Posts

B-81# Status নাকি cactus

Image
Status নাকি cactus  দুটো কথায় শুনতে ভারী মজাদার লাগে, যাঁর আক্ষরিক  অর্থে প্রথমটা হোলো একটা পরিধি বা লেবেল, আর দ্বিতীয়টা হোলো কাঁটা গাছ যা মরুভূমিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। যদিও এর মিল সবার ক্ষেত্রে সমান নয়, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটু তলিয়ে দেখলে সমার্থক। অর্থ বা পয়সা এ এমন এক জাদুকাঠি কেবলই লাফায় দম দেওয়া পুতুলের মত। যাঁর কাছে যত দামি পুতুল সে বেশিক্ষন লাফায়,আর যাঁর কাছে কমদামি সে অল্পক্ষন লাফায়, কিন্তু লাফায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হোলো কেউ কেউ অল্প দম দেয় , তাই সে বেশিক্ষন টিকিয়ে রাখতে পারে, গদা কথায় সে সঞ্চয় করে ভবিষ্যতের জন্য, সেক্ষেত্রে লক্ষী চঞ্চলা হোন না, অধিষ্ঠান করেন।কিন্তু বিপুল পরিমান অঘোষিত অর্থ হলে কি করবেন সেখানে ভয়, না রাখার জায়গা না সুষ্ঠ ভাবে খরচের জায়গা তখনই cactus এসে হাজির হোন।              Status কথাটা একটা বিভ্রান্তিকর চিন্তাধারা একেকটা মানুষের কাছে, কেউ এটাকে অপভ্ৰংশ করেন আবার কেউ অতিরঞ্জিত,আবার কারো ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটা মার্জিত চিন্তাধারা। যাঁরা অতিরঞ্জিত করেন তাঁদের ক্ষেত্রে এর সংজ্ঞাটা একটু ধনবান  বা high society সে ক্ষেত্রে তাঁদের সাথে ক

B-80#অভিনয় ও তার পার্শ্ববর্তী আর্থিক মূল্যায়ন

Image
অভিনয়  ও তার  পার্শ্ববর্তী আর্থিক মূল্যায়ন কিছুদিন যাবৎ বহু নামিদামি লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা সমানেই বলে চলেছেন অভিনয় যা মানুষকে বিনোদন দেয় সেটা আদৌ কি ঠিকঠাক মূল্যায়ন হয়, নাকি একদল সংবাদ মাধ্যম তার পৃষ্ঠপোষক হয়ে ওঠেন তাই তার ক্ষেত্রে সাফল্য হয়ে ওঠে, আর তাতেই জনগণ ভিড় করেন।                          তার আগে জেনে নেওয়া অতি অবশ্যই প্রয়োজন অভিনেতা বা অভিনেত্রী কতটা সক্ষম সেই চরিত্র কে একেবারে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে, বা নিজেকে আত্মস্থ করতে পেরেছেন কিনা । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যিনি অভিনয় করছেন তার ডায়ালগ বা সংলাপ এতটাই স্পর্শ কাতর যা দর্শক কে সুড়সুড়ি দেয়, আসনে বসে তালি মারার জন্য বাধ্য করেন।এমনকি এমনও অভিনেতা আছেন যাঁরা ডাবিং  এর মাধ্যমে আজকাল গান ও গেয়ে চলেছেন একেবারে নিজের গলায়। আদৌ এনারা শিল্পী যাঁদের কে নিয়ে আমরা এতো মাতামাতি তে নেচে উঠি।আমরা জনগণ শুধু নিছক একটা আনন্দ বা নাচানাচি তে মেতে উঠি বক্স অফিসে সুপার ডুপার হিট বলে আখ্যা দেই আর কয়েকশো টাকা দিয়ে টিকিট কেটে  তাঁদের মুনাফার অঙ্কটা বাড়িয়েই চলি সমানে । আচ্ছা একবার ভাবুন তো আমরা কতজন হল থেকে বেরিয়ে মূল্যায়ন করি বইটার সম্বন্ধ

B-79#দুই নৌকা

Image
দুই নৌকা  মানুষগুলো কেমন ভোল পাল্টায়,                        স্রোতের টানে সে গা ও ভাষায়, কেন বুঝিনা দিনের শেষে ,                          বহুরূপী ঢঙে সেজে সে এসে, ধ্যানধারণার ডিগবাজিতে,                          কেবলই এদিক ওদিক মেশে। দুজনেই ভাবে দুজনে চালাক,                        শুধুই এতটুকু বোঝার ফারাক, বিশ্বাস করে বারবার ঠগে,              অবিশ্বাস ভাবে সমঝোতা করি আগে, চললো এবারে সমঝোতার  পালা,                     ভাবনা ভাবে কি যে একি জ্বালা। ভুলটা কোথায় একটু ভাবি,                        সত্যি বুঝিনা কেন মিছে  রাগী। এবারে বুঝেছি ফারাকটা কোথায়,                  দুই নৌকোয় পা সমানে যে টলাই। 

B-78#মাধুর - তৃতীয় ভাগ – হেদুয়া ভেদুয়া ( শুভ সুমেধার পঞ্চদশ অধ্যায়)

