Posts

B-103#সমন

Image
সমন কি অদ্ভুত এই সমন প্রথা,                এ যেন পাড়ার চমকানো দাদা, যে যাকে পারেন ফর্দ পাঠান,                  সঙ্গে মোটা অঙ্ক জুড়ে দেন । সে দিন আর বেশি দেরি নয়,               মুখিয়া আসিয়া সভাসদে কয়, আমার বিধান শোনো মন দিয়া,              নহিলে দেশ ছাড়ো এখুনি গিয়া । বিংশ শতকের পারিষদ কয়,           এত যেন দাসপ্রথা আর কিছু নয়, মুখিয়া আসিয়া বলেন শোনো হে বাপু,     আমার সে ক্ষমতা আছে তাই তুমি কাবু। অধিকার পাইয়াছি বহুকাল পরে,         তাই তো জি হুজুর করো আজন্ম ধরে।

B-102#ছোটন

Image
স্কুল ফিরতি এক সাদামাটা  মেয়ে,          বাড়ি না এসে মাঠে চড়তো গিয়ে, কি যে সে শুধুই খুঁজে বেড়াতো,             গুটি গুটি পায়ে  ফড়িং ধরতো । দুটো লেজ সে বাঁধতো কষে,             মাঝে সে সুতোয় জুড়তো নিমেষে,  রাজা ফড়িং আর রানী ফড়িং,            বাঁধা পড়তো তারাও সাতপাকেতে। এই ছিল সেই ছোট্ট মেয়ের  চাওয়া,           স্বপ্নেও উড়তো সে সারাদিনের পাওয়া, মাঝ বয়সে সে নিজেও উড়ে গেলো,                ফড়িং হয়েই যেন শুন্যে পাড়ি দিল। কত যে সুখস্মৃতি কেটেছে একসাথে,            পুতুলের ঘটা বিয়ে আজও মনে আছে, সে আমার ছোটো বোন,সাদামাটা ছিল মন,          অনেক অজানা স্বপ্ন নিয়ে কবেই,                 যে হারালো স্মৃতিতে ছোট্ট ছোটন ।          

B-101# দিদিফোঁটা

  দিদিফোঁটা  ভায়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,           হারিয়ে গেছে সেই চেনা ছবিটা  উপোসি দিদির মিষ্টির থালা,           বাড়িয়ে দিত কত শুভ ইচ্ছার বারতা। যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা ,               দিদি নেই আজ শুধু স্মৃতিতে আটা । দিদির কপালে পড়লো কাঁটা                যম বুঝি ভায়া নিচ্ছেন দিদি ফোঁটা । অকালে নিলে কি করে বিধাতা,         মনে পড়ে আজও এতকালের কথা । দিদি তুই কত দিয়েছিস ফোঁটা,       এবছরে ভাই ছবিতে দিল দিদিফোঁটা ।                   

B-100#নকল কেল্লা

Image
নকল কেল্লা  শক্তি কোথায় পাও অর্ণব, তুমিই তো হলে দেশের জব চার্ণক। দুষ্টেরে আজ কিছু তো বলো, বাঁশের চেয়ে আজ মিথ্যে কেন দর। সত্যের হোক জয়, দুষ্টের  হোক শুধু  আজ ক্ষয়। শিশুপাল সে তো এবারে কাঁপবে,   কৃষ্ণ যে আজ লীলায় ঝাঁপ দেবে । হায়রে দুর্বল, শুধু ক্ষমতা রে করো বল, মিথ্যেরে শুধু রটনা করো, ফানুস হয়ে তুমি কেল্লো গড়।

B-99# পিতৃহারা মাধু (শুভ ও সুমেধার সপ্তদশ অধ্যায়)

Image
পিতৃহারা মাধু (শুভ ও সুমেধার সপ্তদশ অধ্যায়) মাধু ও তার ভাই এই নিয়ে তাদের অনিশ্চিতের  পরবর্তী জীবন শুরু। কতোটুকুই  বা তাদের বয়স যেখানে ভালোবাসা চলে যায় সেখানে ছিবড়ে হয়ে পড়ে থাকা ছাড়া আর কি উপায় আছে। মা বাবার ভালোবাসা,স্নেহ, আদর থেকে তো কবেই বঞ্চিত ছিল তারা দুই ভাই বোন। অনেকটা আখের লাঠির মত তাদের জীবনটাকে  পিষতে পিষতে জীবনের বেঁচে থাকার রস টাও ছিনিয়ে নিয়েছে পরিস্থিতি। এখন তারা ছিবড়ে হয়ে বসে আছে বাবার ট্রেনে কাটা পড়া দুটুকরো হওয়া দেহটার পাশে। মাধু কখনো স্বাভাবিক আবার কখনো কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে এক কোণে। ভারী অদ্ভুত লাগলো এই হেদুয়াকে দেখে, মাধুর কাছে কত শুনেছি ওর কথা পোষ্য বলেই হয়তো সব পরিস্থিতি ও বোঝে। আপোস করে চুপ করে বসে আছে মাধুর পাশে একেবারে মুখটা মাটির সাথে টান টান করে শুয়ে শেষ যাত্রায় সে ও হয়তো সামিল হয়েছে।      ন কাকিমা, গাড়িতে বসে কি লিখে চলেছো? নিশ্চয় মাধুর সম্বন্ধে। জানো এই তো কটা দিনের আলাপ তারমধ্যে তার ভালোবাসা, উচ্ছাস, আনন্দ ছোটো ছোটো ব্যাপারে মাতামাতি বাড়িতে কান ঝালাপালা হয়ে উঠতো। মলি বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই ও হয়ে উঠেছিল

