Posts

Showing posts with the label FEELINGS

B-56#সুলেমান ও সঞ্চারী (শুভ সুমেধার দ্বাদশ অধ্যায়)

Image
সুলেমান ও সঞ্চারী (শুভ সুমেধার দ্বাদশ অধ্যায়)  ন কাকিমা আজ  এই প্রথম গল্প লিখছি, শুভর ছোটবেলাকার একেবারে বাল্যকালের বন্ধু সুলেমানের কাহিনী। পড়ে দেখো তো ঠিক হয়েছে নাকি লেখাটা? তবেই আমি ব্লগে দেবো, এই প্রথম আমার লেখা, তাই তোমায় না দেখিয়ে  পোষ্ট করবো না। সুলেমান আজ আর নেই, গতবছর সে এই দুনিয়া থেকে ছেড়ে চলে গেছে।                  শুভ এই শুভ,(খুব গভীর রাতে  জানালায় ঠক ঠক শব্দ আর ফিস ফিস গলার স্বর) জানালাটা খুলবি, এখন রাত সাড়ে তিনটে বাজে,  একটা জরুরি কথা আছে, জানালাটা খুলবি? খোল না রে আমি দেখ খুব দরকার তাই এসেছি, একটা উপকার করতে হবে, একটা জিনিস নিয়ে এসেছি তোকে দেবো বলে, আসলে তোর মারফৎ পাঠাবো বলে, খোল না শুভ, দেখ ভোর হয়ে গেছে, রাস্তায় লোকজন হাঁটতে বেরিয়ে গেছে। ওরে মা রে, কাকু আমি চোর নই কেন ঢিল টা মারছেন। আরে আমি আমার বন্ধুকে জানালা দিয়ে ডাকতে এসেছি, হাঁটতে যাবো বলে। এই যে মশায় শুনুন কি ভেবেছেন টা কি আধলা ইটটা ছুঁড়ে পায়ে মারলেন। কি বে শালা উঠবি নাকি আমায় যে মারছে ওরা ওঠ আমায় বাঁচা। আমি হাঁটতে পারছি না উফফ ।               কি রে এতো রাতে চেঁচাচ্ছিস কেন, কি হয়েছে? কে তোর গ

B-46#বৌ_ভাত(বড়দি গল্পের তৃতীয় অধ্যায়)

Image
বৌ ভাত (বড়দি গল্পের তৃতীয় অধ্যায়) আজ বড়দির বৌভাত, প্রায় ভোর বেলার থেকেই গ্রামের নানান লোকের আনাগোনা বাড়িতে। সারাটা গ্রামের লোক জড়ো হয়েছে একই বাড়িতে, এযেন তাদের বাড়ির বৌভাত, প্রত্যেকে ব্যস্ত, কেউ সবজি আনছে ক্ষেতের থেকে আবার কিছুলোক ব্যস্ত পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ওঠাতে। ছোটো মাছ হলে আবার ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে পুকুরে, এক একটা মাছ নয় নয় করে পাঁচ কিলোর উপরে।  কচি পাঠার সারি দাঁড়িয়ে একেক করে। কিন্তুবৃষ্টি অঝোরে হয়েই চলেছে সে থামার নাম নেই। ভোর বেলায় টিপটিপ করে, বেলা বাড়তেই আরো জোরে হয়েই চলেছে। সারাটা গ্রাম জলে থৈ থৈ, কোনটা রাস্তা কোনটা পুকুর বোঝার উপায় নাই। সকালের দিকে পেটটাও গুড় গুড় করছে, একবার ভাবছি যাবো, পরক্ষনেই ভাবছি না। গতকাল রাতেই দেখে এসেছি সে বাথরুমের অবস্থা। তিনটে দিক কোনোভাবে ঢাকা শুধু ঢোকার জায়গাটা একটা পর্দা দেওয়া আর একটা কাঠের দরোজা, শুধু ফ্রেম টুকুই আছে বাদ বাকিটা ফাঁকা, তাকে আটকাচ্ছে ঐ ঝুলন্ত পর্দা যা হয়তো এতকাল আঁটকেছে, এখন আর সম্ভব নয়,কারণ বৃষ্টির জলে সেও চুপসে দলা পাকিয়ে কাঠের ফ্রেমের এক পাশে আঁটোসাঁটো একটা দড়ি হয়ে ঝুলছে। যাক সে ইচ্ছেয় ইতি টেনে,

B-45#বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ)

