Posts

B-140#মন

Image
মন মন তুই কোথায় রে ,                            কত  বড় হয়ে গেছিস বল , ছোটো কালে তুই অমন তো ছিলিস না ,   কত ঘুরে  ঘুরে  বলতিস, ইচ্ছের সাথে চল । এখন কেন পারিস না রে মন ,                                   আগের মত ভাবতে , সংসারের চাপে আছিস ,                          দেরাজ মনকে  পারিসনি,   আজও  কেন  বোঝাতে! মন তোর মনে পড়ে?                            খেলনা বাটি খেলতিস , পেয়ারা পাতায়  শাক   বানিয়ে,             গিন্নিপনায় মিছিমিছি রান্না করতিস । ছোড়দি , বড়দি সবাইকে নিয়ে,                        ডাংগুলি আর চালতার টক , দুপুর হলে কথাই নেই,                          ভায়ের সাথে যত বকবক । এখন বুঝি ভাবিস না ,                         কে যেন তোকে আটকায় , পুরোনো কথা ধরে আছিস ,                      সেটাই তোকে আগে ভাবায় । মন বুঝেছি এতদিনে ,           তোর মেয়ের মনে তুই ফিরে যেতে চাস , ওটাই যে তোর ভালোলাগা ছিল ,                 নিজের কাছে তা

B-139#অভিনয়

Image
অভিনয় সবেতেই অভিনয়  - কেউ কথায়, আবার কেউ বা ব্যথায় , এমন এক রহস্য জাল, বোঝা   শুধুই দায় । অতিরঞ্জিতর অতিরিক্ত মাত্রায় আপোস করা, সেও অভিনয় , অভিনেতা হয়তো পর্দায় শেখে , কিন্ত তালিম টা শেখে পারিপার্শ্বিক দেখে । সহজাত করেছে জীবনের ছন্দে , তাই বা হয়তো ঘেঁষে না কো নো   দ্বন্দে , হেসে খেলে বেড়াবো সেটাও অভিনয় , বুঝতে দোবো না  শ ঙ্কাই , তাই গোচরে  হয়  ভয় ।   আবরণের কতই   প্রলেপ , একেকটা প্রলেপে আছে কেবলই   মিথ্যের আক্ষেপ , ঠকানো  আদৌ   অভিনয় নয় , ভালো কথা বলা   শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় । ও ব্যাটা দুঃখী কেউ ঘেসো না , সাদামাটাতে ভালো কথা বলে পারলে মিশো না , প্যানপ্যানানি জ্ঞানের কথা    সবাই তো বলে, তাই আজকাল শুনি না । রঙিন দুনিয়ার ছবি সবাই দেখে , তাই সাদাকালো ছবি আজকাল মনে ধরে না , অভিনয় শিখে রপ্ত করেছি , সত্যি কে মিথ্যে বলে পাল্টাতে পেরেছি , তাই কোনোকিছুই গায়ে মাখিনা । বেশ তো ভালো আছি , খাচ্ছি দাচ্ছি নাকে তেল দেই না , তাও নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছি , মজার এই জগৎ টায় 

B-138#সংগ্রাম সাফল্য

Image
সংগ্রাম সাফল্য সংগ্রাম , কিছু না পেয়েও                         কল্পনায় পাওয়ার প্রচেষ্টা , সাফল্য তাই চুপিসারে এগিয়ে চলে,                      মেটাই প্রাণের  আকুল  তেষ্টা । সংকল্প এক ভারী চমৎকার,            মনের সন্তর্পনে গুটিয়ে  চেষ্টার  প্রকাশ , কত বাধা কত বিপত্তি পেরোলেই যেন                    ছুঁড়ে দেয় সে  আনন্দের  আভাস । হার মানে না কোনোখানেই                      আরেকটু না হয় এগিয়ে চলি , কিছু না এগোলে হার তো আছেই ,                        মন তোরে কেন হারতে বলি । লক্ষ্যটা হয় বড্ড কঠিন ,                   বাধা আসে যত, সংকল্প হয় ক্ষীণ , শিকড়ের মাত্রা যাঁর অনেক গভীরে ,      বাঁশগাছ হয়ে তিনিই থাকেন সবার উপরে ।        