B-98 #লক্ষীর ঘর

Image
লক্ষীর ঘর  জীবনে বেশ কিছু কিছু হাসির  অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার করতে ইচ্ছে করে, তাই  দুটো বাস্তব কাহিনীকে ঘিরে আমার এই লেখা  ATM । সালটা 2018,ভেলোরে গেছি ঠিক দুর্গোপুজোর ষষ্ঠীর দিন পৌঁছয়। উদ্দেশ্য একটাই দিদিকে দেখতে যাওয়া। দিদির সবে সবে ক্যান্সার ধরা পড়েছে গলায় তাই সে ও দাদা বিগত প্রায় পাঁচ মাস সেখানে আছেন একটি বাসা ভাড়া করে। আমি ও আমার পরিবার অর্থাৎ আমরা তিনজন তাই সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। এমনিতেই মনটা ভারী কষ্টে কেটেছিল সে বছর দুর্গোপূজোর সময়টা। দিদিরা থাকতেন Christian Medical College অর্থাৎ CMC  থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাগায়াম বলে একটি জায়গায়। যে কটা দিন ছিলাম দিদিকে নিয়ে সেই সকালে চলে যেতাম ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যেত। বাড়িতে এসে কোনো কাজ না থাকাতে বেড়িয়ে পড়তাম সান্ধ্য ভ্রমণে একটু অশান্ত মন কে শান্ত করতে,আবার কখনো বা সেখানেই কাছাকাছি একটা গণেশ মন্দিরে ইষ্টদেবতা ভেট ও প্রণাম করতে। জানতাম কিছু লাভ নেই তাও আর কি যদি কোনো মিরাকেল হয়।                                       রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একদিন কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র  ATM খুঁজতে। বহুক্ষণ খোঁজার পর অবশেষে পাওয়া গেলো বাই

B-97#প্রকারান্তে হাসতে ভুলে গেছি

Image
প্রকারান্তে  হাসতে ভুলে গেছি দরিদ্রের আবরণ নেই, তোষণের মাত্রা নেই, অভাবীর অভাবের অন্ত নেই, জ্ঞানীর মূল্যায়ন নেই, শিক্ষকের লাঞ্ছনার শেষ নেই, শ্রমিকের শ্রমের মূল্য নেই, বোধ গুলো নির্বোধ বলেই,বধির  হয়েছি, প্রকারান্তে  তাই হাসতেই  ভুলে গেছি। লক্ষ্যস্থির ব্যক্তির সামান্যতম উৎসাহের ভাঁটা পড়েছে,  অন্যায়ের প্রশ্রয়ে অন্যায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, কেউ অর্থে বিক্রি হচ্ছে, আবার কেউ বা পকেট ভরছে, সর্বোচ্চ শিখরে শুধুই আসন গুলো সংরক্ষণের মুনাফা লুটছে, সংবিধানে ধারা আছে কিন্তু নাড়া নেই,সুবিচারের জায়গাটা ভোঁতা হয়েছে, বিধান আছে কিন্তু বলার সাহসও নেই, সেটুকুও পাষণ্ড গুলো কেঁড়ে নিয়েছে, চুপ করে হজম, আর একান্তে উগলে তাই, বাকরুদ্ধ কাপুরুষ হয়েছি ভাই, প্রকারান্তে তাই হাসতেই ভুলে গেছি। খুনিকে তোয়াজ করতে, গুন্ডাকে সেলাম ঝুঁকাতে, ধর্ষিতাকে দোষারোপ করতে, মাদকাসক্ত কে মাথায় করে নাচতে, প্রশাসন কে অন্যায়ের কুর্নিশ করতে করতে, প্রতিনিয়ত ক্লান্ত হয়েছি, প্রকারান্তে তাই হাসতে ভুলে গেছি। https://sadamata101.blogspot.com/2020/11/b-109.html