Posts

B-114#সংশয়

Image
সংশয় কোনো একটা বাধা আমাকে সংশয়ে ঢেকে ফেলে, কোনো একটা সংশয় আমাকে ভয়ে পিছু টানে,  কেন  এ বাধা কেন এ সংশয় মন যেন চলে আজও দোলাটানে । মনের গভীরে সেই  অজানা কাহিনী একদিন মিলে সৃষ্টি হবে, সৃষ্টিটা হোলো নিজের জেদে সকলের কথা বলতে শেখাবে। বাধা হোলো তোমায় পিছু ডাকে, সংশয় এসে আরও জোরে যেন হাঁকে,  নিশ্চিত তোমায় এগুতে শেখাই, লক্ষ্য বলে ফিরে পেলে তাই । https://sadamata101.blogspot.com/2020/11/b-116.html

B-112 #চিন্তায় স্বপনে

Image
চিন্তায় স্বপনে নিশিরাতে ঘুম ভেঙে,কত কথা দেয় উঁকি, মা বলতেন ঘুমোসনি কেন খোকা,ভোর হতে এখন ও যে ঢের বাকি। দেখবি যা হয়তো স্বপন দেখেছিস, সারাদিন যত বকবকে মাতিস, যত  সব তোর অসম্পূর্ন কাজ, তাই নিয়েই তুই ঘুমেতে ভাবিস। আজও ঘুম ভাঙে,- মনে কোলাহল,অসম্পূর্ণ কত কাজ -চিত্ত বিহ্বল, মুখটি ঘুরায়ে যেই তাঁকে খুঁজি, বলে নিশ্চুপে এসে, কেন এ অহেতুক চিন্তার ঝাঁপি? স্বপনে - খোকা তুই সেটাই দেখিস, দিবাকালেও স্বপনে যেটা খুঁজিস, ইচ্ছেটাই হোলো আসল সত্য, ভাঙুক সে ঘুম স্বপ্নটা বাচুঁক।

B-111#শিশুকালের খেয়ালে, বয়সকালের দোলায় (শুভ সুমেধার অষ্টাদশ অধ্যায়)

Image
শিশুকালের খেয়ালে, বয়সকালের দোলায় (শুভ সুমেধার অষ্টাদশ অধ্যায়) ক্ষীরদা না থাকলে কোনির অস্তিত্ব কোথায়। একজন সাঁতারুর জীবনে তো কান্ডারি হয়ে ক্ষীরদাই এসেছিলেন, তা না হলে কোনি তো ভেসেই যেত তার অভাবের সংসার  ঠেকা দিতে দিতে । সাঁতারু হয়ে ভাসতে ভাসতেও যে একটা তীর  পাওয়া যায়, আর সেখান থেকেই যে একজন চ্যাম্পিয়ন  সাঁতারু হওয়া সম্ভব, বাস্তব পথটা যে  একটা লড়াই- “fight kony fight”, এটা তো অনেক বড় পাওয়া একজন পথপ্রদর্শক  হিসেবে ক্ষীরদার থেকে । শুধুই কি দেখে যাবো সুমি, মাধুর প্রতি কি  কোনো কর্তব্য নেই আমাদের? তাহলে কি শিখলাম বল, এটাই তো কোনি ক্ষীরদার থেকে পাওয়া একটা শিক্ষা । গরিবের সারাটা জীবনই তো প্রতিকূলতার মধ্যে লড়াই করে বেড়ে ওঠা,শুধুই অভাব,তাদের জীবনটাকে কি এভাবে বয়ে যেতে দেওয়া যায় সুমি? নিশ্চয় মাধুর মধ্যেও  সে স্বপ্ন আছে, ভয় টা কোথায় জানিস? সেটা অভাবের জীবনের তাড়নার ভয়, একটা দ্বন্দ্বের ভয়, যে আঘাত সে এত ছোটবেলায় পেয়েছে সেটা বুঝতেও সময় লাগবে ।একেবারে উপলব্ধিতে আনতে  মাধুর ঠিক কি প্রয়োজন জানিস  ক্ষীরদার মত একজন প্রশিক্ষক, আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে  সেটা পায়  না বলেই প্রায় সব মাধুর

B-110#মগজের সুখ দুঃখ

Image
                 মগজের সুখ দুঃখ  জীবনের সব আনন্দ গুলো ভাগ করে নেবো সবার সাথে, দুঃখ সে তো নিজের কাছেই, সে ভাগ রবে মনের কোণে। ভালো বলতে দোষটা কোথায়,একটু হলেও যে উৎসাহ পাই, কোথাও যেন হারিয়ে গেছে,দোটানায় মানুষ নিশ্চুপ তাই। মনের কাছে মনের দ্বন্দ্ব, এই বুঝি তাই,বেশ তো আছি, হাল্কা থেকে হাল্কা ভাববো,গভীরে গেলেই কটূক্তি যে পাই । কি দরকার বেশি মাখামাখি, ঘরকুনো হয়ে সত্যি আজ থাকি, মনের দ্বন্দ্ব সেটা তো লজেন্স, চুষে চুষে শুধু মাথাটা ভায়োলেন্স, বয়স হোলো আজ বেশ তো ভাবি, দ্বন্দ্ব ঘোঁচাতে দেখি, খুলি সব চাবি। চাবি গুলো সব মরচে ধরেছে, মাথার খুলিতে ব্যামো যে হয়েছে।

