B-107#দ্বিজ (বড়দিদি গল্পের অষ্টম পর্ব )

দ্বিজ
দুই বার যাহার জন্ম । মেয়েদের জন্ম দুই বার হয় এক পিতৃকূলে, আর দ্বিতীয় স্বামীকূলে । আমৃত্যু  এই পরিচয়ই বহন করে চলেন তাঁরা । শিশুকালে কন্যা অর্থাৎ বাবা মায়ের কাছে গৃহলক্ষী,
 একটু যৌবন পেরোতে না পেরোতেই টুকটুকে বৌমা ।
তারপর গর্ভধারিনী মা, শ্বাশুড়ি, বৃদ্ধা তারপর সব শেষ ।
লিখতে লিখতে মনে হচ্ছে দুইবার নয় তিনবার জীবনে সে পর- অধীন । পিতৃকুল, স্বামীকুল, সন্তানের অধীনস্ত কুল ।
একটা যেন জীবনের রূপান্তরিত করণ, মস্তিষ্কের প্রতিমুহূর্তে বিকাশ । বিজ্ঞান প্রতিক্ষনে মস্তিষ্কের নানান দিক আমাদের জানিয়েছেন কি ভাবে কাজ করে । মনে হয় ভারতীয় নারীর মস্তিস্ক নিয়ে  যদি আগামীদিনে গবেষণা করেন  সেই শিশুকাল থেকে প্রৌঢ়া অব্দি,হয়তো অনেক তথ্য জানতে পারবেন । কারণ নারী মস্তিস্ক এমন এক অদ্ভুত ভাবনা চিন্তা নিয়ে এগোতে থাকেন যে প্রতিটা মুহূর্তে কালোপযোগী করে তোলেন তাদের কে নিজে থেকে এক অর্থে স্মার্ট হতে হবে প্রতিটা কুলের ক্ষনে । যেমন শিশু হলে কেমন আচরণ, নতুন বৌমা হলে কেমন ব্যস এই পর্যন্ত, পরবর্তী টা তাঁকে বলার কেউ থাকে না।কারোর ক্ষেত্রে তখন বয়স একুশ বা বড়জোর পঁচিশ। ধরেই নেওয়া হয় যেহেতু সে মা, সে সর্বজ্ঞানী, আগামী জীবনের সমস্ত পথের সিদ্ধান্ত সে ঠিকই নেবে,সে যেন এক যন্ত্রী আপনাআপনি শিখে যাবে। আদৌ কি হয় মস্তিষ্কের বিকাশ কতখানি হয়েছে,- ঠোকর, ঠোকর, আবার একান্তে কান্না, একটু সংসারে ভালোবাসা আবার করে ঠোকর। এই শুরু হয়, কেউ যখন থেকেও নেই, তাই নিজের সাথে নিজে কথা বলা তারপর সে নিজে নিজেই পরিবর্তন করেন মনকে । শ্বাশুড়ি হলে কেমন আচরণ করতে হবে, প্রতিটা মুহূর্তে শিখতে শিখতে একটা দ্বন্দ্ব মনের কাছে তাতে ভুল ত্রুটি হলে তো কথাই নেয় । এ যেন প্রতি পদক্ষেপে আপোস করতে করতে এগিয়ে যাওয়া । তাই হয়তো তাঁরা একটা সময়ে অনেক গভীরে গিয়ে স্বীকার করেই ফেলেন এক আত্মাহুতি “হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যে হোলো পার  করো আমারে”। মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও একটা ব্যাপারে অবাক হতে হয় মা বাবা বিয়োগের পর তাঁদের কর্তব্য ঐ তিনদিন, খুব গভীরে ভাবলে হয়তো ঠিকই বিধান দিয়েছেন পন্ডিত মহল গোত্রান্তর বলে। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত মতামত হোলো কতদিন সে কর্তব্য চালিয়ে যাবে? নিজের প্রতি কর্তব্য তো হয়তো করতে ভুলেই গেছে,তাই হয়তো এই বিধান আর নয়।