B-137# ঠাকুরদিদি ও আমার প্রথম বেনারস যাত্রা

Image
ঠাকুরদিদি ও আমার প্রথম বেনারস যাত্রা ঠাকুরদিদি নাম টা আসলেই যে নামটা প্রথম আমার মনে পড়ে    সে হোলো আমারই ঠাকুরদাদা , ঠাকুরদিদির স্বামী স্বর্গীয় যামিনীরঞ্জন সেন যাঁর খ্যাতি ও জীবনের চরম শীর্ষে পৌঁছনো আর সেখান থেকেই আমাদের এই সেন বংশের অনেকটাই পরিচিতি । এই যামিনী সেন ছিলেন তখনকার দিনে এম এ ইকোনকিক্স এ, পাশ করেছিলেন হিজলি জেল থেকে বর্তমানে যেটা মেদিনীপুরে।   একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন লবন আন্দোলনে গান্ধীজির সাথে , তাঁর বহু ঘটনা বাবার মুখে শোনা । শুধুই তাঁর সম্বন্ধে এতটুকুই মনে পড়ে    যেদিন চলে গেলেন আকাশবানীর বেতারে   করুন বেহালার সুরটা সারাদিন বেজেছিল আর ভাষ্যপাঠ তাঁরই জীবন কাহিনী রেডিওতে । সিপিএমের একনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী   সে আর কেউ নয় আমারই ঠাকুরদাদা , বাবার নিজের কাকা । কেওড়াতলা মহাস্মশানে যে মানুষটা সেদিন ছায়ার মতন ছিলেন তাঁরই মরদেহের  পাশে তিনি পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু । বর্তমান যামিনী সেনের ভিটে হা

B-136#গ্রন্থের সাথে গ্রন্থির মেল

Image
গ্রন্থের সাথে গ্রন্থির মেল   গ্রন্থের সাথে গ্রন্থির মেল, মেলাতে যিনি পারেন,             পুঁ থিতে দিজ্ঞজ তিনি থাকেন শিখরে । জ্ঞানের ভান্ডার তাই বিকশিত মন ,            প্রতিক্ষনে পাই তাঁকে নির্লিপ্ত একজন । একান্তে চুপিসারে কিছু তো ভাবায় ,             মিতভাষী বলে মন কাছে যেতে চায়  । সরলতা আছে মনে , দৃষ্টি প্রখর ,                পেশায়  শিক্ষক তিনি অপূর্ব রতন । নিষ্কাম মন তাঁর , নেই প্রতিপত্তি ,   জ্ঞানের শিখায় তাঁর   আছে পরিকল্পিত যুক্তি । চেষ্টার বিরাম নেই , পেলে মনের ছাত্র , জীবন থেকে শেখা সঞ্চয় , উজাড় করেন পাত্র ।   অভাব সে তো সংসারেতে , মনের কাছে নয়,   এমন শিক্ষক আজও আছেন ,                              তাই মননেও   সংশয় ।                

B-135#রাস্তাঘাটের রোজ নামচা

Image
রাস্তাঘাটের রোজ নামচা   সেদিন মাদার ডেয়ারি বুথের এক লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি , বেশ কিছু কথা কানে ভেসে এলো দুই বন্ধুর  ।  তাঁদের বয়স বোধকরি আমারই বয়সী ঐ পঞ্চাশ বা তার একটু বেশি । কানপেতে অবাক হয়ে শুনছিলাম আর মনে মনে হাসছিলাম । আজকাল হাসার একটা সুবিধে আছে যেহেতু মাস্ক পরা থাকে তাই পেছনের লোকের বোঝার উপায় নেই ।              এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে , আচ্ছা আজকাল দিনগুলো কেমন যেন পাল্টে গেছে ছেলেরা বাবার পকেট থেকে  চুরি করে না  তে মন । আমাদের সময়ে আমরা কত করতাম বাবার মানিব্যাগ থেকে আটআনা, এক টাকার আধুলি হামেশাই চুরি করতাম, কারণ একটাই সিগারেট বিড়ি খেতে হবে । তবে খেতাম কিন্তু অনেক দূরে গিয়ে মাঠের এককোনায়, একটা সিগারেট চারজন ভাগ করে । সেটা শেষ হলে পেয়ারা পাতা চিবোনো , না হয় কোলগেট দিয়ে মুখ ধুয়ে বাড়ি ঢুকতাম ।              শুনে বেশ অবাক হয়ে ঘুরে দেখলাম আর মনে মনে হাসলাম , কোনো উত্তরই দিই নি ভাবলাম এত আমারই কথা, টপিক্স টা কিন্তু জম্পে