Posts

B-110#মগজের সুখ দুঃখ

Image
                 মগজের সুখ দুঃখ  জীবনের সব আনন্দ গুলো ভাগ করে নেবো সবার সাথে, দুঃখ সে তো নিজের কাছেই, সে ভাগ রবে মনের কোণে। ভালো বলতে দোষটা কোথায়,একটু হলেও যে উৎসাহ পাই, কোথাও যেন হারিয়ে গেছে,দোটানায় মানুষ নিশ্চুপ তাই। মনের কাছে মনের দ্বন্দ্ব, এই বুঝি তাই,বেশ তো আছি, হাল্কা থেকে হাল্কা ভাববো,গভীরে গেলেই কটূক্তি যে পাই । কি দরকার বেশি মাখামাখি, ঘরকুনো হয়ে সত্যি আজ থাকি, মনের দ্বন্দ্ব সেটা তো লজেন্স, চুষে চুষে শুধু মাথাটা ভায়োলেন্স, বয়স হোলো আজ বেশ তো ভাবি, দ্বন্দ্ব ঘোঁচাতে দেখি, খুলি সব চাবি। চাবি গুলো সব মরচে ধরেছে, মাথার খুলিতে ব্যামো যে হয়েছে।

B-109#কিসমিস বুড়ি, পাকা বুড়ো খেজুর

Image
কিসমিস বুড়ি, পাকা বুড়ো খেজুর যৌবনে ছিলাম রসালো আঙ্গুর ,              তুমিও ছিলে সে কচি খেজুর,  আমার রস খেলেই বলতে,              আহাঃ কি মিষ্টি কি যে মধুর।  কচি খেজুরের কি যে সে কষ,             বিচি বেরোলো তাও নেই রস,  তোমার রসের তাড়ি খেয়েই,          হয়েছে মানুষ নেশায় আজ বশ। তুমি ছিলে সেই কোন নাসিকে,       আমি ও যে ছিলাম মেরু পেশোয়ার,  মাতাল করেছি সেই রসে আজও,        রসের জুড়িতে সে নেশা মেলা ভার।  ফেসবুকেতে আলাপ হোলো,                              টুইটারেতে প্রেম,  ইনস্টাগ্রামে দেখে বলি, ওমা !       তোমার ও তো এখন দারুন যে ফেম।  ছিলে সে দুশো, এখন বারোশো,                 কিসমিস হয়ে সবেতে যে মেশো, পেশোয়ার খেজুর সেও কিসে কম,                       দম কমলেই দম মারো দম। যাক চলো গিয়ে বিয়ে করি আজ,     খেজুরে কিসমিসে মাখামাখি কি যে সাজ,  কিছুই হোলো না দেখি,                        কোনো রস নেই বাকি , চেষ্টাটা বৃথাই করো,                যৌবনে কেন যে দিলে সে ফাঁকি।  বৃদ্ধ হয়েছি আজ শুধুই যে দাম পাই,                         আমি কিসমিস তুমি খেজু

B-108#একাকীত্ব জীবন

Image
একাকীত্ব জীবন জীবন যুদ্ধে কে হবে একা,             সময়ে হয়তো তা  জানাবে শেখা, যিনি চলে গেলেন কল্পনাতে,        স্মৃতিতে থাকবে যে পড়ে রবে একা । সকাল হলেই আমার পছন্দ,               কত খুনসুটি কত গালমন্দ, তখনও বুঝিনি একা হতে হবে,      চায়ের টেবিলে আজ পেয়ালাটা ফাঁকা। কত জল্পনা আগামী জীবনে,              মেটাতে পেরেছি ভুলিনি এখনো, মতের অমিল তখনও যে ছিল,   ঝালের দিনগুলো আজ মিষ্টি মনে হোলো। এইতো মাত্র কয়টা দিন,       কিছু স্মৃতি আছে জানি হবে না বিলীন, আগামী জন্মে আবারও এক হবো,                ঝাল গুলোকে মিষ্টি করে দেবো ।

B-107#দ্বিজ (বড়দিদি গল্পের অষ্টম পর্ব )