Image
মাধুর – হেদুয়া ভেদুয়া ( শুভ সুমেধার পঞ্চদশ অধ্যায়) আয় আয়,আয় আয়, এই হেদুয়া আসবি আমাদের বাড়ি, কি রে বসে আছিস কেন? জানিস আমাদের মরা পোড়া গাঁয়ে তোর একটা দাদা আছে ওর নাম ভেদুয়া, তুই তো খুব ছোটো ভেদুয়ার থেকে তাই তোকে হেদুয়া বলেই ডাকবো। বুঝলি? কি রে চুপ করে মাটিতে মুখটা বাড়িয়ে শুয়ে আছিস কেন? খেতে দেয়নি বুঝি তোকে তোর মালিক। চলে আয় এখানে,আমাকে জানিস এরা পেট ভরে খেতে দেয়, বড় মা বড় বাবা খুব ভালো এখানে অনেক খাওয়ার। আর হ্যাঁ শোন্ আমাকে যা খেতে দেয় খেয়ে শেষ করতে পারিনা, কি আছে তুই ও খাবি আমার সাথে রাতে আমার সাথে ঘুমোবি। জানিস ভেদুয়াটা এখন খেতে পারছে না বোধহয়। আমরা এমনিতেই গরিব তার উপর নিজেদেরই অর্ধেক দিন খাওয়া হতো না তো গাঁয়ে। জানিস যেদিন খাওয়া হতো না আমরা দুজন দুজনের গলা জড়িয়ে শুয়ে পড়তাম।  কি আছে হয় ,এগুলো তো আমাদের গাঁয়ে ঘরে ঘরে কত লোক যে খেতে পায় না।  তুই আসবি কি তাহলে দরজাটা খুলে দেবো?              মাধু এই মাধু ছাদে কার সাথে কথা বলেই চলেছিস। তোকে তো ছাদে পাঠানো বড়ই মুশকিল, এখানে চিনিস না জানিস না কাউকে, সবে এক সপ্তাহ হয়েছে, অমনি সবার সাথে যেচে আলাপ করেই চলেছিস, নিচে নেমে

B-77#মাধু – দ্বিতীয় ভাগ(শুভ সুমেধার চতুর্দশ অধ্যায়)

Image
মাধু – দ্বিতীয় ভাগ(শুভ সুমেধার চতুর্দশ অধ্যায়) মাধুর সেই করুন কাহিনী, চরম দারিদ্রতার মধ্যে লড়াই, তার মধ্যেও যে একটুখানি আনন্দ পাওয়া যায়, সেই ছোটবেলা থেকেই মাধুরা তা বুঝতে পেরেছিলো। জীবনে সেই শেষ ভালোবাসার একমাত্র সম্বলটুকু মা, তাও  হারিয়ে গেলো। সে খুঁজে পেতে চায় তার শৈশবকে ,আবার করে ভাঙা গড়ার জীবন টাকে। মাত্র এই দুদিনে সে সুমেধা, শুভর মধ্যে একটা ভরসা খুঁজে পায়, একটা স্বপ্ন গড়ে তোলে, পাড়ার বাচ্চারাও মাধুকে একটা সঙ্গী হিসেবে আপন করে নিতে চায়। যেখানে দারিদ্রতা চরম সেখানে বোধহয় শুধুই সমঝোতা, নিজের ভুলকে হয়তো মেনে নেওয়া, আর শুধরে নেওয়া, একটা আপোষ যেটা হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে করা হয়ে ওঠেনি মাধুর ক্ষেত্রে।

B-76#বুদ্ধি

Image
              বুদ্ধি কেমন যেন বুদ্ধি গুলোর,               বেশির ভাগটাই জমেছে ধূলোয়, অন্যায়ের কাছে  ন্যায় চায় ওরা,                    মাথায় কেবল কুবুদ্ধিতে ভরা। জ্ঞানগম্ভীর সকাল বিকাল,                  বুলি আওড়ান এ যে কলিকাল,  আজ বুঝি সব মিথ্যে কথা,      ওঁরাও বোঝেন যখন,নিজের মাথাব্যথা। সত্যের কাছে কেবলই ফাঁকি,                           মাটিতে পা পড়তে বাকি, মিথ্যে গুলোকে সত্যি করে,                          বিকোচ্ছে কত জ্ঞানপাপী। ব্যাংক ব্যালান্স আজ পরিপূর্ণ,                             মারছে টাকা করছে চূর্ণ, শিক্ষিতেরা ভিক্ষা করে মরে,             অশিক্ষিত গুলো বুক উঁচিয়ে ঘোরে। মুখে গালাগাল, নিজে বেসামাল,                   যা বলছে, ভাবে করছে কামাল, জনগণ শুধু চুপ করে সয়,                 ভাবের ঘরে পায়,বোকা প্রশ্রয়।

B-75# ভুল

Image
                         ভুল  ভুল থেকে আজও কেন যে,                                      পাই না সে  শিক্ষা, কবে ঠিক হবে, পণ করি আজ  নিজের কাছেই,কেবলই যে  মাঙ্গি  ভিক্ষা। ভুল ভুল এতো সবই ভুল, শিখলাম না  আজও,                                                               কবে হবো নিজে  নির্ভুল। পাল্টে  যাবো উদার নীতি থেকে,তোষামোদ                                                                           জীবন, শুরু করি কি  তা দেখে।   নিজেকে কেন আজও চিনিনি ডাক দিয়েছে                                                                                কতবার সে, তাও তো বুঝিনি। আঙ্গুলটা শুধু নিজের দিকে ওঠে,                                   বিদায় কালে হে পৃথিবী,যদি পারো আজ ক্ষমা কোরো  পাছে।