Posts

Showing posts with the label FEELINGS

B-32# বর্ষার বৃষ্টি(Rainy Day)

Image
                                            বর্ষার বৃষ্টি বর্ষার বৃষ্টি , টিপ টিপ সারারাত,  আকাশ মেঘলা আজ, কাদামাটি রাস্তা ঘাট। আজ বুঝি গুরুবার, মেলা কাজ লক্ষী বার, অপু  আজও  যাবে না স্কুলে, বর্ষাতি টা ছোট্ট তার। দুধওয়ালা ঐ ডাকে, মিনতিদি  কোন সকালে হাঁকে, পেপার আসবেনা বুঝি, কাজে যেতে নিমরাজি। চড়ুইয়েরাও আজ যাবে না কাজে , কাকগুলো শুধুই বৃষ্টিতে ভেজে, ফেরিওয়ালা আসবে না বুঝি, সবাই কেমন  নিশ্চুপ আজি। বছরে তো একবার, প্রকৃতিরও গোসা হয়, বৃষ্টির জলে তাই,  কান্নায় সে প্রকাশ পায়।

B-28#LOVE. (শিশু- প্রেম -মনে পরে আজও চোঁ চোঁ)

Image
                                            শুভ গণেশ চতুর্থীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা                                                                         শিশু প্রেম চোঁ চোঁ  (এক সত্য ঘটনার অবলম্বনে) মা আমায় বিয়ে দেবে না?  কালই তো বলেছিলে।  মহিম  তুই বড় হলে তোর বিয়ে দেবো, বাড়িতে বৌ আসবে,তারপর আমার সব কষ্ট চলে যাবে, আমার সংসারের খাটাখাটনি কমে আসবে,  আমি পায়ের উপর পা রেখে তারপর সারাটাক্ষন বিশ্রাম করবো। তারপর তোর ছেলে মেয়ে হবে তাদের দেখে,  একটু বড় করে,  আমি দুচোখ বুজবো আর আমি চলে যাবো। মাঝে মাঝে আসবো যদিও তোদের দেখতে, ছাদে এসে দাঁড়াস,  আমায় ডাক দিস আমি নিশ্চয় আসবো।                      মা,সত্যিই  তুমি যেখানে চলে যাবে আবার আসবে তো মা ? আচ্ছা মা আমার বিয়ে হবে?  কে আমার বৌ হবে মা? আর যে বৌ হবে,  সে কোথা থেকে বাচ্চা গুলোকে আনবে? বলো না মা তুমি তো সব কিছুই জানো তাই না ? শোনো না বললে আমি আজ খাবোই না । মা আমার বৌ কে হবে আমি জানি,  আমি বলি তোমায়? মা আমার বৌ হবে চোঁ চোঁ। কি ভীষণ যে ভালো লাগে মা ওকে তোমায় বোঝাতে পারবো না। তোমারো তো ভালো লাগে তাই না?  দেখেছো তোমার যা ইচ্ছে আমারও

B-27 # ARRIVAL NEWS পৌঁছ সংবাদ (শুভ সুমেধার নবম পর্ব)

Image
পৌঁছ সংবাদ কি গো কি হোলো ঘুম আসছে না বুঝি, আমারও, কি জানি মেয়েটা কতদূর পৌঁছলো, অস্থির তো একটা লাগছেই। জানিনা ঠিক করলাম না ভুল করলাম। স্বদেশে থাকলে কথায় কথায় দুজনের মধ্যে একজন হয়তো দেখে আসতে পারতাম, এখানে তো সেটাও সম্ভব নয়। যখনই যাবো একসঙ্গে দুজনকেই যেতে হবে, এতে বিশাল পরিমান টাকার ও তো একটা ব্যাপার আছে তাই না, আর সব থেকে বড় কথা হোলো যাবো বললেই তো যেতে পারবো না। একটা পারমিশন লাগে মানে ভিসা লাগে, সেও প্রায় মাস দুয়েক তো বটেই তাও আবার বরাত ভালো থাকলে, কোনো রকমের রাজনৈতিক টানাপোড়েন হলে তো কথাই নেই সব বন্ধ।               শুভ, তোমায় স্কাইপে কি ভাবে কানেক্ট করতে হয় মেয়ে শিখিয়ে দিয়েছে তো,পারবে তো নাকি। আমাকেও অবশ্য শিখিয়েছিলো কিন্ত ওতো সব বুঝিনে বাপু। যাক এই শোনোনা মেয়ে বলেছিলো না আমাদের এখানকার সময় প্রায় ভোর পাঁচটাই নাকি পৌঁছে যাবে, বলেছিলো নাকি বেরোতে বেরোতে প্রায় এক ঘন্টা লাগবে মানে সকাল ছটা, টরেন্টো এয়ারপোর্টে নাকি হোস্টেল থেকে গাড়ি পাঠাবে, সেটা বেশিক্ষন লাগার কথা না, যা বলেছিলো মোটামুটি আধঘন্টা লাগবে পৌঁছতে। যাক সাতটা ধরলাম খুব বেশি হলে, যা সব লাগেজ আছে , এমনিতেই মেয়ে কোনোদিন এ

B-25#ABROAD( বিদেশ). (শুভ সুমেধার অষ্টম পর্ব)

Image
বিদেশ  মা কি গো তোমরা কোথায় ,( ঘুম থেকে উঠে কাউকে না পেয়ে অবাক লাগছে) আরে ওঠ তো বাবা!! কত রাত পর্যন্ত গোছগাছ করেছো তোমরা? আচ্ছা কি আশ্চর্য আমায় ডাকতে পারতে? এভাবে মাটিতেই শুয়ে পড়েছো, কত গুলো ব্যাগেজ হয়ে গেলো বল তো? এত দেখছি প্রায় নয় খানা।                        মলি জানিস তোর বাবা প্রত্যেকটা লাগেজ ওজন করে করে প্যাক করেছে। বলছিলো ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে নাকি পনেরো কেজির উপর হলেই বাতিল করে দেয়, তাই ওজন মেশিন দিয়ে সবকটা ওজন করে করে রেখেছে। আর নিজের সাথে সাত কেজি রাখতে পারে। কি গো ওঠো অনেক তো বেলা হয়ে গেলো? আমি তো না পেরে রাত প্রায় দুটোর সময় লাগেজ গুলোকেই বালিশ বানিয়ে শুয়ে পড়েছি, খেয়ালই নেই, কখন ঘুম চলে এসেছে। তা তুমি কখন ঘুমোলে শুনি?           ঐ তখন প্রায় পাঁচটা হবে, বাইরে কাক ডাকছিলো, আমি ওগুলো করে, একটু লিকার চা খেয়ে, তারপর শুয়েছি। এখনো তো লেবেলিং হয় নি কার ভিতরে কি আছে, শুধুই নাম্বার ট্যাগ লাগিয়ে রেখেছি। আচ্ছা একটু চা দাও দেখিনি,খেয়ে বাজার থেকে ঘুরে আসি, মলি তুই ওগুলোতে হাত দিস না বাবা,আমি আসি তারপর সব ঠিক করে দেবো ক্ষণ।আর শোনো, আজ একটু কাতলা মাছ নিয়ে আসি, কাতলা ম