    বড়দিদির বিয়ে মা বাবার অমতে ভালোবাসার বিয়ে । একটা পঁচিশ বছরের মেয়ের জীবনে বিয়ে মানে শুধুই স্রোতের টানে গা ভাসিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয় । ভালোবাসার বিয়ে হলে তো আরোই গেলো । এই শুরু বড়দির নিজের কাছে নিজের লড়াই প্রতিটা পদক্ষেপে। সংসার করা, হেঁসেল সামলানো যা আগে কখনোই সে মায়ের সাথে করে নি এত দুর্গার জীবন কাহিনী নয় ।
স্বামীর কাজের জায়গায় ভাগিদার হওয়া, টাকাপয়সার হিসেব রাখা, সখ আল্হাদ গুলো টুটি চিপে বধির হয়ে থাকা, অভাব থাকলেও পাড়া পড়শীকে বুঝতে না দেওয়া, মা বাবার কাছে হাসি মুখে অভিনয় করা, এটা একমাত্র আমার বড়দির ক্ষেত্রে বর্তায় না, সমস্ত নারীজাতির ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রযোজ্য ।
চুপিসারে স্বামীর কাছ থেকে বুঝে নেওয়া “পড়াশুনা তো করেছো একটু চাকরি বাকরির তো চেষ্টা করতে পারো, আরে বাবা কিছু না হলে দু একটা টিউশন তো করতেই পারো, এতে নিজেরও চর্চা হবে আবার আয় ও হবে, এই ধরো বছরে একবার ঘুরতে যাওয়া, পয়সা জমিয়ে জমি জায়গা কিনে বাড়ি করা, ইত্যাদি আর কি সংসারটা তো তোমারো” শেষ যে উক্তি থাকে শীতের ভোরে গরম গরম চা খেতে খেতে বলে দেওয়া প্লিস বোকা হয়ে থেকো না, তারপরেই উষ্ণ আলিঙ্গন আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তান।
কতগুলো সাংঘাতিক দায়িত্ব নেপথ্যে ছুঁড়ে দিয়ে বুঝতেও পারে না কি ভীষণ মানসিক যন্ত্রনা আগের থেকেই চলছে এখন আরো বাড়লো ।মাঝে সমান তালে একটা সুড়সুড়ি,যাঁর নাম ভালোবাসা, সেটা কারোর ক্ষেত্রে সত্যিই আবার কারোর ক্ষেত্রে অভিনয় করে বাচ্চা মেয়েটার মাথায় ভালোবাসার ভিটামিন ইনজেক্ট করা প্রকারান্তে বুঝিয়ে দেওয়া মুখে না বললেও সব দায়িত্ব তাঁর স্ত্রীর।

            বছর দেড়েকের মধ্যেই আমার বড় ভাগ্নির জন্ম। তার জন্মটাও ভারী মজাদার ঘাটশিলায় অশ্বত্থকুঞ্জের কাছেই একজন চাঁদসি ডাক্তার ছিলেন বিশ্বাস কাকু তার বাড়িতেই বড়দিদি ঘুরতে গিয়েছিলো আর সেখানেই ভূমিষ্ট হয় আমার বড় ভাগ্নি। এই কাকুই আমাদের সাথে একেবারে বাড়ির সম্পর্ক, প্রথম যখন ঘাটশিলা যাই  সেদিন থেকেই পরিচিতি যা আজও পুরোদমে।বিশ্বাস কাকুর যেমন পদবি তেমনই বাস্তবিক জীবনে । মনে আছে 1978 সালে প্রথম ঘাটশিলায় আসি পাকুড় থেকে রাতের ট্রেনে স্টিল এক্সপ্রেসে,
সে ঘুটঘুটে অন্ধকার ট্রেনটা ঘাটশিলা স্টেশনে এসে দাঁড়াতেই যে প্রথম বাঙালীর সাথে পরিচয় তিনি এই বিশ্বাস কাকু। ভদ্রলোক এতই পরোপকারী কিন্তু শেষ জীবনটা বড্ড কষ্ট পেতে হয়েছিল তাঁকে।  এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সুখের সংসার।  কিন্তু শেষ বয়সে মেয়ে ভুল করে এক অতীব বৃদ্ধকে বিয়ে করে, বিশ্বাসকাকুর জীবনের প্রতি বিশ্বাস আস্থা দুমড়ে মুছড়ে পরলোকে গমন করলেন ।
