B-74#কোনটা ভুল কোনটা ঠিক

                      

                                                              কোনটা ভুল কোনটা ঠিক 
 
 
ভুল আর ঠিক দুটোই বিপরীত অর্থ, ছোটবেলার থেকে যেটা শিখে এসেছি ভুল মানে আক্ষরিক অর্থে যেটা বোঝানো যায় তা হোলো কাটা চিহ্ন আর ঠিক মানে হোলো একটাই সঠিক চিহ্ন। যে জিনিস ভুল তা এক দল সুবিধে বাদী মানুষ তাঁদের নিজেদের স্বার্থে তা করেই চলে কিন্তু আদৌ কি কাটা দাগটা কোনোদিন সত্য হয়। একটু বিস্তারিত বা খুব গভীরে গিয়ে এ ব্যাপারে রেখাপাত করা যাক। 
 
কাটা অর্থ দুটো দাগ, একে অপরের গুণিতক হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ এরা নিজেরাই  কেউ কাউকে মেনে নিতে পারে না, একঅর্থে দ্বিমত, যেখানে দ্বিমত সেখানেই তো মতের অমিল ,তাই কাটা দাগ টা সমান্তরাল নয়, শুয়ে থাকে একে অন্যের উপর কেউ কাউকেই এগোতে সাহায্য করে না । যদি আধ্যাত্মিক ভাবে ব্যাখ্যা করি এযাবৎ যত মুনি ঋষি বা অবতার এসেছেন প্রত্যেকেই বলেছেন “ ঈশ্বর এক, ও অদ্বিতীয় “ তাঁহার কোনো দ্বিতীয় রূপ নাই এ  বিশ্বজগতে। ভাবছেন কেন লিখছি এ কথা, ভুলের সাথে একশো ভাগ লোকজন চলে তার মূল কারণ একটাই অন্ধ পক্ষপাতিত্ব সত্যি বলার সাহস রাখে না, হয়তো বা সেই ব্যক্তি বিশেষ টি প্রচুর চুরি করা অর্থের অধিকারী, বা লোকজন কে দমানোর একটা ঐকান্তিক প্রয়াসের ক্ষমতার আস্ফালন , যাতেই সে মিথ্যে  জি হুজুরের আখ্যা পায়। 
 
কিন্তু ভুল কতদিন একে অন্যের উপর শুয়ে থাকবে ওটা যে সাময়িক, এটাই হচ্ছে আসল, বোঝার ভুল আত্মভোলা মানুষ বা এই বিশ্বচরাচরের কাছে। যখন সে বোঝে ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায়, তাই সে আশ্রয় নেই অদৃষ্টের, ভেট নিয়ে  যায়  সেই ইষ্টদেবতাকে। উনি তো এটা কোনোদিনও  চাননা। “ হে পরম পিতা পরমেশ্বর আমায় এগিয়ে নিয়ে চলো, আমার জীবনের উদ্দেশ্য সফল কোরো, আবার আসবো সেদিন নতুন ভাবে ভেট নিয়ে “।
 
আবার সেই একই ভুল যেখানে গুণিতক মন নিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রবেশ, এতটুকুও বোঝেন না যে উনি সঠিক মনকে বোঝেন অর্থাৎ এক দাগওয়ালা মনকে ঠাঁই দেন, কৃপা করেন। অর্থাৎ সেই ইষ্টদেবতাও যে এক ও অদ্বিতীয় মন। কৃপা হয়তো করেন কিন্ত সেটা হয়তো বা সাময়িক।
 
ঠিকের কিন্ত বড় জ্বালা সে সবসময় এক দাগ নিয়েই চলেন, তাই তাঁকে বরাবরই একাই চলতে হয়। সৃষ্টিকর্তা এক ও অদ্বিতীয় তাই তো তাঁর শরণাপন্ন হতে হয় মনের দ্বন্দ্বের কাছে হেরে গিয়ে দুই দাগওয়ালা ভুল গুলো ।
 
ঠিক চিহ্নের কাছে একটাই প্রমান ও সেটাই সাপেক্ষ, যা সমূলে উৎখাত করে মুহূর্তে সেই একশো ভুলগুলোকে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শিশুপাল কে বলেছিলেন “তোমার একশোটা ভুল আমি স্বীকার করবো, কিন্তু সেটাও যেদিন পেরিয়ে যাবে, সেদিন তুমি ঠিক চিহ্নের আসল মূর্তিটা কি দেখতে পাবে “। সেটা করেছিলেন ও আমাদের প্রত্যেকের কাছে সে কাহিনী জানা।
“বেঠিকের সাথে একশো জন হাঁটেন, আর ঠিকের সাথে হাঁটেন একশো এক জন – শুধু এতটুকুই পার্থক্য “।
 
