B-123#BRAIN SCAN

BRAIN SCAN 
সবেতেই কিছু বোঝার আগেই একটা স্ক্যান হয়। যেমন ধরুন আপনার হাত বা পা ভেঙেছে সেখানে স্ক্যান না হলে ডাক্তারবাবু কি ভাবে বুঝবেন ঠিক আপনার কোন জায়গাটা ভাঙা পড়েছে। আপনার শরীরে ভিতরে কিছু হলেই সেখানেও এই স্ক্যানের প্রয়োজন। আচ্ছা কোনো মনোস্তাত্তিক ডাক্তারের কাছে গেলে উনি আপনার সাথে নানান প্রশ্ন করেন, আপনার কথার মধ্যে অসংগতি পেলে, সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর রোগীর প্রতি ট্রিটমেন্ট। এমন এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা জানলাম যিনি এযাবৎ চুরাশি  হাজার রোগীর স্ক্যান করেছেন  তবেই তিনি তাঁর ট্রিটমেন্ট শুরু করেন একেবারে নির্ভুল ভাবে। একথা জানাতে গিয়ে উনি বেশ কিছু উপমা দিলেন নিজের বাড়ির লোকের থেকে। andrew নামে একটি শিশু মাঝে মাঝেই তার বন্ধুকে বাস্কেট বল খেলার সময় সজোরে মাথায় আঘাত করে, একটা সময় শিশুটি সংজ্ঞা হারিয়ে যায় ও ঝগড়া বাঁধে তার বাড়ির লোকের সাথে সেটাই স্বাভাবিক।এই সেই andrew র আরেকটি দৃষ্টিকটু দৃষ্টান্ত চোখে ধরা পরে, বাচ্চাটি খুব ভালো আঁকে একদিন andrew তার কল্পনায় এমন এক ছবি আঁকে সেটি হোলো গলায় দড়ি দিয়ে সে ঝুলছে আর সেই ঝুলন্ত অবস্থায় সে হাতে বন্দুক  নিয়ে তার বন্ধুদের গুলি করছে। এমতাবস্থায় andrew র মস্তিষ্কের স্ক্যান করা হয় ও ধরা পরে একটা সিস্ট আছে ও তা অপারেশন করা হয়। এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জানান andrew এতটাই সুস্থ যে সে এখন সারাক্ষন ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করে এবং আঁকায় সে অত্যন্ত পারদর্শী। এহেন ডাক্তারের বেশ কিছু মতামত জানা গেলো, একজন খেলোয়াড়ের খেলার সাথে সাথে মস্তিষ্কের বিকাশ এতটাই উন্নত হয় যে সে সারাক্ষন জীবনের সমস্ত চিন্তাধারা বেশির ভাগটাই ঠিক পথে  চালিত করে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোনো ক্রিমিনাল বা মানসিক বিকার গ্রস্ত লোকেদের একমাত্র কথার দ্বারাই ঠিক করা সম্ভব বা প্রয়োজনে অল্পবিস্তর ট্রিটমেন্ট। তিনি আরো বলছেন দেখবেন কোনো বাচ্চা মাথায় চোট পেলে আমরা হয়তো সেটাকে তাচ্ছিলো বলে দূরে সরিয়ে রাখি কিন্তু বোঝার সহজ উপায় হোলো একই কথা সে বারেবারে বলতে থাকে  নিজের অজান্তেই,এতে মা বাবারা খুবই বিরক্ত হন তার প্রতি। অবশেষে হার মেনে সন্তানের প্রতি মমতা থেকে জড়িয়ে ধরেন তাঁকে আর সেই বাচ্চাটি আবারও করে ঘুরে ফিরে একই কথা বলে।