B-91 #সংরক্ষিত দলিত সম্প্রদায় ও মাননীয় হেমন্ত সোরেন মহাশয়

সংরক্ষিত দলিত সম্প্রদায় ও মাননীয় হেমন্ত সোরেন মহাশয় 

আন্তরিক অভিনন্দন রইলো চুয়াল্লিশ বছরের বর্ষীয়ান ঝাড়খণ্ডের মুখমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন মহাশয়কে, জনগণ জনবল আপনাকে তাদের প্রতিনিধির দ্বায়িত্ব পালনের জন্য বোধকরি সর্বোত্তম বেছে নিয়েছেন আশাকরি আপনি আপনার এই গুরুদ্বায়িত থেকে বিন্দুমাত্র পিছুপা হবেন না, সর্বোপরি আপনি হলেন আগামী ঝাড়খণ্ডের মুখমন্ত্রী জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সন্তর্পনে নেবেন, কোনোরকমের বর্ণ বৈষম্য কে প্রশ্রয় না দিয়ে, কারণ হেমন্ত বাবু মনে রাখবেন আপনাকে যারা সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন তারা কিন্তু শুধুমাত্র দলিত সম্প্রদায়ের লোকবল নই অর্থাৎ কোনো SC ST বা OBC নই এদের মধ্যে লুকিয়ে আছেন বহু উচ্চবর্ণের লোকবল ও, বলার উদ্দেশ্য একটাই আপনি সমস্ত সম্প্রদায়ের জনগণের প্রতিনিধি, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি ও . এহেন ক্ষেত্রে সাধুবাদ জানাই ভারতবর্ষের সংবিধান কে অন্তত এ ক্ষেত্রে কোনো ধরণের সংরক্ষণ রাখেনি, তাহলে শুধুমাত্র কোনো রাজ্যের মোট ভোটদাতার চল্লিশ শতাংশ পেলেই তিনি সে রাজ্যের মুখমন্ত্রী হয়ে যেতে পারতেন, যোগ্য ব্যক্তির কোনো সংরক্ষণ হতে নেই, উনারা যেখানেই যাবেন জনগণ তাদের মাথায় তুলে রাখবেন এটাই বাস্তব. হেমন্ত বাবু এখানে আপনার জয় যুক্তিযুক্ত. 
“যাঁদের উপর দেশ চালানোর কান্ডারি দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার ভার অর্থাৎ দেশকে দিশা দেখানের ভার ঠিক অপরদিকে যাঁদের হাতে দেশ গড়ার ভার যাঁরা তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে চলেছে নিত্যদিন তারা কেন যোগ্য আসন পাই না, তারা কোথাও না কোথাও আটকে যাই এই অহেতুক অমূলক সংরক্ষণের ডামাডোলে “. 
দেশের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, IIT মতন প্রায় উচ্চপদস্থ জায়গায়, যাঁরা দেশকে আগামী দিনে গড়বেন প্রায় সমস্ত জায়গায়  সংরক্ষণ, শুধুমাত্র চল্লিশ শতাংশ উত্তীর্ণ হলেই এই সমস্ত জায়গায় তাদের স্থান একেবারে সারাটা জীবনের জন্য সংরক্ষিত, হেমন্ত বাবু অনুরোধ রইলো আপনার কাছে এবং সমস্ত মন্ত্রীমহোদয়ের কাছে মেধার পক্ষপাত করুন, কোনো জাতের নই তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ আপনি নিজেই আপনি কোনো সংরক্ষণ জায়গা থেকে উঠে এসে মুখমন্ত্রী হন নি,  তবেই কিন্তু “ ভারত আবার জগৎ সভার শ্রেষ্ঠ আসন লবে “. 
যদি সংরক্ষণ হতেই হয় বিনীত অনুরোধ দলিত সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ থাকুক মেধা তালিকায় আসার পর, যেখানে তারা নিশুল্ক পড়াশুনো করতে পারে, তাদের থাকার সুব্যবস্থা থাকতে পারে, তারা দেশের স্কলার হিসেবে গণ্য হোক, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য নিখরচায় পাঠানো হোক, তবেই তো দেশের প্রগতি চড়চড় করে বেড়ে উঠবে, যোগ্য লোক যোগ্য জায়গার স্থান পাক এটাই কাম্য. 
