড়িতে বললেন এই টিকিটের টাকাটা অফিস থেকে চাইলে পাবো, কিন্ত ওকাজ আমি কোনোকালেই করিনি তাই করতেও পারবো না। যাক পরের দিন দাদা চলে গেলেন, বহুদিন এমুখো হননি প্রায় দুবছর তো বটেই।
আমাদের বাড়িতে যেহেতু মেজোবৌই হেঁসেল সামলান বৃদ্ধ মায়ের সাথে,দীর্ঘদিন অব্যশ মা আর যান ও না হেঁসেলের দিকে তাই যে কোনো ব্যাপারে উনি কোনোদিন মায়ের সাথে অন্তত রান্না বান্নার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ করতেন না, সেটা আমি বেশ বুঝতে পারতাম, আর মায়েরও সেখানেই কষ্ট।  গত পরশু আমার বড়দা এসেছেন। আবারও সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে মা ও সমান ভাবে খুশি একমাত্র মেজোবৌ ছাড়া। উনি হঠাৎ বেঁকে বসলেন কাল সকালে নাকি বাপের বাড়ি যাবেন। মেজো বৌ কে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে এলো আরেক বিপদ।
 মা মেজবৌকে আটকাতে চান তাই তড়িঘড়ি আমায় ছাদে নিয়ে যান কারণ এবারে বড়দার সাথে আর যেন কোনো ধরণের বাজে সম্পর্ক না হয়, পুরোনো ভূল বোঝাবুঝি গুলোর একটা নিস্পত্তি হয় তাই আমাকে শিখন্ডী খাড়া করে মা একটা সুমধুর সম্পর্ক সংসারে আনতে চান। তাই মা ছাদে নিয়ে গিয়ে বলেন খোকা তোমায় একটা উপকার করতে হবে বা আমার আদেশ ভেবে মানতে হবে আশাকরি তুমি অরাজি হবে না। শেষমেশ উনি বলেই ফেলেন শোনো তোমার বড়দার আর বাড়িসুদ্ধ লোকের সামনে তোমায় স্বীকার করতে হবে যে তোমার বড়দার সেই চুরি যাওয়া টাকা তুমিই নিয়েছো সেটা তোমার প্রয়োজনে। আমি তো অবাক যে কাজ আমি কস্মিন কালেও করিনি, বাড়িসুদ্ধ লোকের কাছে সারাটা জীবনের এই চোর অপবাদ নিয়ে থাকতে হবে এমনকি বাড়ির ছোটরাও আমায় জানবে যে আমার ছোটো কাকা চোর। কোনোভাবেই মায়ের এই যুক্তি মানতে পারিনি, উপরন্তু উনাকে বলেছি আপনি আমায় এতটা নিচে নামতে বলেন মা, আমার জীবনে সে শিক্ষার কি দাম রইলো ওটা আমি পারবো না। মা শুনে বললেন শোনো কিছুটা যদি ছোটো হতেও হয় তা হও না তাতে সংসারের স্বাভাবিকতা  ফিরবে। মাকে কোনো কথা না বলে শুধুই বলি যাক আমিও বাড়ি ছাড়া হয়ে বেড়িয়ে যাবো ভবিষ্যতে যেন আর কোনোদিন আপনার মুখদর্শন না হয়। কথাটা বলার পরে মায়ের চোখের দিকে বেশিক্ষন তাকাতে পারিনি, বুঝেছি উনাকে এজীবনে একটা সজোরে আঘাত করেছি, উনার মনটা কে বুঝতে পারিনি ঠিক এই বয়সে এসে মেজবৌয়ের সাথে একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে তবেই আগামী দিনগুলো উনার সংসারে থাকাটা মধুর হয়ে উঠবে, একটু ভালো থাকাটা আরো ভালো হবে মায়ের মন তো বড্ডো বিনয়ী উনারা। ঠিক এটাই উনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, যা আমার মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
 বড়দাকে ধরে বিনয় চেন্নায়ে একটা চাকরি নিয়ে চলে যায় । ঠিক ছয় মাসের মধ্যে বিনয়ের কাছে খবর আসে মা নেই। জানিনা মাকে শেষ যে পণ করেছিল সেটাও কেমন  মিলে গেলো। কোনো টিকিট পায়নি সেদিন কলকাতা ফেরার, তাই মাকে শেষ চোখের দেখা হোলো না। মা তো চলে গেলেন রয়ে গেলো বিনয়ের  রাগ আর অবাঞ্চিত অভিমান, মন যেন  কোথাও বললো, খোকা ভালো থেকো, আমি নিজেই লজ্জিত আমার ছোটো খোকাকে কাঠগড়ায় চোর সাব্যস্ত করে দাঁড় করানোর অজুহাতে, বুঝিনি সে ছোটো খোকা আজ এতো বড় হয়েছে, সে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে।
যাক সুমি এই হোলো আমার বন্ধু বিনয় যার সাথে হাসপাতালে দেখা এতটা বছর পরে।

 সুধী পাঠক গণ একটা প্রশ্ন রয়ে গেলো আপনাদের কাছে সেদিন বিনয় কি ঠিক ছিল?নাকি তার মায়ের অকাট্য সাংসারিক যুক্তি ঠিক ছিল, উত্তর টা আপনাদের কাছেই রাখলাম মতামতের অপেক্ষাই রইলাম। 

Comments

Post a Comment

always

sadamata101.blogspot.com

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

সন্তোষ ঢাকি

B-71#GANESH_PRASADAM. ( গনেশজির ভোগ নিবেদন মোদক ও পূরণ পুলি)