          বড়দি রবীন্দ্রাভারতী থেকে অর্থনীতিতে  M.A কিন্তু কোনো B. Ed  ডিগ্রি  না থাকায় কোনো সরকারী কলেজে বা স্কুলে চাকরি হোলো না। দাদাবাবুর বাড়িতে টিউশন ব্যাচের পর ব্যাচ, দিদির সংসার হেঁসেল গুছিয়ে, নিজের সন্তানকে মানুষ করা,বিকেলে গুটিকয়েক বাচ্চা পড়ানো এই জীবন শুরু, এক সংগ্রামের জীবন।সংগ্রাম বলবো না বাস্তবের সাথে ভবিষ্যতে ভালো থাকার চুক্তির মেল বন্ধন। ঝাড়খণ্ডের কলেজ গুলোর মাইনা পত্র ভারী অদ্ভুত একেবারে মাইনা হতো চারমাসের টা একসাথে, কেন হতো সে কারণ আজও অজানা, শুনেছি এখনো এই প্রথা। অগত্যা উপায় না থাকায় টিউশন ভরসা, সেখান থেকেই সংসার চালানো,বাড়িতে আসা অতিথি সেবা  চলতো এই একই উপার্জন মাধ্যম দিয়ে। সে অর্থে খাতা লেখা পড়তো গনেশ ভাণ্ডারে, ঘোষদার দোকানে, কখনো কখনো রুনকিনী বস্ত্রালয়ে। কোনোভাবে সংসার টানতে টানতে দিদি চাকরি পেলো একটা প্রায় গ্রামের আশ্রম  স্কুলে ফুলপাল সেখানে বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতো ।
আবার দশটা বাজতে না বাজতেই ছুট সেখান থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার তো হবেই ধলভূমগড় কলেজে অধ্যাপনার কাজে পার্ট টাইম করতে। সারাটা জীবন শুনে গেলাম কলেজ টা এফিলিয়েশন পাবে তারপর পাকাপাকি চাকরি । সে এফিলিয়েশন পাওয়ার জন্য তিনমাস ছয় মাস অন্তর রাঁচিতে দৌড় কলেজের সবাই মিলে গাড়ি ভাড়া করে, এই বুঝি এফিলিয়েশন পেলো ।
         একবার দিদির সাথে ইচ্ছে হোলো, যাই কোন গ্রামের স্কুলে পড়ায়  দেখতে ফুলপালে। মাতাজী দ্বারা পরিচালিত হয় সে স্কুল দিদি প্রায় সর্বেসর্বা সেখানে।ছাত্র সংখ্যা ভালোই সেখানে, মাতাজির সাথে আলাপ নানান কথা বেলুড় মঠ নিয়ে, ধর্ম নিয়ে কথা বলছেন, উনার আগামী দিনের পরিকল্পনা স্কুল ঘিরে সবটাই বিভোর হয়ে শুনলাম। বুঝলাম সবই অর্থ সাহায্য পান বিপুল পরিমানে, সারদা পীঠ থেকে বাচ্চাদের মাইনা পত্র ভালোই কিন্তু বিনিময়ে দিদি যেটা পান সেটা খুব  সামান্যই। প্রয়োজনে দিদি বিকেলেও স্কুলে যেত মাতাজী ডাকতেন একাউন্টস এর হিসেব নিকেশ করতে। দিদিকে বললেই বলতো “ছাড় না সেবা করছি, যেখানে সেবা সেখানে টাকাপয়সার কথা চলে না, দেখছিস না মাতাজী ও কত কাজ করছেন” । একটু খোঁচালেই দিদি বলতো “সব জমাচ্ছেন মাতাজী আমি তো প্রতিসপ্তাহে ব্যাঙ্ক এ গিয়ে প্রায় তিরিশ চল্লিশ হাজার টাকা জমা করে আসি। আবার আমি নিজেই স্কুলের একাউন্ট এ সাইনিং