দুঃখ হয় সেই রামবিলাস পাসোয়ানকে ভাবলে যার বর্ণবৈষম্যএর অপভ্রংশ রূপরেখা হলো SC ST র তকমা, তাহলে সমস্ত দলিত সমাজের লোকজন চাকরি পাই না কেন, কিছুদিন আগের কথা বলি আমার এক সহপাঠীর সাথে দেখা নাম চৈতন্ হেমব্রম, জিজ্ঞাসা করাতে সে বলে সে অন্যের বাড়িতে রংমিস্ত্রির কাজ করে, খুবই কষ্ট হলো সেদিন মুহূর্তে ফিরে গিয়েছিলাম 1985 সালে সেই ঝাড়খণ্ডের স্কুলের দিনগুলোতে, চৈতন্ দারুন বাংলা লিখতো বেশ গোটা গোটা তার হাতের লেখা, শুধু তাই নই সে বাংলাতে বেশ কয়েক বার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলো, ফুটবল খেলতো অসাধারণ ওকে নিয়ে আমাদের গর্ব ছিল গান্ধী হাউসে,  কোথায় গেল, চৈতন্ তো জীবনে অনেক প্রতিষ্টা পেতো কেন সে পেলো না, অথচ তার থেকে অনেক কম মেধার ছাত্র ছাত্রীরা দলিত হয়েও সমাজে প্রতিষ্ঠিত, তারা তদোপরি স্বীকার করে না অথচ অনেক অমূলক কথা বলতেও পিছপা হয় না. 
আদতে বর্ণবৈষম্যের শ্রেণীবিভাজনের দায় ভার আমাদের পূর্বপুরুষদের তারাই সৃষ্টি করেছেন ব্রাম্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র. মার্জনা করবেন আমার  ব্রাহ্মণ পাঠকেরা, ব্রাহ্মণেরা কিন্তু ঘৃণার চোখে দিনের পর দিন শুদ্রদের দাবিয়ে চলতেন ও নিজেদের সারাক্ষন উচ্চ আসনে বসিয়ে রাখতেন  অন্তত ইতিহাস তাই বলে. “পশ্চাতে ফেলিছ যারে সে তোমায় টানিবে যে পশ্চাতে “, এর যথোপযুক্ত অপভ্রংশ রূপ দেখিয়েছেন শ্রীযুক্ত  রামবিলাস পাসোয়ান শিক্ষাগত জায়গায় সংরক্ষণ স্থাপন করে. 
দলিত সমাজ কোনো আফ্রিকার সাদাবাঘ নই যে তার সংরক্ষণ করতে হবে বিলুপ্ত প্রজাতি বলে, শুধু মেধার ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কেন, তাদের সংরক্ষণের জন্য তাহলে তো স্পেশাল পরিচয় পত্র করা উচিৎ ছিল যেমন ধরুন পেট্রল পাম্পে গেলে তাদের ধার্যমূল্যের 40% দিতে হবে, গ্যাস কিনলে, বৈদ্যুতিক খরচের ক্ষেত্রে, বাড়ির ট্যাক্সের ক্ষেত্রে,  ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে, এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত কেন?, কারণ সরকার নিজে ও জানেন তাহলে তাদের ভাড়ার ঘরে তালা পড়বে. 
তাই এখনো কোনো শোরগোল নেই, প্রকৃত মেধার ঘরে তালা ঝুলিয়ে এখনো সংরক্ষণ চলছে টেনে তোলার চেষ্টা চলছে অমেধাবী মানুষগুলোকে কি না উনারা SC ST. এভাবে দিনের পর দিন চললে এক সম্প্রদায় সুযোগ নিয়েই যাবেন আবার অনেকে বিচ্চুত হবেন. 
দেশের ও দশের সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নতি হোক , কাউকে বা কোনো জাতিকে আঘাত বা ছোটো করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমার এই লেখা নই, আমি একজন সাধারণ নাগরিক বলতে পারার অধিকার থেকে লিখছি বা কোনো নেতা বা নেত্রী কে ছোটো করার উদ্দেশ্য আমার নই, মার্জনা করবেন কোনো political ছত্রছায়ার মানুষ আমি নই.  আবারো বলি আঘাত আমার কান্ডারি নই, উদ্দেশ্য যদি সফল হয় সেটা হবে আমার কান্ডারি, মেরা দেশ মহান, জয় হিন্দ. 

26.12.2019

Comments

sadamata101.blogspot.com

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

সন্তোষ ঢাকি

B-71#GANESH_PRASADAM. ( গনেশজির ভোগ নিবেদন মোদক ও পূরণ পুলি)