B-109#কিসমিস বুড়ি, পাকা বুড়ো খেজুর

Image
কিসমিস বুড়ি, পাকা বুড়ো খেজুর যৌবনে ছিলাম রসালো আঙ্গুর ,              তুমিও ছিলে সে কচি খেজুর,  আমার রস খেলেই বলতে,              আহাঃ কি মিষ্টি কি যে মধুর।  কচি খেজুরের কি যে সে কষ,             বিচি বেরোলো তাও নেই রস,  তোমার রসের তাড়ি খেয়েই,          হয়েছে মানুষ নেশায় আজ বশ। তুমি ছিলে সেই কোন নাসিকে,       আমি ও যে ছিলাম মেরু পেশোয়ার,  মাতাল করেছি সেই রসে আজও,        রসের জুড়িতে সে নেশা মেলা ভার।  ফেসবুকেতে আলাপ হোলো,                              টুইটারেতে প্রেম,  ইনস্টাগ্রামে দেখে বলি, ওমা !       তোমার ও তো এখন দারুন যে ফেম।  ছিলে সে দুশো, এখন বারোশো,                 কিসমিস হয়ে সবেতে যে মেশো, পেশোয়ার খেজুর সেও কিসে কম,                       দম কমলেই দম মারো দম। যাক চলো গিয়ে বিয়ে করি আজ,     খেজুরে কিসমিসে মাখামাখি কি যে সাজ,  কিছুই হোলো না দেখি,                        কোনো রস নেই বাকি , চেষ্টাটা বৃথাই করো,                যৌবনে কেন যে দিলে সে ফাঁকি।  বৃদ্ধ হয়েছি আজ শুধুই যে দাম পাই,                         আমি কিসমিস তুমি খেজু

B-108#একাকীত্ব জীবন

Image
একাকীত্ব জীবন জীবন যুদ্ধে কে হবে একা,             সময়ে হয়তো তা  জানাবে শেখা, যিনি চলে গেলেন কল্পনাতে,        স্মৃতিতে থাকবে যে পড়ে রবে একা । সকাল হলেই আমার পছন্দ,               কত খুনসুটি কত গালমন্দ, তখনও বুঝিনি একা হতে হবে,      চায়ের টেবিলে আজ পেয়ালাটা ফাঁকা। কত জল্পনা আগামী জীবনে,              মেটাতে পেরেছি ভুলিনি এখনো, মতের অমিল তখনও যে ছিল,   ঝালের দিনগুলো আজ মিষ্টি মনে হোলো। এইতো মাত্র কয়টা দিন,       কিছু স্মৃতি আছে জানি হবে না বিলীন, আগামী জন্মে আবারও এক হবো,                ঝাল গুলোকে মিষ্টি করে দেবো ।

B-107#দ্বিজ (বড়দিদি গল্পের অষ্টম পর্ব )

Image
দ্বিজ দুই বার যাহার জন্ম । মেয়েদের জন্ম দুই বার হয় এক পিতৃকূলে, আর দ্বিতীয় স্বামীকূলে । আমৃত্যু  এই পরিচয়ই বহন করে চলেন তাঁরা । শিশুকালে কন্যা অর্থাৎ বাবা মায়ের কাছে গৃহলক্ষী,  একটু যৌবন পেরোতে না পেরোতেই টুকটুকে বৌমা । তারপর গর্ভধারিনী মা, শ্বাশুড়ি, বৃদ্ধা তারপর সব শেষ । লিখতে লিখতে মনে হচ্ছে দুইবার নয় তিনবার জীবনে সে পর- অধীন । পিতৃকুল, স্বামীকুল, সন্তানের অধীনস্ত কুল । একটা যেন জীবনের রূপান্তরিত করণ, মস্তিষ্কের প্রতিমুহূর্তে বিকাশ । বিজ্ঞান প্রতিক্ষনে মস্তিষ্কের নানান দিক আমাদের জানিয়েছেন কি ভাবে কাজ করে । মনে হয় ভারতীয় নারীর মস্তিস্ক নিয়ে  যদি আগামীদিনে গবেষণা করেন  সেই শিশুকাল থেকে প্রৌঢ়া অব্দি,হয়তো অনেক তথ্য জানতে পারবেন । কারণ নারী মস্তিস্ক এমন এক অদ্ভুত ভাবনা চিন্তা নিয়ে এগোতে থাকেন যে প্রতিটা মুহূর্তে কালোপযোগী করে তোলেন তাদের কে নিজে থেকে এক অর্থে স্মার্ট হতে হবে প্রতিটা কুলের ক্ষনে । যেমন শিশু হলে কেমন আচরণ, নতুন বৌমা হলে কেমন ব্যস এই পর্যন্ত, পরবর্তী টা তাঁকে বলার কেউ থাকে না।কারোর ক্ষেত্রে তখন বয়স একুশ বা বড়জোর পঁ