অথরিটি, কারণ একটাই আমাকে প্রচুর বিস্বাস করেন মাতাজী”। মনে মনে ভাবতাম বিশ্বাস আর ঠকানো এক কি করে হতে পারে। যে  বিশ্বাস করছে সে ঠকছে, আবার যিনি যাঁকে বিশ্বাস করছেন অলক্ষ্যে ঠকাচ্ছেন ও। যাক দিদির বিশ্বাস কে অমর্যাদা করার সাহস কোনো কালেই দেখাই নি, এতে দিদি মনে মনে কষ্ট পাবে,চলে তো যাচ্ছে ঐ পাঁচশো স্কোয়ার ফিটের প্রভুদাসের বাড়িতে কোনো ভাবে। আমি বা আর কি করতে পারি চোখে দেখা ছাড়া। 
         সেই বারই স্কুল ফিরতি দিদির সাথে গেলাম ধলভূমগড় কলেজে।
ঘাটশিলা ছেড়েছি বহুকাল আগে এখানে আমার বাল্যকাল কেটেছে তাও মাত্র ছ কিংবা সাতটা বছর তাই রাস্তা সম্বন্ধে তেমনটা বিশেষ মনে নেই। দাঁড়িয়ে আছি বাসের জন্য দিদি বললো জয় আম্বে বাসটা আসবে এখুনি ওখানে বসার জায়গা পাবো এই তো এখুনি পৌঁছে যাবো। সে বাসের দেখা আর মিললো না অবশেষে একটা ভ্যান গাড়ি এল লম্বাটে ধরণের সে দেশের ভাষায় চারশো সাত। যা দেখলাম তার বিবরণ মারাত্মক দুপাশে আকসি দিয়ে ঝুলছে সাইকেল, বড় বড় এলুমিনিনিয়ামের হাঁড়ি, গাড়িটার চারপাশে জিনিস দিয়ে ঠাসা ।
 দূর থেকে আসছে যখন অবাক হলাম দেখে একেবারে বাঁকা, বুঝলাম গাড়িটার এলাইনমেন্ট নষ্ট হয়ে গেছে চলতে চলতে আর জিনিসের ভারে। গ্রামের মহিলারা একটা পাদানিতে প্রায় জনা চারেক তো হবেই দাঁড়িয়ে পিছনে। সামনে আসতেই বুঝলাম দিদিকে চেনে তাঁরা। শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে তাঁরা সম্মান করেন যথেষ্ট, কথায় বুঝলাম। কিন্তু বসবো কোথায় কয়েদি সমান মানুষ গুলো যেন ধনুষ্টঙ্কার হয়ে ঠেসে দাঁড়িয়ে আছে গাড়ির ভেতরে। খালাসি দেখলাম একজনকে উঠিয়ে আমায় বসার সুযোগ করে দিল। মনে বুঝলাম ভারী অন্যায় এটা, ঠিক নয়। সে মহিলা গজগজ করতে করতে সাঁওতালি ভাষায় কি বললো আমার উদ্দেশ্যে, খুব খারাপ লাগছিলো তাঁর সে জায়গার আমি কি করে অধিকারী হতে পারি। সে ঠাঁই পেলো বাইরের সেই পাদানিতে,ঝুলন প্রক্রিয়া করতে করতে আমাদের 407 এগিয়ে চললো ধলভূমগড়ের দিকে। আমিও যে খুব ভালো বসেছি তা নয় এক গ্রাম্য দাদুর প্রায় কোলে। নেহাৎ সেই দাদু ধুতি পড়েছিলেন তাঁর দুই পায়ের ফাঁকে। জুলাই মাস প্রচণ্ড গরম বাস স্ট্যান্ডে একে কুপোকাত গরমে ভাবলাম গাড়ি চললে হাওয়া পাবো কিন্তু সে হাওয়া অতি দুর্গন্ধযুক্ত কারণ একটাই গাড়ির বাইরে সে সমস্ত হাঁড়ি ঝুলছে সে গুলো মাছের হাঁড়ি তাই এত গন্ধ। এদিকে দাদু ও ঐ গরমে গ্রাম্য ঔষধ সেবন করেছেন তাই তাঁর নিঃস্বাস পড়ছে আমার ঘাড়ে সব মিলিয়ে আমার গলায় লাগানো পাউডারের গন্ধ ম্লান । সে পাউডার ও এখন আর নেই, ঘামে