Image
বিয়ের প্রস্তুতি(বড়দির গল্পের দ্বিতীয় ভাগ) বিয়ের ঠিক সাতদিন আগে, দিদির শ্বশুরমশায় কিছু বলা নেই কওয়া নেই স্বশরীরে এসে হাজির হলেন। বাবাও অবাক, মনে মনে ভাবলেন কি জানি কোনো দাবিদাওয়া আছে নাকি তাই হয়তো এসেছেন,একেবারেই না জানিয়ে । উনি এলেন গ্রামেরই এক সম্পর্কের আত্মীয়কে নিয়ে সোজা হাওড়া থেকে ট্যাক্সি করে।  গাড়ি থেকে যখনই নামলেন, পরনে হাঁটুর উপরে ধুতি, সাদা ফতুয়া, খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, এক ভদ্রলোক,পায়ে কোনোরকমের জুতো বা চটি  নেই। আমি উনাকে রাস্তার মোড় থেকে আনতে গেলাম, বাবা নিজেও করজোড়ে প্রণাম করলেন ও ঘরে ডেকে এনে বসালেন। বেশ অবাক দৃষ্টিতে উনি সমস্ত ঘর গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। একটা সময় বাবার পাশে গিয়ে বসলেন, আর বাবার হাত দুটো ধরে কেঁদেই ফেললেন, মুখে একটাই কথা “ বাবু গো পারবে কি? এতো শিক্ষিত, তাও আবার কলকাতার মেয়ে , আমাদের মত একেবারে আটপৌরে জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে, তা সম্ভব নয়। গ্রামের বৌ হয়ে থাকা? খোকাকে কত বললাম, ওসব আমাদের গ্রামের লোকেদের  মানায় না, গ্রামে কি মেয়ের অভাব ছিল, ঐ তো পইড়া বাবু, মাইতিবাবু তারা তো অস্থির মেয়ে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কে কার কথা শোনে “। বাবা তো  না পের

B-42#চার অধ্যায়

Image
চার অধ্যায়  সাজানো বাগান শুকিয়ে গেছে, রইলাম মোরা দুই,  কত সে প্রবল ভালোবাসা ছিল, কত খুনসুটি, আজ সে কই?  মনে পড়ে সেই শিশুকাল কথা, ভাগ করে নিতাম যত মাথাব্যথা,  ভাগের ঘরে টান পড়েছে, একে একে সবই হারাতে বসেছে।  তবু ভাবি আজ আছি দুই জন, কে যে হবে একা জানেনা এ মন, জীবন যুদ্ধে শুধু সংগ্রাম করি,  দিনের শেষে যে কি বিষাদে মরি।   ঠাঁই কি হবে আরো কিছুদিন, বাকি দুই অধ্যায় পাবে কি সুদিন,  ভালো কিছু তো সবেতেই ভাবি, শেষে কেন শুধু ইতিতেই এ ছবি?

B-36 #স্মৃতি

Image
                 স্মৃতি বলতে চেয়েছিলো সে যে অনেক কথা, বধির মুখ ও যে আটকেছিলো, সে  ভীষণ ব্যাথা। শেষ বার দিদি বলেছিলো ভাই, ভারী সুন্দর আজ লাগছে,তোকে পেয়ে তাই। ছোটবেলার তোর মাথায় কালো টিপ, গরুর গুঁতা খেয়ে ভয়ে সে যে আমিও দিকবিদিক। তিন বোনের পর এক যে ভাই আছে , বহু সাধনায় মাও পেয়েছিলেন,যে তাকে পাছে। আজ সুপ্রভাতটা ফাঁকি যে গেলো দিদি,  ডাক দিয়ে গেলো কোন সকালে একি, বসে শুধু আজ তাঁরই  স্মৃতিতে,  হারিয়ে যাওয়া সেই তিথি গুলোতে।  09.06.2020

B-34#স্মৃতি চারণা (শুভ সুমেধার দশম পর্ব)

Image
                  স্মৃতি চারণা দেখো সুমি,মলি এই তো সেদিন হোলো,দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেলো । আজও মনে পড়ে হসপিটালে অপারেশন থিয়েটারের সামনে  অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম বাইরে, কি জানি কি খবর আসবে  ছেলে না মেয়ে। নার্স ডেকে পাঠালো, ডাক্তার এগিয়ে এসে বললেন মেয়ে হয়েছে, সে কি আনন্দ মনে মনে। মনকে বললাম “আচ্ছা শুভবাবু বুঝলেন আপনি বাবা হয়েছেন”, মুহর্তে কিছুটা হলেও মনে মনে বিষম খেয়ে, আয়া মাসি আমায় আবদার করে বললেন মেয়ের মুখ দেখাতে পারি, কিন্ত খুশি না করলে তো দেখানো যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট বার করে দেখাতেই প্রথম দেখলাম মেয়েকে, কি যে সে অনুভূতি বাবা হয়ে, একেবারেই সেকেন্ডে বাবা হয়ে কত স্বপ্নের জাল মুহূর্তে বুনতে শুরু করলাম। একেবারে শরতের আকাশে খন্ড খন্ড  পেঁজা তুলার মত সেদিন মেয়ের আগামী জীবনের চলার পথের সিঁড়ি মনে মনে বানিয়ে ফেলেছিলাম। আয়া মাসি এসে বললেন,মেয়ের জন্য জামা কিনে নিয়ে আসুন সুতির কিনবেন, কিনতে গিয়ে সে কি আনন্দ এই আমার টাকায় মেয়ের প্রথম কাপড়, কেউ দেখে বললো মায়ের মত, আবার কেউ বললো বাপের মত, আবার অনেকে বললো টাকলা হবে নাকি, মাথায় ত