উনি বলছেন এর থেকে একমাত্র নিজে নিজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব। তা হোলো বাচ্চাটিকে যে কোনো ধরণের ইনস্ট্রুমেন্টের সাথে সড়গড় করে তোলা বা সেখানে ভর্তি করে দেওয়া। হতে পারে সেটা মাউথ অর্গান, পিয়ানো,গিটার, বেহালা, বিশেষত যে শিক্ষায় তারের প্রয়োগ আছে। একটা খুবই সুন্দর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন উনি। বলছেন যে কোনো প্রকার ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহারে মস্তিষ্কের নিউরন গুলো সতেজ হয়ে ওঠে, শুধু তাই নয় যেহেতু একটা ক্রিয়েটিভিটি কাজ করে মনের মধ্যে বাজানোর সময় আরো কত সুন্দর করে বাজানো সম্ভব তাতে এক নিউরোন থেকে আরেকটা নিউরোনে সহজেই একটা ম্যাগনেটিক রিসোনেন্স স্থানান্তরিত হয় খুব সহজেই ও আসতে আসতে মস্তিষ্কের সমস্ত নিউরনের একটা স্থিতিশীল পরিবর্তন হয় খুব অল্প দিনের মধ্যেই।
বেশ কিছুকাল আগে আমারই ব্লগে “মাস্টারমশাই” নিয়ে একটা বিস্তারিত লেখা আছে উনার থেকে জানা একটা ঘটনা বলি। আপনারা প্রয়োজনে নিচের এই লিংকটিতে গেলে বা ক্লিক করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন তাঁর  সম্বন্ধে। উনি নিজেও একজন কৃতিবান ডাক্তার থেকে কোনো অংশেই কম নন।
   বাস্তব প্রসঙ্গে আসা যাক, একটি বাচ্চা প্রতিবছর অঙ্কতে ফেল করে, প্রায় তিন  বছর।  স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন বাচ্চাটিকে টিসি দিয়ে দেবেন। এতে অভিভাবক এতই দুঃখ পান,  ছুটে আসেন এই সেই মাস্টারমশায়ের কাছে।ঘটনাটা বলছি আজ থেকে প্রায় বহু বছর আগের কথা এটা উনি আমাদের জানান কোথাও যেন ডাক্তারের কথার সাথে মিল খুঁজে পেলাম। বাচ্চাটি মাস্টারমশাইয়ের কাছে আসতেই ইতিবৃত্তান্ত জেনে উনি পরামর্শ দেন একটা বছর কোনো পড়াশুনো নয়, বাচ্চাটিকে তালিম দেবেন হারমোনিয়ামের,ব্যস এটাই হবে আগামী দিনের একবছরের শিক্ষা। মা বাবা তা শুনে তো অবাক,এলাম বাচ্চাকে অঙ্ক পড়া করাতে আর মাস্টারমশায় বলছেন কিনা হারমোনিয়াম কিনে দিতে। যাক কথা না ফেলে বেশ কিছুদিন পর উনি এলেন বাচ্চা ও হারমোনিয়াম নিয়ে। বাচ্চাটির তো বেশ খুশি সেও বসে পড়লো হারমোনিয়াম শিখতে। তার  আগ্রহ দিন কে দিন বেড়েই চললো, সে তখন নিজের মতো করে সুর সৃষ্টি করে ও সেটা করেই মাস্টারমশাই কে শোনায় । এরপরই মাস্টারমশাই বোঝেন তাঁর ছাত্র তৈরী। সে যখন গানের সাতটা সুর ধরে ফেলেছে সেক্ষেত্রে এই এলগোরিদম বুঝতে বিন্দুমাত্র অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। যেমন কাজ তেমনই ফল। আজ বাচ্চাটি WBCS এর  A GRADE অফিসার। ডাক্তার বাবুর কথায় এতটা মিল খুঁজে পেলাম উনিও তো সেই একই কথা বলছেন (এলগোরিদম হোলো যেমন ধরুন 1,2,3 আবারও ঘুরিয়ে 3,2,1 অনেকটা সেরকম)।

Comments

sadamata101.blogspot.com

B-47#বিশ্বকর্মা_পূজো

সন্তোষ ঢাকি

B-71#GANESH_PRASADAM. ( গনেশজির ভোগ নিবেদন মোদক ও পূরণ পুলি)