এক দলা হয়ে মনে হচ্ছে সাদা সুতোর মালা পড়েছি। কিছুদূর চলতে না চলতেই পায়ের নিচে এক বস্তা সে যেন নড়ছে আর আমার জুতোর কনুইতে কি যেন বেশ বাধো বাধো ঠেকছে। বেশ আসল রূপ বেরিয়ে এল এক মুরগি বস্তা থেকে বেরিয়ে সে 407 এর  মধ্যে ছুটোছুটি। মুরগির মালিকের হেলদোল আছে সে সমানেই বলে চলেছে “কাড়া টা জিতলি আজকে মুর্গা লড়াইতে দমতক তেজ এই কাড়াটার, আনখাই বাহিরাইছে”। আমি ভয়ে একবার দাদুর কোলে লাফ মেরে উঠি আবার বসে পড়ি। একটা সময় দেখলাম দাদু সিটে নেই সে নেশায় বাসের মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। গায়ে দুর্গন্ধ ভর্তি গন্ধ নিয়ে ধলভূমগড় এ এসে নামলাম। কিছুটা  ধাতস্ত হওয়ার আগেই দিদি বললো চল চল দেরি হয়ে গেলো । এ যেন দিদির সয়ে যাওয়া রোজ নামচা তাই কর্ণপাত করলো না আমার অস্বস্তিতে, শুধু আমার দিকে ফিসফিস করে হাসছিলো কেন সেটা পরে বুঝলাম বাড়িতে এসে। ধলভূমগড় বাস স্টপে নেমে দিদির সাথে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছলাম প্রায় হাফ কিলোমিটার তো হবেই একটা সরু জঙ্গলের মেঠো পথ ধরে কলেজে । মনে মনে ভাবলাম দিদির সাথে কাটানো আমার একদিনের কষ্ট তে আমি হাঁফিয়ে উঠেছি । কিন্ত এই দিদির এটা রোজ নামচা সে এটাকেই কত সহজেই হাসিখুশিতে মেনে নিয়েছে উদ্দেশ্য একটাই তা হোলো লড়াই, একটা স্বপ্নকে আগামীতে বাস্তব করার লড়াই । দিদির অবস্থা কোনো অর্থেই খারাপ নয় অন্তত সেই 407 তের  গ্রামের মহিলাটির থেকে তো ভালো, তাকে তো তাঁর জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছিলো পেছনে ঝোলার জন্য । তফাৎ দিদি শিক্ষিতা আর উনি অশিক্ষিত এতটুকুই বাকি সবই সমান সেও মানুষ দিদি ও মানুষ । বড়দি হয়তো জীবনের মানেটা অনেক আগেই বুঝেছিল যে একটা ঝাঁ চকচকে জীবন হতে গেলে অনেক আত্মত্যাগ করলেই পাওয়া যায় সেটাই অকাট্য সত্য । তাই তাঁর এই জীবন সম্পর্কে বলিদান আমাকে আজও ভাবায়। বড়দির থেকে শেখা জীবন মানে উদ্দেশ্য কে সফল করতে গেলে নিজেকে পুরোদস্তুর নিংড়োতে হয় তবেই সফলতা পাওয়া সম্ভব। যাঁর যতটুকু চিন্তা তাঁর ঠিক ততটুকু পাওয়া ।
             সেদিন বাড়ি পৌঁছে যা দেখলাম আমার জামায় সেই দাদু পুরোটাই পিছন থেকে উদ্গীরণ করেছে তাই এত গন্ধ আর দিদি তাতেই হাসছিলো, পাছে আমি পালিয়ে আসি তাই সে বলেনি।
                          ক্রমশঃ......






Comments

sadamata101.blogspot.com

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

সন্তোষ ঢাকি

B-71#GANESH_PRASADAM. ( গনেশজির ভোগ নিবেদন মোদক ও পূরণ পুলি)