চারিদিকে দিনের পর দিন এতই অন্যায় মানুষ আজ কুলুপ এঁটে বসে আছেন, শুধুমাত্র ভয়ে বা আমি নিজে কেন একা এগুবো এই চিন্তায়। সেদিন আর খুব দেরি নেই প্রতিটা ঘরে ঘরে সোচ্চার হবে মানুষ এই বেঠিকের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। নেতা নেত্রীরা সমানেই ক্ষমতার মিথ্যে পরিহাস দেখিয়ে মানুষ গুলোকে যে ভাবে দলিত সম্প্রদায় করে পিষ্ট করে তুলছেন এতে “ পশ্চাতে ফেলিছ যারে সে তোমারে টানিবে যে পশ্চাতে “ এ কথার সত্যতা একদিন প্রকাশ পাবেই পাবে।
 
ছেলেমেয়েরা মা বাবার ছত্রছায়ায় মানুষ হচ্ছে একটা বয়সকাল অব্দি, যদি পারিপার্শিক অবস্থার একটা উন্নতি বা সুষ্ঠ চিন্তাধারা হয় তাহলে সে বেঁচে গেলো, জীবনের বাকি পথটা সে নিজেই গড়ে তুলতে সক্ষম হবে একটা যুক্তিযুক্ত সুস্পষ্ট চিন্তাধারা নিয়ে। কিন্তু যদি অন্যায় ও সে অন্যায়ের মদতপুষ্ট মা বাবাই হোন, তাহলে কিন্ত ছত্রছায়ার শুধু পরিবর্তন হবে শিশুকালে মা বাবা আর বয়সকালে সুবিধেবাদী ভুল নেতা মন্ত্রীদের হাত ধরে পথ চলা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটাই হয়ে চলেছে।
এর একটা নিরপেক্ষ কারণ হতে পারে সেটা হোলো অতি সহজেই পেয়ে যাওয়া বা না চাইতেই পাইয়ে দেওয়া। রবীন্দ্রনাথ একটা সময় বলেছিলেন “ তাঁহারা আপনার সন্তান কে উত্তম জামা কাপড় দেন অন্যের সন্তানের মুখ ভার করাইবার জন্য “। কথাটার দুইরকম মানে হতে পারে বেঠিক বা ভুল মানুষের কাছে  এক, তাবলে কি আমি আমার সন্তানকে ভালো জিনিস দেবো না, আমার সন্তান তো অন্যের বাড়িতে গিয়ে সেটা জাহির করতে যাচ্ছে না? দুই,তাঁর নেই তাই সে পারছে না, দিলে,বা বারে বারে পাইয়ে দিলে ক্ষতি কি আমার ক্ষমতায় হোলো শেষ? আসলে মানুষটা কি বলতে চেয়েছিলেন সেটা উনার ব্যক্তিগত মতামত। আবার এই অতিমানব যেটা আমাদের হয়তো বা বোঝাতে চেয়েছেন অভাব টা রেখো, আর “ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে” তা নাহলে সন্তান কোনোদিনও বুঝবে না, সে ভেবেই বসবে পাওয়া টাই স্বাভাবিক, আর না পাওয়াটা অস্বাভাবিক, আর সেখান থেকেই সৃষ্টি হবে কোনোভাবেই পেতে হবে, সেটার ভয় আজকের দিনে কাছে অনেক বেশি।
একটা প্রচলিত কথা আছে “ মানুষ মাত্রেই ভুল হয় “, হোক তাতে দোষের নয়, তাবলে অনুতাপ কি হয় সে ভুলের, সেটা হলে ঠিক, না হলে পুরোটাই ভুল। আর এই পথ ধরে যখন সে এগোতে থাকবে একটা সময় এই ভুলের পাহাড় গুলোই তাঁকে সত্যি বলে ভাবাবে, সে নিজেও জানবে না বা বুঝতে চাইবে না যে সে ভুল, সৃষ্টি হবে এক অপরাধী বা সমাজবিরোধীর । সেদিন কিন্তু আর কোনো ছত্রছায়ায় ঠাঁয় থাকবে না প্রকাশ্য ভাবে কারণ একটাই গায়ে তকমাটা লেগে গেছে নিজের অজান্তেই।
ঠিক আর ভুল দুটো কথায় দু অক্ষর বিশিষ্ট, আবার ইংরেজিতেও এক, পাঁচ অক্ষর বিশিষ্ট RIGHT , WRONG , কিন্ত সেটা লেখা বা প্রকাশের মাধ্যমটা পুরোটাই বিপরীত, একজন একা, আরেকজন দোকা গুণিতকে সেটা প্রকাশ্য, কেউ কাউকে মানতে রাজি নয় তাই সেক্ষেত্রেই দুটো চিহ্নই  ভুল।

Comments

sadamata101.blogspot.com

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

সন্তোষ ঢাকি

B-71#GANESH_PRASADAM. ( গনেশজির ভোগ নিবেদন মোদক ও পূরণ পুলি)