B-132#পরবাসে
পরবাসে
কি গো উঠছো না যে, ভোর চারটের
অ্যালার্ম টা তো বাজে,
আজ ঠান্ডা পড়েছে বলে,বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছে না, তাই নিমরাজি।
আমি থাকতে আমার আগেই তো উঠে পড়তে,বৃহস্পতিবার পূজোটা দিয়ো, ঐ যে সাঝিটা সিঁড়ির মাঝে।
কি রে এখনো ঘুমোবি,শ্বশুর শ্বাশুড়ি বরটা কেমন হয়েছে একটু তো জানাবি?
খাটনিটা খুব বেড়েছে বল,আগে তো তাই কত বলতাম একটু তো বাড়ির কাজ কর।
পাকা কথা তো আগেই হয়েছিল,কি করি বল,
বোঝার আগেই তো চলে যেতে হোলো,
দেখ তোর বাবার একি কান্ড,বাসি ফুলগুলো না বুঝেই ডাস্টবিনে এসে ঢেলে দিল।
জামাই বরণ আর করা হোলো না,আক্ষেপ টা মনে রেখে বিদায় নিয়ে আসতে যে হোলো।
বেশ লাগছিলো নতুন বৌয়ের সাজে, ঝলমলে আর টাইরা টিকলি বেনারসির মাঝে।
দেখতে নেই তাই দেখিনি তোকে,সিঁদুর দানের পর, যখন মা বলে ডেকে উঠলি, তখনি দেখলাম এক ফাঁকে,
হাত দুই তুলে তোদের দুইজন কে দূর থেকে আশীর্বাদ দিলাম, মিটলো স্বাদ চোখের দেখা প্রাণটা জুড়োলাম।
আচ্ছা ছাড়,ও সব কথা,ঘরগুলো ঘুরে দেখি, ঐ দেখ পায়রা বেঁধেছে বাসা জানালায় একি,
কাজের মাসি রোজ আসেনা ঘর ভর্তি নোংরা দেখি,এঁটো বাসন কালি পড়েছে কিছুই কি বোলোনা নাকি?
বলার কেউ নেই আজ আর,সম্পর্কের ছেদ পড়েছে, পুরোনো সেই দিনের কথা আজও মনে আঁকড়ে আছে।
Comments
Post a Comment
always