Image
দ্বিজ দুই বার যাহার জন্ম । মেয়েদের জন্ম দুই বার হয় এক পিতৃকূলে, আর দ্বিতীয় স্বামীকূলে । আমৃত্যু  এই পরিচয়ই বহন করে চলেন তাঁরা । শিশুকালে কন্যা অর্থাৎ বাবা মায়ের কাছে গৃহলক্ষী,  একটু যৌবন পেরোতে না পেরোতেই টুকটুকে বৌমা । তারপর গর্ভধারিনী মা, শ্বাশুড়ি, বৃদ্ধা তারপর সব শেষ । লিখতে লিখতে মনে হচ্ছে দুইবার নয় তিনবার জীবনে সে পর- অধীন । পিতৃকুল, স্বামীকুল, সন্তানের অধীনস্ত কুল । একটা যেন জীবনের রূপান্তরিত করণ, মস্তিষ্কের প্রতিমুহূর্তে বিকাশ । বিজ্ঞান প্রতিক্ষনে মস্তিষ্কের নানান দিক আমাদের জানিয়েছেন কি ভাবে কাজ করে । মনে হয় ভারতীয় নারীর মস্তিস্ক নিয়ে  যদি আগামীদিনে গবেষণা করেন  সেই শিশুকাল থেকে প্রৌঢ়া অব্দি,হয়তো অনেক তথ্য জানতে পারবেন । কারণ নারী মস্তিস্ক এমন এক অদ্ভুত ভাবনা চিন্তা নিয়ে এগোতে থাকেন যে প্রতিটা মুহূর্তে কালোপযোগী করে তোলেন তাদের কে নিজে থেকে এক অর্থে স্মার্ট হতে হবে প্রতিটা কুলের ক্ষনে । যেমন শিশু হলে কেমন আচরণ, নতুন বৌমা হলে কেমন ব্যস এই পর্যন্ত, পরবর্তী টা তাঁকে বলার কেউ থাকে না।কারোর ক্ষেত্রে তখন বয়স একুশ বা বড়জোর পঁ

B-106# কি হতে চাই

Image
কি হতে চাই  কিচ্ছু হচ্ছে না মন ভারী ক্লান্ত,     যেটা পেতে চায় মন তারই লাগি অশান্ত । স্বপ্ন সে তো অনেক আছে,             সেই কতকাল থেকে বয়ে চলেছি, ঠোকর খেতে খেতে আমি,                  একটি  আশায় বুক বেঁধেছি । জো বিডোন তো কত বর্ষীয়ান          প্রৌঢ়রাতেও ঘুচলো তিনি যাহা চান, এতটুকুই শুধু অনুঘটক হয়ে,                    আগামীতে পাক সে স্বপ্ন পুরান।

B-104 # মুনিয়া পাগলী

Image
মুনিয়া পাগলী  মুনিয়া পাগলী ভীষণ আগলী,               সারাদিনে তুই কত গালা গাল দিলি। কেউ বা শুনলো, যারা চেনে না তোকে,    হেসে গড়াগড়ি খেয়ে, ভয়ে অন্য ফুটে দেখে। দেখলেই থুতু,আর লাঠির বাড়ি,         পুলিশের গাড়ি সেও পালায় তাড়াতাড়ি। এই বুঝি প্রশাসন জব্দ তড়িঘড়ি,          রাস্তায় যানজটে আটকে দিলি গাড়ি। কাকে বলছিস, কি বলছিস,                   কেউ তো তোর ভাষা বোঝেনি, আপন মনে পৃথিবীটাকে                           মুহূর্তেই যেন বদলে দিলি । ট্রাফিকের কাজ ভালোই করিস             এয়ারপোর্টে তুই ভিআইপি কে ধরিস, যতই সে সজোরে হুটার বাজাক,              অমনি মাঝপথে ঝাঁপ দিয়ে পড়িস । হায়রে মুনিয়া দেখছে দুনিয়া,    বুদ্ধিজীবীদের ও তুই পাগল সাজালি । https://sadamata101.blogspot.com/2020/11/b-105.html                    

B-105# কৃষ্ণ পাগল

Image
কৃষ্ণ পাগল ঢং ঢং ঢং, কৃষ্ণ সেজেছে বং , দৌড়ে আসছে কৃষ্ণ পাগল গাইছে হিন্দি সং। কি যেন গায়  রাধে রাধে  বলে, মহিলা দেখলেই রাধে নামে কৃষ্ণও যে দোলে। শিবরাত্রিতে এসে কৃষ্ণ দাঁড়ায়,     তাই দেখে মহিলারা জল না ঢেলে পালায়। এবারে মুনিয়া মহিলা লিডার,         তাকেই মহিলারা মানে গডফাদার, ভাগ্যে মুনিয়া শিবরাত্রিতে  ছিল         কৃষ্ণ মুনিয়াকে রাধে মেনে নিল ।